Ajker Patrika

রাতে অভিযানে গিয়ে পুলিশের চোখে ইটের আঘাত, আটক ৩ হিজড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ জুন ২০২৪, ১৭: ০৮
রাতে অভিযানে গিয়ে পুলিশের চোখে ইটের আঘাত, আটক ৩ হিজড়া

রাজধানীর রমনা থানার পরীবাগ এলাকায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) চোখে-মুখে আঘাত করে একদল হিজড়া। এতে ওই পুলিশ কর্মকর্তার চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিন হিজড়াকে আটক করা হয়েছে। 

আহত পুলিশ সদস্য শেরেবাংলা নগর চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর চোখে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে এবং আরও কয়েকটি অস্ত্রোপচার লাগবে বলে জানিয়েছেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া। 

গতকাল শনিবার মধ্যরাতে পরীবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ওই উপপরিদর্শকের নাম মো. মোজাহিদ। তিনি রমনা থানায় কর্মরত। 

রমনা থানা-পুলিশ বলছে, রমনার পরীবাগ এলাকায় গতকাল দিবাগত রাত ৩টার দিকে একদল হিজড়া পথচারীদের আটকে ছিনতাই করার চেষ্টা করে। এ সময় টহল পুলিশেরা তাদের দেখে ফেলেন, বাধা দেন। টহল পুলিশের নেতৃত্বে ছিলেন এসআই মোজাহিদ। 

ছিনতাই বাধা দিতে গেলে হিজড়ারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের উদ্দেশে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। ইট–পাটকেল নিক্ষেপ ও হাতাহাতির সময় এসআই মোজাহিদ হিজড়াদের আঘাতে চোখে গুরুতর আঘাত পান। এতে মোজাহিদের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। 

এ বিষয়ে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিজড়ারা বিভিন্ন রিকশা থেকে ছিনতাই ও অনৈতিক কাজ করায় শাহবাগ থানা-পুলিশ বিশেষ অভিযান চালায়। এতে রমনা পুলিশও তাদের সহযোগিতা করে। অভিযানের একপর্যায়ে হিজড়ারা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে এসআই মোজাহিদের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হন।’ 

ওসি আরও বলেন, ‘আহত এসআইকে শেরেবাংলা নগর চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।’ তাঁর আরও কয়েকটি অস্ত্রোপচার করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেহেন্দীগঞ্জে জামায়াত নেতার বাড়িতে দুর্বৃত্তের আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আব্দুর রহমান ফারুকের ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আব্দুর রহমান ফারুকের ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার বাড়িতে আগুন দিয়ে দুর্বৃত্তরা দুটি ঘর পুড়িয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কাজিরহাট থানার ভাসানচর ইউনিয়নের আকন কান্দি গ্রামের আকন বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা আকন কান্দির আব্দুর রহমান ফারুকের কাছারি ও লাকরির ঘর পুড়িয়ে দেয় এবং তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

আব্দুর রহমান ফারুক ভাসানচর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ঘর পুড়িয়ে ককটেল নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেন আব্দুর রহমান ফারুক। কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘর পুড়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করলেও ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানান।

আব্দুর রহমান ফারুক বলেন, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কে বা কারা বাড়ির সামনে একটি লাকড়ির ঘরে আগুন দেয়। ওই সময় পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে তাঁর ও বাড়ির লোকজনের ঘুম ভাঙলে আগুন দেখতে পান। পরে মসজিদের মাইকে লোকজন ডেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে লাকড়ির ঘর ও কাছারিঘর পুড়ে গেছে।

আব্দুর রহমান আরও বলেন, শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তরা বরিশাল-৪ আসনের জামায়াত ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারের বিলবোর্ড ও ফেস্টুন পুড়িয়ে দিয়েছিল। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ও ঘর পুড়িয়েছে।

এ ব্যাপারে কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, আগুনে জামায়াত নেতার লাকড়ির ঘর ও কাছারিঘর আংশিক পুড়ে গেছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। নাশকতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে ৬ হাজার ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি আটক

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আটক দুই মাদক কারবারি। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক দুই মাদক কারবারি। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ৬ হাজার ইয়াবা বড়িসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। আটক ব্যক্তিরা হলেন সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামের মাঈন উদ্দিন (২৭) ও চর মজিদ গ্রামের নুপুর ওরফে ইরাক (৩০)। রোববার ভোরে সোনাপুর-কবিরহাট সড়কের মোমিনের দোকান এলাকা থেকে তাঁদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ইয়াবা ছাড়াও একটি পিকআপ ভ্যান এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলার শীর্ষ মাদক কারবারি আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালা আজাদ দীর্ঘদিন ধরে সুবর্ণচর এলাকার চরবাটা আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় একটি মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ১৯টি মাদকের মামলা রয়েছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর আসে যে কবিরহাট-সোনাপুর সড়ক দিয়ে মাদক পাচার হতে পারে। এই তথ্যের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অশ্বদিয়া এলাকায় একটি চেকপোস্ট বসানো হয়। এ সময় রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংবলিত পিকআপ ভ্যানটি সংকেত অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর সহায়তায় সেটিকে আটক করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে গাড়িটি থেকে ৬ হাজার ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুব্রত সরকার শুভ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাঁদের সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘১৩ তারিখে ঢাকা যাব’ ফেসবুকে লেখা আওয়ামী লীগ নেতাসহ ফরিদপুরে গ্রেপ্তার ৩

ফরিদপুর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার করা তিনজন। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার করা তিনজন। ছবি: সংগৃহীত

১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচি ঘিরে ফেসবুকে পোস্ট করার পর ফরিদপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, ফেসবুক পোস্টের কারণে নয়, বিস্ফোরক মামলায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মতিন মোল্লা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের তৈয়বুর রহমানের ছেলে এবং পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ছাড়া অন্য দুজনের মধ্যে রয়েছেন পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ মোল্লা (৬৭) ও গোপালপুর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ও চরচান্দ্রা গ্রামের কাজী রুবেল (৩৫)। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জালাল আলম। তিনি বলেন, মূলত ফেসবুক পোস্টের কারণে নয়, থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনে হওয়া একটি পুরোনো মামলায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মতিন মোল্লা তাঁর ফেসবুক আইডিতে ১৬ জন ব্যক্তির মাঝে নিজে দাঁড়ানো অবস্থায় একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে লেখেন, ‘১৩ তারিখে আমরা সবাই ঢাকা যাব। দলের দুর্দিনে আমরা দলের পাশেই আছি।’ তবে ছবিটি কোথায় এবং কবে তোলা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এরপরই শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া একই রাতে অন্য দুজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদেরকে গত ১৮ জানুয়ারি দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ওসি জানান, মামলাটি দায়ের করেন আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের বুড়াইচ এলাকার ইদ্রিস সরদারের ছেলে বিএনপির সমর্থক লাভলু সরদার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৫ মামলায় হাইকোর্টে সাবেক মেয়র আইভীর জামিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ফাইল ছবি
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সিদ্ধির গঞ্জ ও ফতুল্লা থানার এসব মামলায় রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ রোববার বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি সগীর হোসেনের বেঞ্চ এ রায় দেন।

আইভীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আকতার রুবি।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আকতার রুবি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনটি হত্যা মামলা ও দুটি মারধর করে মারাত্মক জখমের অভিযোগে করা মামলা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর করা হয়।’

তবে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

এর আগে গত মে মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পোশাক শ্রমিক মিনারুল হত্যা মামলায় কারাবন্দী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।

গত বছরের ২০ জুলাই সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আদমজী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন পোশাক শ্রমিক মিনারুল ইসলাম। পরে শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরদিন গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর নিহত মিনারুলের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় এজাহারভুক্ত ১২ নম্বর আসামি সেলিনা হায়াৎ আইভী। পরে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত