Ajker Patrika

হত্যাচেষ্টা মামলায় পলক, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জাহাংগীর আলম গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ৩৫
জুনাইদ আহমেদ পলককে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম। ছবি: সংগৃহীত
জুনাইদ আহমেদ পলককে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

আরও একটি হত্যা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা এক মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।

আজ সোমবার দুজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা পৃথক পৃথকভাবে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে পৃথক পৃথক আদেশে আদালত তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।

দুজনের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আইনজীবী রাখী জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার কাফরুলে আব্দুল আলিম নামের এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

অন্যদিকে রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির পক্ষ থেকে করা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার এসআই মো. শাহ আলম।

এই মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই কাফরুলের হারমান মেইনার স্কুলের গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুল হালিম। তাঁর চোখে গুলি লাগে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে গত ১ এপ্রিল তিনি মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে জাহাংগীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক সৈয়দ সাজেদুর রহমান।

আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আসামি করে মামলা করে বিএনপি। মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়। গত ২২ জুন বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ ছাড়া এই মামলায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে। পরে এ মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের ধারা যোগ করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওই তিন নির্বাচনে ‘গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম, খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পর পলক ও জাহাংগীরকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত