Ajker Patrika

সার্ভার থেকে দুদিনের টিকার তথ্য উধাও

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সার্ভার থেকে দুদিনের টিকার তথ্য উধাও

গত ১৩ অক্টোবর রাজধানীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে প্রথম ডোজের টিকা নেন নুসরাত জাবীন বিভা। ঠিক এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় উল্লেখ করে দেওয়া হয় টিকা কার্ডে। এর মধ্যে আসেনি কোনো এসএমএস, তাই কার্ডের দেওয়া সময়ানুযায়ী গত ১৩ নভেম্বর টিকা নিতে আসেন কেন্দ্রে। গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার তথ্য সংশ্লিষ্টদের হাতে নেই।

শুধু বিভা নন, রাজধানীসহ সারা দেশের প্রতিটি কেন্দ্রে গত ১৩ ও ২৮ অক্টোবর মিলিয়ে প্রথম ডোজ নেওয়া পাঁচ লাখের বেশি ব্যক্তির অধিকাংশেরই টিকা নেওয়ার তথ্য নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে। যার পেছনে সার্ভার জটিলতা, যা এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

টিকাকেন্দ্র থেকে জানানো হয়, ওই দিন যাঁরা প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন, তাঁদের তথ্য সার্ভার থেকে মুছে গেছে। এ কারণে কারও কাছে দ্বিতীয় ডোজের এসএমএস যায়নি। যাঁরা কেন্দ্রে আসছেন, তাঁদের তথ্য আপডেট করে দেওয়া হচ্ছে। এরপর এসএমএস গেলে তাঁরা টিকা নিতে পারবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ওই দুই দিনে সারা দেশে ৫ লাখ ১৪ হাজার ২২৩ জনকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৩ অক্টোবর নিয়েছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৬১ জন ও ২৮ অক্টোবর ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬৬২ জন।

এমআইএসের একাধিক তথ্য কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু গত ১৩ অক্টোবর হঠাৎ করেই সার্ভারে সমস্যা দেখা দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে আইসিটি অধিদপ্তরকে জানানো হয়। নানা চেষ্টার পরও যখন সেগুলো উদ্ধার করা যাচ্ছিল না, তার মধ্যেও আবার গত ২৮ অক্টোবর দ্বিতীয় ধাপে জটিলতা দেখা দেয়। যার সমাধান এখনো হয়নি।

তবে বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না বলে জানান এমআইএস পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এটা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। সার্ভার তো ঠিকই আছে।’

টিকা গ্রহণের তারিখ উধাওয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে এমআইএসের মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশিস বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, টিকার তথ্যগুলো আছে। কিন্তু হ্যাং হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত সেগুলো উদ্ধার করা যায়নি। এটা নিয়ে অধিদপ্তর কাজ করছে। ওই দুই দিনে টিকা নেওয়া সবারই প্রায় এমনটা পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে আইসিটি কাজ করছে। এখন নতুন করে নিতে গেলে একই তথ্য দুবার নেওয়া হয়ে যাবে। সেটাও একটা সমস্যা। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত