Ajker Patrika

সাকরাইনে মেতেছে পুরান ঢাকা

জবি প্রতিনিধি
সাকরাইনে মেতেছে পুরান ঢাকা

পৌষের বিদায়ক্ষণ আজ। বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশে পৌষের শেষ দিনটিতে পুরান ঢাকাবাসী সাকরাইন পালন করে থাকে। আজ শনিবার সূর্যোদয় থেকেই পুরান ঢাকার বাসা-বাড়ির ছাদ থেকে শুরু হয়েছে ঘুড়ি উড়ানো। একই সঙ্গে সাউন্ড সিস্টেমে চলছে ডিজে। ঘুড়ি উড়ানোর জন্য সুতা মাঞ্জা দেওয়া থেকে শুরু করে পিঠা বানানোর ধুম পড়েছে। 

সাকরাইনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই পুরান ঢাকার বাসা-বাড়ির ছাদে নানা আকার ও রঙের অসংখ্য ঘুড়ি আকাশে উড়েছে। এছাড়াও ছাদে জমকালো আলোকসজ্জা, আতশবাজি ফুটানো এবং ডিজে গানের সঙ্গে মুখে আগুন নিয়ে ফায়ার শো করতে দেখা গেছে তরুণ-তরুণীদের। এবারও সাকরাইন উদ্যাপনের রাতে সব ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা ফোটানো বা ফানুস ওড়ানো ডিএমপি থেকে নিষিদ্ধ করা হলেও চারদিকে আতশবাজি ফুটানোর ধুম দেখা গেছে। তবে এবার ফানুশের সংখ্যা আগের তুলনায় কম ছিল। 

সাকরাইন উৎসব ঘুড়ি উৎসব নামে পরিচিত হলেও বর্তমানে ঘুড়ি উড়ানোর থেকে সাউন্ড সিস্টেমে ডিজে, আতশবাজি আর মুখে আগুন নিয়ে খেলাকে এখন বড় করে দেখা হয়। 

বাংলাবাজার প্যারিদাস রোডের মুদি দোকানি শিমুল বলেন, ‘আগে আমরা দেখতাম সাকরাইনে সারা দিন ঘুড়ি উড়ানো হতো আর সন্ধ্যার পর ডিজে হতো কিন্তু এখন একদিন আগে থেকে সাউন্ড বক্সে উচ্চ স্বরে গান বাজানো শুরু হয়। গতকাল থেকে জোরে জোরে গান বাজছে খুবই অস্বস্তিতে আছি।’ 

পুরান ঢাকার শিংটোলা একটি মেসে থাকেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরীফ। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল আমার পরীক্ষা ভাবলাম সাকরাইনের একদিন আগে পড়ে রাখব কিন্তু উপায় পেলাম না। এবার একদিন আগে থেকে গান বাজানো শুরু হয়ে গেছে। আগের সাকরাইনের যে ঐতিহ্য সম্পর্কে আমরা জেনেছি তা এখন আর কেউ মানছে না। এখন শুধু গান আর আতশবাজি বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। পড়া, ঘুম কিছুই ঠিকমতো হচ্ছে না।’ 

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে পুরান ঢাকার বাংলা বাজার, গেন্ডারিয়া, লক্ষ্মীবাজার, ফরাশগঞ্জ, সূত্রাপুর, নারিন্দাসহ পুরান ঢাকার বাসা-বাড়ির ছাদে ঘুড়ি উড়ানো শুরু হয়। তবে এবার ছোট ছেলে মেয়েদের বেশি ঘুড়ি উড়াতে দেখা গেছে, বড়দের ডিজে নিয়েই বেশি ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় আতশবাজি ফুটানো। সন্ধ্যা গড়ালে বাড়তে থাকে আতশবাজি, সাউন্ড সিস্টেম আর নাচ-গানের পালা। 

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের একটি বাসার ছাদে কথা হয় এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সাকরাইন আমাদের ঐতিহ্য। প্রতিবছরই আমরা এটা পালন করে থাকি। এবারও পালন করছি। বন্ধু-বান্ধব সবাই মিলে এদিনটাতে আমরা অনেক মজা করি।’ 

সূত্রাপুর থানার এস আই নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবারও আতশবাজি আর ফানুশ উড়ানো আমাদের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা এ নিয়ে প্রচারণাও করেছি।’ 

বাসার ছাদে প্রোগ্রামগুলো কতক্ষণ চলবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এবারের গান-বাজনার প্রোগ্রাম রাত ১২টার মধ্যে শেষ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’ 

উল্লেখ্য, প্রতিবারের মতো এবারও নানা দিক থেকে অনেকে ভিড় জমিয়েছে পুরান ঢাকায়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত