Ajker Patrika

শেষ মুহূর্তে দৌলতদিয়া ঘাটে উপচে পড়া ভিড়

প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
শেষ মুহূর্তে দৌলতদিয়া ঘাটে উপচে পড়া ভিড়

পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তাই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে শেষ মুহূর্তে ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি ছুটছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজারো মানুষ।

মঙ্গলবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে সকাল থেকেই ছিল ঘরমুখো মানুষের ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেরিঘাটে মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করে। অপরদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে ছুটে চলেছে দূরপাল্লার বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি। চোখে পড়ার মত ছিল যাত্রী বহনকারী মোটরসাইকেলের বহর।

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা ফেরিগুলোতে দেখা যায় সামান্য কিছু গাড়ির সঙ্গে বেশির ভাগই মানুষ। মানুষ নদী পার হয়ে বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বিভিন্ন গাড়িতে করে গন্তব্যে যাচ্ছে। ফেরিতে গাদাগাদি করে মানুষ পারাপার হচ্ছে। মানছেন না স্বাস্থ্যবিধিও।

করোনা সংক্রমণরোধে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহন করার কথা থাকলেও দ্বিগুণের চেয়েও বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধির পাশাপাশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

ঘাটে আসা কিছু যাত্রীদের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও অধিকাংশ মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক। এ ছাড়া সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা তেমন দেখা যায়নি।

গতকাল সোমবার দুপুর থেকে নদী পার হয়ে আসা যেসব যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই তাদের মাঝে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ। এ কার্যক্রম আগামী শুক্রবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৬টি ছোট-বড় ফেরি চলাচল করছে। নদী পারাপারে যানবাহনগুলোর কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এখন গরুবাহী ট্রাকের চাপ নেই।

সকালের দিকে যাত্রীর চাপ কম ছিল। তবে দুপুরের পর থেকে যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আজ শুধুমাত্র যাত্রীবাহী বাস ও সামান্য সংখ্যক পণ্যবাহী ট্রাকের সারি থাকলেও দুই দিন আগের মতো এসব যানবাহনকে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত