নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করা হয়। অবৈধ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মূল চেতনায় কুঠারাঘাত করা হয়। পরবর্তী সময়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ’৭২-এর সংবিধানের মূল চেতনা অনেকটাই পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এই সংবিধান সমুন্নত রাখতে হলে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে বলেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এই সংবিধান তখনই সফল হবে, যখন বাংলার মানুষ ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বঞ্চনা ও বৈষম্যমুক্ত হয়ে উন্নত জীবন পাবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হওয়ার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্পিকার।
শিরীন শারমীন বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। একইভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ, সুবিচার নিশ্চিত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বিচারকাজ গতিশীল করার মধ্য দিয়ে বিচারপ্রার্থীর বিচার সহজ করতে সুপ্রিম কোর্ট ও জাতীয় সংসদ অনন্য ভূমিকা পালন করছে।’
স্পিকার আরও বলেন, সংবিধানে সমাজতন্ত্রের যে কথা বলা হয়েছে, তার মূল কথা হচ্ছে শোষণমুক্ত সমাজ। আর শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা তখনই হবে, যখন ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাস হবে। সবার মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, সুবিচার, সাম্য নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এই ধরা অব্যাহত রেখে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিত প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘স্বাধীন বিচারব্যবস্থা ছাড়া কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক সমাজের উন্নতি আশা করা যায় না। সংবিধানের বিধানসমূহ সমুন্নত রাখার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার অবিচল অঙ্গীকারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে বাংলার মাটিতে উঁচু হয়ে আছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচার বিভাগ চীরকালই প্রজাতন্ত্রের অন্যতম অঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। সুপ্রিম কোর্ট সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে কখনোই পিছপা হয়নি। পূর্বের সামরিক শাসন অবৈধ ঘোষণা করেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সংবিধান প্রণয়ন করার পর সংসদীয় শাসনব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করতে, শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আত্মনিয়োগ করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, তাঁর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ভেঙে দেয় একাত্তরের পরাজিত শক্তি। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সংবিধানকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তারা সংবিধানবহির্ভূতভাবে দেশ চালিয়েছে। সংবিধান থেকে জাতীয়তাবাদের ভিত্তি মুছে ফেলা হয়েছিল। সামরিক শাসকেরা সংবিধান নিয়ে ফুটবল খেলেছে। এক কথায় বলা যায়, বাংলাদেশের সংবিধানের মূল চরিত্র পাল্টে সেখানে পাকিস্তানি ভাবধারা যুক্ত করা হয়েছিল। সৌভাগ্য বাংলাদেশের, ২০১১ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণকে আবার ’৭২-এর সংবিধানের চার মূলনীতিতে ফিরিয়ে দিয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান নিয়ে ফুটবল খেলার পথ চিরতরে রুদ্ধ করা হয়েছে।’
এদিকে পাঠ্যপুস্তকে সংবিধান পাঠ ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আবশ্যিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দেন সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে ড. কামাল হোসেন উপস্থিত থাকলেও মঞ্চে যাননি এবং কোনো বক্তব্য দেননি। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বেশ কয়েকজন সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের নামে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এই ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করা হয়। অবৈধ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মূল চেতনায় কুঠারাঘাত করা হয়। পরবর্তী সময়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ’৭২-এর সংবিধানের মূল চেতনা অনেকটাই পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এই সংবিধান সমুন্নত রাখতে হলে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে বলেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এই সংবিধান তখনই সফল হবে, যখন বাংলার মানুষ ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বঞ্চনা ও বৈষম্যমুক্ত হয়ে উন্নত জীবন পাবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হওয়ার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্পিকার।
শিরীন শারমীন বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। একইভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ, সুবিচার নিশ্চিত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বিচারকাজ গতিশীল করার মধ্য দিয়ে বিচারপ্রার্থীর বিচার সহজ করতে সুপ্রিম কোর্ট ও জাতীয় সংসদ অনন্য ভূমিকা পালন করছে।’
স্পিকার আরও বলেন, সংবিধানে সমাজতন্ত্রের যে কথা বলা হয়েছে, তার মূল কথা হচ্ছে শোষণমুক্ত সমাজ। আর শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা তখনই হবে, যখন ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাস হবে। সবার মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, সুবিচার, সাম্য নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এই ধরা অব্যাহত রেখে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিত প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘স্বাধীন বিচারব্যবস্থা ছাড়া কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক সমাজের উন্নতি আশা করা যায় না। সংবিধানের বিধানসমূহ সমুন্নত রাখার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার অবিচল অঙ্গীকারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে বাংলার মাটিতে উঁচু হয়ে আছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচার বিভাগ চীরকালই প্রজাতন্ত্রের অন্যতম অঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। সুপ্রিম কোর্ট সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে কখনোই পিছপা হয়নি। পূর্বের সামরিক শাসন অবৈধ ঘোষণা করেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সংবিধান প্রণয়ন করার পর সংসদীয় শাসনব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করতে, শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আত্মনিয়োগ করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, তাঁর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ভেঙে দেয় একাত্তরের পরাজিত শক্তি। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সংবিধানকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তারা সংবিধানবহির্ভূতভাবে দেশ চালিয়েছে। সংবিধান থেকে জাতীয়তাবাদের ভিত্তি মুছে ফেলা হয়েছিল। সামরিক শাসকেরা সংবিধান নিয়ে ফুটবল খেলেছে। এক কথায় বলা যায়, বাংলাদেশের সংবিধানের মূল চরিত্র পাল্টে সেখানে পাকিস্তানি ভাবধারা যুক্ত করা হয়েছিল। সৌভাগ্য বাংলাদেশের, ২০১১ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণকে আবার ’৭২-এর সংবিধানের চার মূলনীতিতে ফিরিয়ে দিয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান নিয়ে ফুটবল খেলার পথ চিরতরে রুদ্ধ করা হয়েছে।’
এদিকে পাঠ্যপুস্তকে সংবিধান পাঠ ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আবশ্যিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দেন সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে ড. কামাল হোসেন উপস্থিত থাকলেও মঞ্চে যাননি এবং কোনো বক্তব্য দেননি। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বেশ কয়েকজন সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের নামে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এই ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৬ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৬ ঘণ্টা আগে