Ajker Patrika

আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারের, ঘোষণা ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৪, ১১: ৩২
আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারের, ঘোষণা ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর 

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা খরচ বহন করবে সরকার। একই সঙ্গে নিহতদের দাফনের জন্য ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। আজ শুক্রবার সকালে আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবন পরিদর্শনের আগে মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। 

ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল আগুন লাগার পরই সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যারা আহত আছে, তাদের যে ধরনের চিকিৎসার দরকার হয় তার ব্যয় সরকার থেকে করা হবে। এই মুহূর্তে যা যা প্রয়োজন সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করা হচ্ছে।’ 

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আরও যেসব অবৈধ ভবন আছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) থেকে সেগুলোর তালিকা করে আইনের আওতায় এনে ঠিক করা হবে।’ 

গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটি সাততলা। এর নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে নিচতলায় একাধিক কাপড়ের দোকান ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়। দ্বিতীয় তলা থেকে শুরু করে ওপরের দিকে কাচ্চি ভাই, কেএফসি, পিজ্জা ইনসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। 

ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। নিচতলায় লাগা আগুন দ্রুত ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভবনে আটকে পড়ে অনেক মানুষ। আতঙ্কিত লোকজন ওপরের দিকে উঠে যায়। ভবনে থাকা বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁর কর্মী এবং সেখানে যাওয়া ব্যক্তিরা আগুনের মুখে আটকা পড়ে। 

ধারণা করা হচ্ছে, আটকে পড়াদের অনেকে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল। তারাই মূলত সেখানে আটকা পড়ে। এ অবস্থায় ভবনের তৃতীয় ও সপ্তম তলায় আটকে পড়া মানুষ উদ্ধারের আকুতি জানাতে থাকে। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিসের টার্ন টেবল লেডার (টিটিএল) ব্যবহার করে আটকে পড়াদের নামিয়ে আনার কাজ শুরু করেন। ফায়ারের ১২টি ইউনিট কাজ করে ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ১২টার দিকে ভবনের সামনে অবস্থান করতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত গাড়ি ‘রেফ্রিজারেটেড স্টোরেজ ট্রাক’। এটি মূলত মরদেহ বহনের গাড়ি। এই গাড়িতে করে মরদেহ নেওয়া হয় হাসপাতালে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত