Ajker Patrika

সবার মধ্যে সচেতনতা দরকার: মেয়র আতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সবার মধ্যে সচেতনতা দরকার: মেয়র আতিক

যেকোনো সময়ই আগুন লাগতে পারে। তাই গার্মেন্টস ও ফ্যাক্টরিগুলোর মতো আগুনের ব্যাপারে বাসা-বাড়িতেও সচেতনতা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটির (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। আজ সোমবার দুপুরে গুলশান-২ নম্বরে আগুন লাগা বাড়িটি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই ভবনটি সব নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। ইমার্জেন্সি পরিস্থিতির জন্য ফায়ার ড্রিল করার মতো গার্ড ও বাসিন্দারা প্রশিক্ষিত ছিলেন কী না জানা নেই। সাধারণত থাকে না। যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় আগুন লাগতেই পারে। কিন্তু যেটা দরকার সেটা হচ্ছে সেফটিনেস ও সচেতনতা। এই ভবনে যাঁরা ছিলেন তাঁরা যথেষ্ট সম্পদশালী ও শিক্ষিত। কিন্তু একটা আগুনেই তাঁরা ভবনে আটকে গেছেন। আজকে তাঁরা আটকে গেছেন, কালকে আমিও আটকাতে পারি, আপনি আটকে যেতে পারেন।’

বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে বা গার্মেন্টসে প্রতিনিয়ত অগ্নি মহড়াসহ সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয় উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘বাসা বাড়িতে সাধারণত সেটা হয় না। সত্যিকার অর্থে ফ্ল্যাট কেনেন কিংবা নিজে বাড়ি করেন, সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।’ 

ভবনটি বিল্ডিং কোড মেনেই করা হয়েছে। কিন্তু আর্থিং লাইন ও ইলেকট্রনিক লাইন একই পাইপে উঠেছে বলে অভিযোগ করেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘দুই লাইনের মাঝে সেপারেশন থাকে। সেটা যদি না থাকে বা মাঝে যদি কোনো দাহ্য পদার্থ থাকে তাহলে কিন্তু সেপারেশন হলো না। সেটা আমি ইঞ্জিনিয়ার ও ফায়ার সার্ভিসকে দেখতে বলেছি। সেন্ট্রাল এসি ছিল। সেটা থেকে কোনো কারণে আগুন লেগেছে কী না সেটা তদন্ত হবে। ফায়ার সার্ভিস আগুনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি করেছে।’ 

মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের অগ্নি সচেতনতামূলক কার্যক্রম আছে। আমরা বই দিয়েছি, মহড়া দিচ্ছি। সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন সোসাইটি রয়েছে—যেমন গুলশান সোসাইটি, বারিধারা সোসাইটি; তারা যদি এগিয়ে আসে আমাদের বই নেয়, মহড়ায় অংশ নেয়, কেন অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটে? ভূমিকম্প হলে কি করতে হবে? তা যদি শেখেন তাহলে অনেকটা সহজ হয়ে যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত