ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের মধুখালীর কালীমন্দিরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে স্কুলের নির্মাণশ্রমিকদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না, নিছক সন্দেহের বশে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাঁদের ওপর হামলা চালান বলে দাবি করেছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্রমিকেরা। এই আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লির কৃষ্ণনগর গ্রামের কালীমন্দিরের মূর্তিতে আগুন লাগে। এলাকাবাসী এর জন্য পাশের পঞ্চপল্লি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট নির্মাণের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের দোষারোপ করে রাত ৯টার দিকে তাঁদের মারধর করে। এ ঘটনায় সহোদর দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আরও কয়েকজন চিকিৎসাধীন।
তাঁদের একজন নান্নু মন্ডল ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পঞ্চমতলার সার্জারি বিভাগে ভর্তি। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তাঁকে ঘিরে বসে আছেন বাবা আহমেদ আলী মন্ডলসহ স্বজনেরা। সকালেই খবর পেয়ে নওপাড়া ইউনিয়নের তারাপুর গ্রাম থেকে ছুটে আসেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার দুপুরে কথা হয় নান্নু মন্ডলের সঙ্গে। মন্দিরে কীভাবে আগুন লেগেছে, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। এই শ্রমিক বলেন, ‘মন্দিরে আগুন লাগলে আমাদের দোষারোপ করে মারধর শুরু করে এলাকার হিন্দুরা। আমরা মন্দিরে আগুন দিইনি, আমরা কেন আগুন দিতে যাব?’
নান্নু মন্ডলের পাশের বেডে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় মো. সিরাজ শেখ নামে অপর এক গুরুতর আহত শ্রমিককে। তিনি বোয়ালমালী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ময়না গ্রামের বাসিন্দা। চিকিৎসকেরা জানান, তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। তাঁর পাশে চুপচাপ বসে থাকতে দেখা গেছে স্ত্রীকে।
তাঁর স্ত্রী এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কাজে বের হয়ে আজ সে মৃত্যুমুখী। বিনা কারণে আমার স্বামীসহ অন্যদের যারা মারধর করেছে, সরকারের কাছে তাদের বিচারের দাবি জানাই। তাদের কঠিন শাস্তি চাই।’
পঞ্চপল্লি এলাকা পাঁচটি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এই পঞ্চপল্লি হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। গতকাল রাতে পঞ্চপল্লির কৃষ্ণনগর গ্রামের এই কালীমন্দিরে সন্ধ্যাবাতি দেন তপতী মন্ডল নামে এক নারী। প্রতিদিনই তিনি সন্ধ্যাবাতি দিয়ে থাকেন।
তপতী মন্ডল রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রশাসনকে বলেন, ‘মায়ের ঘরে (কালীমন্দির) সন্ধ্যাবাতি দিচ্ছিলাম। তখন শ্রমিকেরা জানালা দিয়ে দেখছিল। এরপর আমি বাড়ি গিয়েছিলাম। তখন ওরা (শ্রমিকেরা) ওপরে রড ওঠাচ্ছিল আর নিজেরাই বকাবাজি করছিল। এরপর আমি চিৎকার শুনতে পাই। এগিয়ে গিয়ে দেখি মা একদম পুড়ে গেছে। মুহূর্তে লোকজন জড়ো হয়ে গেল। এরপর কী হলো দেখিনি। এ ছাড়া কারা মন্দিরে আগুন দিয়েছে তা-ও জানি না।’
ফরিদপুরের মধুখালীর কালীমন্দিরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে স্কুলের নির্মাণশ্রমিকদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না, নিছক সন্দেহের বশে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাঁদের ওপর হামলা চালান বলে দাবি করেছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্রমিকেরা। এই আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লির কৃষ্ণনগর গ্রামের কালীমন্দিরের মূর্তিতে আগুন লাগে। এলাকাবাসী এর জন্য পাশের পঞ্চপল্লি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট নির্মাণের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের দোষারোপ করে রাত ৯টার দিকে তাঁদের মারধর করে। এ ঘটনায় সহোদর দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আরও কয়েকজন চিকিৎসাধীন।
তাঁদের একজন নান্নু মন্ডল ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পঞ্চমতলার সার্জারি বিভাগে ভর্তি। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তাঁকে ঘিরে বসে আছেন বাবা আহমেদ আলী মন্ডলসহ স্বজনেরা। সকালেই খবর পেয়ে নওপাড়া ইউনিয়নের তারাপুর গ্রাম থেকে ছুটে আসেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার দুপুরে কথা হয় নান্নু মন্ডলের সঙ্গে। মন্দিরে কীভাবে আগুন লেগেছে, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। এই শ্রমিক বলেন, ‘মন্দিরে আগুন লাগলে আমাদের দোষারোপ করে মারধর শুরু করে এলাকার হিন্দুরা। আমরা মন্দিরে আগুন দিইনি, আমরা কেন আগুন দিতে যাব?’
নান্নু মন্ডলের পাশের বেডে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় মো. সিরাজ শেখ নামে অপর এক গুরুতর আহত শ্রমিককে। তিনি বোয়ালমালী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ময়না গ্রামের বাসিন্দা। চিকিৎসকেরা জানান, তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। তাঁর পাশে চুপচাপ বসে থাকতে দেখা গেছে স্ত্রীকে।
তাঁর স্ত্রী এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কাজে বের হয়ে আজ সে মৃত্যুমুখী। বিনা কারণে আমার স্বামীসহ অন্যদের যারা মারধর করেছে, সরকারের কাছে তাদের বিচারের দাবি জানাই। তাদের কঠিন শাস্তি চাই।’
পঞ্চপল্লি এলাকা পাঁচটি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এই পঞ্চপল্লি হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। গতকাল রাতে পঞ্চপল্লির কৃষ্ণনগর গ্রামের এই কালীমন্দিরে সন্ধ্যাবাতি দেন তপতী মন্ডল নামে এক নারী। প্রতিদিনই তিনি সন্ধ্যাবাতি দিয়ে থাকেন।
তপতী মন্ডল রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রশাসনকে বলেন, ‘মায়ের ঘরে (কালীমন্দির) সন্ধ্যাবাতি দিচ্ছিলাম। তখন শ্রমিকেরা জানালা দিয়ে দেখছিল। এরপর আমি বাড়ি গিয়েছিলাম। তখন ওরা (শ্রমিকেরা) ওপরে রড ওঠাচ্ছিল আর নিজেরাই বকাবাজি করছিল। এরপর আমি চিৎকার শুনতে পাই। এগিয়ে গিয়ে দেখি মা একদম পুড়ে গেছে। মুহূর্তে লোকজন জড়ো হয়ে গেল। এরপর কী হলো দেখিনি। এ ছাড়া কারা মন্দিরে আগুন দিয়েছে তা-ও জানি না।’
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
১২ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে টর্নেডো সৃষ্টি হয়ে পানি আকাশে উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে এ দৃশ্যের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া...
১ ঘণ্টা আগে২০০৭ সালে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তাঁর স্ত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালে হাইকোর্ট তাঁদের খালাস দেন। পরবর্তীতে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল কর
১ ঘণ্টা আগে