অনলাইন ডেস্ক
নাগরিক সমস্যা সমাধানে মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন ‘সবার ঢাকা অ্যাপ’ ২০২১ সালের জানুয়ারিতে উন্মোচন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এই অ্যাপের মাধ্যমে নগরবাসী সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন। জানাতে পারবেন সমস্যা ও অভিযোগ।
ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ অভিযোগ করেছেন, ওই অ্যাপের পাসওয়ার্ড হস্তান্তর করা হচ্ছে না। পাসওয়ার্ড না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।
প্রশাসক এজাজ বলেন, তৎকালীন সরকার ৪ কোটি টাকা খরচ করে অ্যাপটি বানিয়েছে।
গতকাল রোববার ডিএনসিসির ১৪ নং ওয়ার্ডের কিছু কাজের উদ্বোধন ও গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোহাম্মদ এজাজ এ কথা বলেন। এদিনে অন্তর্গত পশ্চিম শেওড়াপাড়া, পশ্চিম কাজীপাড়া ও সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় মোট ৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৫ কিলোমিটার নর্দমা ও দেড় কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় সোসাইটি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতা পাচ্ছি। সবার অংশগ্রহণ বাড়াতে আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে গণশুনানি করছি। প্রতি মাসে ফেসবুক লাইভে দেশের এবং বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সঙ্গেও যুক্ত হচ্ছি। ডিএনসিসির ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপ আছে, সেটির পাসওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের দিচ্ছে না। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা ৪ কোটি টাকা খরচ করে এই অ্যাপ বানিয়েছে। পাসওয়ার্ড না দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিব।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রকল্পটি কবে শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কত টাকা বরাদ্দ আছে এসব তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এ ছাড়া রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ হলে নির্মাণ সামগ্রী কি সেটা জনগণের জানা দরকার। যখন জনগণ জানবে তখন তারা জবাবদিহি করতে পারবে।
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন।
নির্মাণকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, অ্যান্ড্রয়েডে প্লে স্টোর থেকে ‘Shobar Dhaka-Citizen portal for DNCC’ নামে অ্যাপটি পাওয়া যায়।
অ্যাপটিতে রাস্তা, মশা, আবর্জনা, সড়ক বাতি, পাবলিক টয়লেট, নর্দমা, অবৈধ স্থাপনা নামে পৃথক বিভাগ রয়েছে। ব্যবহারকারী যেকোনো বিভাগ নির্বাচন করে সে সম্পর্কিত সমস্যা ও পরামর্শ জানাতে পারবেন। যেমন, রাস্তা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা বা পরামর্শ জানাতে ‘রাস্তা’ নামের বিভাগে ট্যাপ করলে একটি ফর্ম চলে আসবে।
সেখানে সংশ্লিষ্ট ছবি, ঠিকানা, সমস্যার ধরন ও বিস্তারিত লেখার অপশন থাকবে।
এগুলো ঠিকঠাক পূরণ করে দিলে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাহী প্রকৌশলী ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে তথ্য চলে যাবে। একইভাবে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, বর্জ্যের জন্য বর্জ্য কর্মকর্তা, অবৈধ স্থাপনার জন্য সম্পত্তি কর্মকর্তার কাছে এই অ্যাপের মাধ্যমে সমস্যা বা পরামর্শ জানানো যাবে।
নাগরিকেরা অভিযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে তা পৌঁছে যাবে সিটি করপোরেশনের কাছে। সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সরেজমিনে সমস্যাটি দেখে কত দিনে সমাধান সম্ভব তা ব্যবহারকারীকে জানাবেন। অভিযোগ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে সমাধানের সম্ভাব্য সময় জানানো হবে। আর জবাব জানাতে ব্যর্থ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি জেনে যাবেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আর সমাধান না পেলে সবশেষে বিষয়টি অভিযোগ হিসেবে চলে যাবে মেয়রের কাছে পাশাপাশি সরকারি সেবা সংস্থার বিভিন্ন কল সেন্টারের জরুরি নম্বর যেমন-সরকারি তথ্যের জন্য ৩৩৩, জরুরি সেবা ৯৯৯, দুদক ১০৬, দুর্যোগের আগাম বার্তার জন্য ১০৯০-সহ অন্যান্য পরিষেবার তথ্য পাওয়া যাবে এই অ্যাপে।
এ ছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ঘোষণা, ব্রেকিং নিউজ, সিটি করপোরেশনের সেবা সংক্রান্ত যেকোনো বিজ্ঞপ্তি থাকবে এর স্কলার বিভাগে।
রাজধানীর বিভিন্ন চলমান অনুষ্ঠান ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস থাকে ‘আজকের ঢাকা’ বিভাগে।
নিকটবর্তী সেবার আওতায় পার্কিং, গ্যাস স্টেশন, পাবলিক টয়লেট, হাসপাতাল, এটিএম, পার্ক ও পুলিশ স্টেশনসহ জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা, অবস্থান এবং যাওয়ার পদ্ধতিও উল্লেখ করা আছে।
আরও খবর পড়ুন:
নাগরিক সমস্যা সমাধানে মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন ‘সবার ঢাকা অ্যাপ’ ২০২১ সালের জানুয়ারিতে উন্মোচন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এই অ্যাপের মাধ্যমে নগরবাসী সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন। জানাতে পারবেন সমস্যা ও অভিযোগ।
ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ অভিযোগ করেছেন, ওই অ্যাপের পাসওয়ার্ড হস্তান্তর করা হচ্ছে না। পাসওয়ার্ড না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।
প্রশাসক এজাজ বলেন, তৎকালীন সরকার ৪ কোটি টাকা খরচ করে অ্যাপটি বানিয়েছে।
গতকাল রোববার ডিএনসিসির ১৪ নং ওয়ার্ডের কিছু কাজের উদ্বোধন ও গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোহাম্মদ এজাজ এ কথা বলেন। এদিনে অন্তর্গত পশ্চিম শেওড়াপাড়া, পশ্চিম কাজীপাড়া ও সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় মোট ৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৫ কিলোমিটার নর্দমা ও দেড় কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় সোসাইটি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতা পাচ্ছি। সবার অংশগ্রহণ বাড়াতে আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে গণশুনানি করছি। প্রতি মাসে ফেসবুক লাইভে দেশের এবং বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সঙ্গেও যুক্ত হচ্ছি। ডিএনসিসির ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপ আছে, সেটির পাসওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের দিচ্ছে না। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা ৪ কোটি টাকা খরচ করে এই অ্যাপ বানিয়েছে। পাসওয়ার্ড না দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিব।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রকল্পটি কবে শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কত টাকা বরাদ্দ আছে এসব তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এ ছাড়া রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ হলে নির্মাণ সামগ্রী কি সেটা জনগণের জানা দরকার। যখন জনগণ জানবে তখন তারা জবাবদিহি করতে পারবে।
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন।
নির্মাণকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, অ্যান্ড্রয়েডে প্লে স্টোর থেকে ‘Shobar Dhaka-Citizen portal for DNCC’ নামে অ্যাপটি পাওয়া যায়।
অ্যাপটিতে রাস্তা, মশা, আবর্জনা, সড়ক বাতি, পাবলিক টয়লেট, নর্দমা, অবৈধ স্থাপনা নামে পৃথক বিভাগ রয়েছে। ব্যবহারকারী যেকোনো বিভাগ নির্বাচন করে সে সম্পর্কিত সমস্যা ও পরামর্শ জানাতে পারবেন। যেমন, রাস্তা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা বা পরামর্শ জানাতে ‘রাস্তা’ নামের বিভাগে ট্যাপ করলে একটি ফর্ম চলে আসবে।
সেখানে সংশ্লিষ্ট ছবি, ঠিকানা, সমস্যার ধরন ও বিস্তারিত লেখার অপশন থাকবে।
এগুলো ঠিকঠাক পূরণ করে দিলে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাহী প্রকৌশলী ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে তথ্য চলে যাবে। একইভাবে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, বর্জ্যের জন্য বর্জ্য কর্মকর্তা, অবৈধ স্থাপনার জন্য সম্পত্তি কর্মকর্তার কাছে এই অ্যাপের মাধ্যমে সমস্যা বা পরামর্শ জানানো যাবে।
নাগরিকেরা অভিযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে তা পৌঁছে যাবে সিটি করপোরেশনের কাছে। সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সরেজমিনে সমস্যাটি দেখে কত দিনে সমাধান সম্ভব তা ব্যবহারকারীকে জানাবেন। অভিযোগ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে সমাধানের সম্ভাব্য সময় জানানো হবে। আর জবাব জানাতে ব্যর্থ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি জেনে যাবেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আর সমাধান না পেলে সবশেষে বিষয়টি অভিযোগ হিসেবে চলে যাবে মেয়রের কাছে পাশাপাশি সরকারি সেবা সংস্থার বিভিন্ন কল সেন্টারের জরুরি নম্বর যেমন-সরকারি তথ্যের জন্য ৩৩৩, জরুরি সেবা ৯৯৯, দুদক ১০৬, দুর্যোগের আগাম বার্তার জন্য ১০৯০-সহ অন্যান্য পরিষেবার তথ্য পাওয়া যাবে এই অ্যাপে।
এ ছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ঘোষণা, ব্রেকিং নিউজ, সিটি করপোরেশনের সেবা সংক্রান্ত যেকোনো বিজ্ঞপ্তি থাকবে এর স্কলার বিভাগে।
রাজধানীর বিভিন্ন চলমান অনুষ্ঠান ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস থাকে ‘আজকের ঢাকা’ বিভাগে।
নিকটবর্তী সেবার আওতায় পার্কিং, গ্যাস স্টেশন, পাবলিক টয়লেট, হাসপাতাল, এটিএম, পার্ক ও পুলিশ স্টেশনসহ জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা, অবস্থান এবং যাওয়ার পদ্ধতিও উল্লেখ করা আছে।
আরও খবর পড়ুন:
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে তালা ঝোলানোর পর ক্যাম্পাসের মেধা শহীদ চত্বরে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন...
২ মিনিট আগেক্র্যাফট ইন্সট্রাকটরদের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতি সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের রায় বাতিল, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিলসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের শাটডাউন কর্মসূচি চলছে।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন মোগরখাল এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে আরও একজন নারী মারা গেছেন। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার গুজিরকোনা গ্রামের ৫২ বছর বয়সী খায়রুল বাসার। ১৯৯৩ সালে এসএসসি ও ১৯৯৫ সালে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। তবে ইচ্ছা থাকলেও পারিবারিক সমস্যার কারণে আর পড়াশোনা করতে পারেননি।
১ ঘণ্টা আগে