Ajker Patrika

স্ত্রী-শাশুড়িসহ জামিন পেলেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১৮: ৩২
স্ত্রী-শাশুড়িসহ জামিন পেলেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন

স্বামীকে তালাক না দিয়েই বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তাঁর স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মী ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম তাঁদের জামিন দেন। রোববার সকালে নাসির হোসেনসহ তিনজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

এদিকে বাদীপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে জামিন দেন। একই সঙ্গে মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় নথি মুখ্য মহানগর হাকিম বরাবর পাঠানো হয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর নাসির হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বাদীর অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। আদালত আসামিদের অপরাধ আমলে নিয়ে আজ রোববার আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। 

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মো. রাকিব হাসানের স্ত্রী তামিমা স্বামীকে তালাক দেননি। আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার কারণে তামিমা এখনো রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাকিব হাসানের সঙ্গে তামিমার বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় ক্রিকেটার নাসিরকে বিয়ে করেছেন। তামিমা যে তালাকনামা বিভিন্ন জায়গায় দাখিল করেছেন, তার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। আইনত তালাক প্রদান করার পর স্বামীকে তালাকের নোটিশ দিতে হয়। রাকিব হাসান এ ধরনের কোনো নোটিশ পাননি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নোটিশ দিতে হয়। কিন্তু এ ধরনের কোনো নোটিশ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও পাননি। তামিমার মা সুমি আক্তার এই অবৈধ বিয়েতে সহযোগিতা করেছেন বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। তার আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার প্রথম স্বামী মো. রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ওই দিনই আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। রাকিব মামলার অভিযোগে বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাঁদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তাঁর আট বছর বয়সী শিশুকন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। আসামিদের এ ধরনের কার্যকলাপে রাকিব চরমভাবে মানহানি হয়েছেন, যা তাঁর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা, রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে এবি ব্যাংক

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত