Ajker Patrika

ভারতে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে ঢাবিতে ‘আওয়াজ তোলো নারী’ সমাবেশ

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১৯: ৪১
ভারতে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে ঢাবিতে ‘আওয়াজ তোলো নারী’ সমাবেশ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসক মৌমিতাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কলকাতায় আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সমাবেশ করেছেন নারী শিক্ষার্থীরা। 

আজ শুক্রবার বিকেলে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘আওয়াজ তোলো নারী’ ব্যানারে সমাবেশ করেন একদল নারী শিক্ষার্থী। 

সমাবেশ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়ে ধর্ষকেরা বেঁচে যায়। রাষ্ট্র নারীকে ভালো চোখে দেখেনি। ধর্ষক ধর্ষকই, ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভারতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের সংহতি।’ 

সমাবেশে ঢাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমি বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনা-ভিডিও এগুলো ফেসবুকে প্রচার হয় ঠিকই, কিন্তু ধর্ষকের শাস্তি জনসমক্ষে দেওয়া হয় না। আমাদের ধর্ষকদের ব্যাপারে কিছুই জানানো হয় না। বরং গত ১৫ বছর যাবৎ ক্ষমতাসীনরা ধর্ষকদের আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমাদের দেশের আইন ফোর্সের স্বাধীনভাবে বিচার করার মতো স্বাধীনতা নেই। টাঙ্গাইলে গোলাম কিবরিয়া নামে একজনকে ধর্ষণের দায়ে কেবল দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়, সকলেই ছাত্রলীগ কর্মী, তাঁদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ষণের আজকের যে বয়ান তা পুরুষ বনাম নারী না। বরং রাষ্ট্র বনাম নারী বয়ান। নারীর নিরাপত্তাকে তারা কখনো অগ্রাধিকার দেয়নি, দিলে যেকোনো ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর তাদের তৎপরতা দেখা যেত।’ 

অবিলম্বে সব ধর্ষণের সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন ফাহমি। 

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘আইন নিয়ম-নীতি আগেও শক্ত ছিল। তবে এর ফাঁকফোকর দিয়ে অনেকেই বেরিয়ে যাচ্ছে। আমাদের আইনের যথাযথ প্রয়োগ চাই। বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে মেয়েরা স্বৈরাচার উৎখাত করেছে। তাঁরা কি সামান্য নিরাপত্তা পেতে পারে না? সরকারের কাছে সেই নিরাপত্তা চাই।’ 

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা—‘তনু থেকে মৌমিতা, কুমিল্লা থেকে কলকাতা; ধর্ষকের সাজা একটাই, মৃত্যু ছাড়া কথা নাই; জাস্টিস ফর মৌমিতা; স্টপ রেপ; এই অসুরদের জন্য মানবিকতা নয়, আমার মানবিকতা মৌমিতা-তনুদের সাথেই মরে গেছে; আওয়াজ তোলো নারী’ ইত্যাদি ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পশুর নদে পড়ে নিখোঁজ নারী পাইলটের লাশ উদ্ধার

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
নিহত রিয়ানা আবজাল। ছবি: সংগৃহীত
নিহত রিয়ানা আবজাল। ছবি: সংগৃহীত

মোংলার পশুর নদে পড়ে নিখোঁজ হওয়া আমেরিকাপ্রবাসী ও বিমানবাহিনীর সাবেক পাইলট নারী পর্যটক রিয়ানা আবজালের (২৮) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৭টার দিকে জয়মনিরঘোলের সরকারি খাদ্যগুদামের জেটি এলাকার পশুর নদ থেকে ভাসমান এ লাশটি উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। পরে লাশ চাঁদপাই নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গত শনিবার ১৩ জন পর্যটক সুন্দরবনের করমজল ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জালি বোটে যাত্রা শুরু করেন। বোটটি বেলা ১টার দিকে সুন্দরবনের ঢাংমারি খালসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে প্রবল ঢেউয়ে বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এরপর স্থানীয় বোটের সহায়তায় ১২ জন ট্যুরিস্টকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও একজনকে (রিয়ানা আবজাল) উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

পরবর্তীতে বোটে থাকা এক ব্যক্তি বিষয়টি কোস্ট গার্ডকে অবগত করেন। তার ভিত্তিতে কোস্ট গার্ডের দুটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। ৩ দিনের ধারাবাহিক অনুসন্ধানের পর সোমবার সকাল ৭টার দিকে মোংলার জয়মনি এলাকার সাইলোর জেটিসংলগ্ন পশুর নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ পর্যটক রিয়ানা আবজালের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

জানা গেছে, রিয়ানা আবজাল তাঁর বাবা-মা, ভাই-বোন ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুন্দরবন ভ্রমণে এসেছিলেন। রিয়ানার বাবা ঢাকার উত্তরার বাসিন্দা। তিনি পেশায় বিমানবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার। আর রিয়ানা বিমানবাহিনীর পাইলট ছিলেন। স্বামীসহ বসবাস করতেন আমেরিকায়। গত মাসের মাঝামাঝি আমেরিকা থেকে ঢাকায় আসেন রিয়ানা। ২০২১ সালে রিয়ানার বিয়ে হয় আমেরিকাপ্রবাসী স্বামীর সঙ্গে। তাঁদের কোনো সন্তান ছিল না।

এদিকে স্ত্রী নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর গতকাল রোববার স্বামী তৌহিদুল ইসলাম ঢাকায় আসেন। রিয়ানার বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, রিয়ানাকে কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে শ্বশুরবাড়িতে দাফন করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানুষের ডাকে জঙ্গল থেকে ছুটে আসে শিয়াল

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি 
কৃষক গিয়াস উদ্দিন ডাক দিলেই ছুটে আসে ‘লালু’। ছবি: আজকের পত্রিকা
কৃষক গিয়াস উদ্দিন ডাক দিলেই ছুটে আসে ‘লালু’। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সূর্যনারায়ণপুর গ্রামের কাওলারটেক এলাকায় কৃষক গিয়াস উদ্দিন (৪০) ও এক শিয়ালের মধ্যে গড়ে উঠেছে এক অনন্য বন্ধুত্বের সম্পর্ক। মানুষ ও বন্য প্রাণীর পারস্পরিক ভয়ের দেয়াল পেরিয়ে বিশ্বাসের এই ব্যতিক্রমী বন্ধন এখন এলাকায় আলোড়ন তুলেছে।

পেশায় কৃষক গিয়াস উদ্দিন স্ত্রী-সন্তানদের থেকে আলাদা নির্জন পরিবেশে বসবাস করেন। গরু, ছাগল, মুরগি, ভেড়ার পাশাপাশি তাঁর বিশেষ সঙ্গী এখন একটি শিয়াল, যার নাম তিনি দিয়েছেন ‘লালু’। প্রায় এক বছর আগে গিয়াস উদ্দিনের এক বন্ধু বনের ভেতর থেকে একটি সদ্য চোখ ফোটা শিয়াল ছানাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় খুঁজে পান। সেই ছানাটিকে বাড়িতে এনে লালনপালনের দায়িত্ব নেন গিয়াস উদ্দিন। এর পর থেকেই লালু তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।

এখন লালুর বয়স এক বছরের বেশি। সে রান্না করা ভাত, তরকারি, মাংস, পাউরুটি, বিস্কুট—সবই খেতে পারে। দিনের অধিকাংশ সময় লালু থাকে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির উঠানে কিংবা ঘরের ভেতরে। মাঝে মাঝে বনে চলে গেলেও গিয়াস উদ্দিনের ডাক শুনলেই ছুটে ফিরে আসে।

গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘লালুকে ছোট থেকে লালন করছি। তার প্রতি মায়া জন্মেছে। মনে হয়, যেন সে আমার বন্ধু। ফসলের খেতে কাজ করতে গেলে সে পাশে বসে থাকে। আমি যেখানেই যাই, সে আমাকে খুঁজে বের করে সেখানে হাজির হয়।’

প্রতিবেশী মো. আজিজুল বলেন, ‘দৃশ্যটা সত্যিই অসাধারণ। মানুষের এত কাছে এসে বন্য প্রাণীর এমন আচরণ বিরল। শিয়ালটি গিয়াস উদ্দিনকে বিশ্বাস করে বলেই সে মানুষের সঙ্গেই থাকে।’

তবে বন্য প্রাণীকে এত কাছাকাছি রাখা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ রয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘শিয়াল রেবিস ভাইরাস বহন করতে পারে, যা জলাতঙ্কের মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই এ ধরনের প্রাণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বিপজ্জনক। এ ছাড়া বন্য প্রাণী সংরক্ষণের দিক থেকেও বন বিভাগকে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।’

প্রকৃতি ও মানবতার এই অদ্ভুত সহাবস্থান এখন সূর্যনারায়ণপুর গ্রামে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। কেউ একে দেখছেন এক অসাধারণ বন্ধুত্বের গল্প হিসেবে, কেউবা ভাবছেন এর সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজীপুর সাফারি পার্কে উগান্ডার জাতীয় পাখির ছানার জন্ম

প্রতিনিধি, শ্রীপুর
সাফারি পার্কে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখির ছানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাফারি পার্কে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখির ছানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো উগান্ডার জাতীয় পাখি গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেনের ছানার জন্ম হলো। গাজীপুরের শ্রীপুরে সাফারি পার্কের ক্রাউন ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে ছানাটির জন্ম হয়েছে।

জানা গেছে, পার্কে এক জোড়া গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন আছে। এর আগে এরা ডিম দিলেও ছানা হয়নি। এবারই প্রথম ডিম ফুটে ছানার জন্ম হলো। কিছু দিন আগে ছানাটির জন্ম হয়। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ঝোপের আড়ালে এটিকে রেখে যত্ন নিচ্ছে। চলতি সপ্তাতে স্ত্রী ও পুরুষ পাখি আর ছানাটির একত্রে বিচরণ বেড়েছে। এখনো স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানাকে নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছে। ছানাকে সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখছে এই পাখির জুটি।

পার্ক সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি একটি ডিম পাড়ে। এরপর আরও দুটি ডিম পাড়ে। এরপর পার্ক কর্তৃপক্ষ এদের বিষয়ে আলাদা নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ায়। পার্কে ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে এক কোণে স্ত্রী পাখি ডিমে তা দিতে থাকে। স্ত্রী পাখি খাবার খেতে গেলে পুরুষ পাখিও ডিমে তা দেয়। পালা করেই স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ডিমে তা দিতে থাকে। তবে তিনটি ডিমের মধ্যে একটি ছানার জন্ম হয়।

পার্কের ধনেশ অ্যাভিয়ারিতে দায়িত্ব পালনকারী কর্মী সোহাগ হাসান জানান, সারা দিন অ্যাভিয়ারির ঘন জঙ্গলের ভেতরেই স্ত্রী ও পুরুষ পাখি ছানা নিয়ে লুকিয়ে থাকে। তবে দুপুরের দিকে পাখি দুটি বাচ্চা নিয়ে অল্প সময়ের জন্য আশপাশে বিচরণ করে। এ সময় স্ত্রী ও পুরুষ পাখির মাঝখানে হাঁটতে দেখা যায় ছানাটিকে।

সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি আফ্রিকার দেশ উগান্ডার জাতীয় পাখি। এটি সাফারি পার্কে ২০১৩ সালের দিকে আনা হয়েছিল। এরপর বেশ কয়েকবার ডিম পাড়লেও বাচ্চা টিকেনি। তিনি দাবি করেন, এবারই প্রথম দেশে গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখির ছানা হলো। উন্মক্ত পরিবেশে এই পাখি ২০ বছর বাঁচলেও আবদ্ধ পরিবেশে ২৫ বছর পর্যন্ত বাঁচার রেকর্ড আছে। তিন বছর বয়সে এরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়। এরপর তারা সঙ্গী বাছাই করে। গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি একবার জুটি বাঁধলে সারাজীবন একসঙ্গে থাকে।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (সহকারী বন সংরক্ষক) মো. তারেক রহমান বলেন, ‘সাফারি পার্কে প্রথমবার গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন পাখি একটি বাচ্চা ফুটিয়েছে। আশা করি, বাচ্চাটি সারভাইভ করবে। এই পাখির জুটি আরও সুখবর দেবে বলে আমি আশাবাদী।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজবাড়ীর পাংশায় পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুল সাত্তার মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক অশোক কুমার এ রায় দেন। রায়ের সময় দুই আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন মিরাজ মৃধা (পলাতক), সাঈদ মৃধা, মনিরুল শেখ, আশরাফুল শেখ, আশরাফ শেখ, আছাদ শেখ, দিলু মৃধা, তোফাজ্জেল ওরফে তোফা, মাহাতাব শেখ, ঠান্ডা মৃধা (পলাতক)।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৬ জুন পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের জাগিরমালঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল সাত্তার মৃধাকে পারিবারিক কলহের জেরে ঈদের দিন সকালে গলা কেটে হত্যা করেন তাঁর ভাই-ভাতিজারা। পরদিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনকে খালাস দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত