সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার একমাত্র নারী মুক্তিযোদ্ধা ফাতেমা আক্তার (৬৭) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানান রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজ শুক্রবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার আন্দি গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা প্রশাসন তাঁকে গার্ড অব অনার দেয়। এশার নামাজের পর জানাজার শেষে তাঁকে দাফন করা হবে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার এম গনি উপজেলার একমাত্র নারী মুক্তিযোদ্ধা ফাতেমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নারী মুক্তিযোদ্ধা ফাতেমা আক্তারের দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলার কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় ফাতেমা ছিলেন ১২-১৪ বছরের কিশোরী। বাবা সিরাজ আর মা লালজান বেওয়ার দরিদ্র সংসারের আদুরে কন্যা ছিলেন ফাতেমা। সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল গ্রামে ছিল তাঁদের বসবাস। অভাবের সংসার বলেই এ বাড়ি-ও বাড়ি কাজ করে দিন কাটত ফাতেমার।
১৯৭১ সালে উপজেলার বহেড়াতৈল মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের রান্নাবান্না ও সেন্ট্রির দায়িত্ব পালন শুরু করেন ফাতেমা। যুদ্ধকালীন সখীপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের পাঁচটি কোম্পানি গড়ে ওঠে। তখন বিভিন্ন ক্যাম্পে খবর আনা-নেওয়া ও চিঠি আদান-প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফাতেমাকে। কেউ যেন বুঝতে না পারে, এ জন্য তাঁকে ছেলেদের কাপড় পরানো হতো। চুলও কাটা হয়েছিল ছেলেদের মতো করে।
স্বাধীনতার পর সামাদ নামের প্রতিবেশী এক যুবককে বিয়ে করেন ফাতেমা। বিয়ের কয়েক বছর পর চার সন্তানসহ ফাতেমাকে ফেলে চলে যান সামাদ। শুরু হয় ফাতেমার কষ্টের জীবন। মানুষের বাড়ি-বাড়ি কাজ করে সংসার চালাতেন ফাতেমা। এরপর সন্তানদের নিয়ে চলে আসেন সখীপুরে। বিয়ে করেন মোবারক নামের এক ব্যক্তিকে। দুজনই চাকরি নেন পৌরসভার সুইপার (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) হিসেবে। অন্যের জমিতে একটি ছাপরা ঘর তুলে থাকতেন তাঁরা। কিছুদিন যেতে না যেতেই মোবারক তাঁকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করে চলে যান। আবার শুরু হয় ফাতেমার কষ্টের জীবন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার এম গনি বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় (এরশাদ সরকারের সময়) পর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম ওঠে ফাতেমার। তিনি সখীপুরের একমাত্র নারী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সর্বশেষ পৌর শহরের উত্তর পাশে আন্দি এলাকার বনের জমিতে ছিল তাঁর বর্তমান ঠিকানা।
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার একমাত্র নারী মুক্তিযোদ্ধা ফাতেমা আক্তার (৬৭) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানান রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজ শুক্রবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার আন্দি গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা প্রশাসন তাঁকে গার্ড অব অনার দেয়। এশার নামাজের পর জানাজার শেষে তাঁকে দাফন করা হবে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার এম গনি উপজেলার একমাত্র নারী মুক্তিযোদ্ধা ফাতেমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নারী মুক্তিযোদ্ধা ফাতেমা আক্তারের দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলার কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় ফাতেমা ছিলেন ১২-১৪ বছরের কিশোরী। বাবা সিরাজ আর মা লালজান বেওয়ার দরিদ্র সংসারের আদুরে কন্যা ছিলেন ফাতেমা। সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল গ্রামে ছিল তাঁদের বসবাস। অভাবের সংসার বলেই এ বাড়ি-ও বাড়ি কাজ করে দিন কাটত ফাতেমার।
১৯৭১ সালে উপজেলার বহেড়াতৈল মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের রান্নাবান্না ও সেন্ট্রির দায়িত্ব পালন শুরু করেন ফাতেমা। যুদ্ধকালীন সখীপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের পাঁচটি কোম্পানি গড়ে ওঠে। তখন বিভিন্ন ক্যাম্পে খবর আনা-নেওয়া ও চিঠি আদান-প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফাতেমাকে। কেউ যেন বুঝতে না পারে, এ জন্য তাঁকে ছেলেদের কাপড় পরানো হতো। চুলও কাটা হয়েছিল ছেলেদের মতো করে।
স্বাধীনতার পর সামাদ নামের প্রতিবেশী এক যুবককে বিয়ে করেন ফাতেমা। বিয়ের কয়েক বছর পর চার সন্তানসহ ফাতেমাকে ফেলে চলে যান সামাদ। শুরু হয় ফাতেমার কষ্টের জীবন। মানুষের বাড়ি-বাড়ি কাজ করে সংসার চালাতেন ফাতেমা। এরপর সন্তানদের নিয়ে চলে আসেন সখীপুরে। বিয়ে করেন মোবারক নামের এক ব্যক্তিকে। দুজনই চাকরি নেন পৌরসভার সুইপার (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) হিসেবে। অন্যের জমিতে একটি ছাপরা ঘর তুলে থাকতেন তাঁরা। কিছুদিন যেতে না যেতেই মোবারক তাঁকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করে চলে যান। আবার শুরু হয় ফাতেমার কষ্টের জীবন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার এম গনি বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় (এরশাদ সরকারের সময়) পর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম ওঠে ফাতেমার। তিনি সখীপুরের একমাত্র নারী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সর্বশেষ পৌর শহরের উত্তর পাশে আন্দি এলাকার বনের জমিতে ছিল তাঁর বর্তমান ঠিকানা।
ভবন নির্মাণের পর আর তেমন কোনো সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ভবনগুলো ভেঙে পড়ার মতো ঝুঁকিতে রয়েছে। একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ছাত্রদের আবাসিক হোস্টেলে বড় বড় ফাটল থাকায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় পলেস্তারা খসে পড়ে, কোথাও কোথাও রড বের হয়ে গেছে।
৫ মিনিট আগে২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৩৮ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৪১ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে