Ajker Patrika

৯ ঘণ্টা পর মুক্ত গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য 

প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ 
৯ ঘণ্টা পর মুক্ত গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য 

প্রায় ৯ ঘণ্টা পর গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম মাহবুব অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক মাস্টার রোলের কর্মচারীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের গেটে একাধিক তালা লাগিয়ে দেয়।

এ ঘটনার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. খাইরুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেন।

পরে এ সমস্যা সমাধানে উপাচার্যকে প্রধান করে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কর্মচারীরা উপাচার্যের তালা খুলে দেন। এর আগে গত ১৬ জুন একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে তাঁদের অফিসে ৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। 

এ বিষয়ে আন্দোলনকারী কর্মচারী বিপ্লব দে বলেন, ‘আমরা বেতন বঞ্চিত। উপাচার্য আমাদের জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ডে টাকা নাই তাই তিনি বেতন দিতে পারবেন না। আমরা দীর্ঘদিন একটা আন্দোলনে ছিলাম। ১৬ জুন তাঁকে অবরুদ্ধ করার পর তিনি আমাদের আশ্বাস দেন। তারপর আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করি। কিন্তু তিনি সেই কথা রাখেন নি। এখন তিনি বেতন নিয়ে নয়-ছয় করছেন। আমাদের নিয়ে তাঁর ভবিষ্যৎ কোনো পরিকল্পনা নাই। এ ছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিতাড়িত করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। এসব কথা আপত্তিকর, আমরা শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করি। তাই আমরা উপাচার্যের কক্ষে তালা দিয়েছিলাম। পরে আলোচনাসভা শেষে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে আমরা রাত সাড়ে ৮টার দিকে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেই।’ 

অবরুদ্ধের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম মাহবুব বলেন, মাস্টাররোলের কর্মচারীদের কোন বৈধতা নাই। আগের উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু নিজেদের লোক আছে। তাঁরা দুর্নীতি করে এদের বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দিয়েছে। এদের সবাই অবৈধ এমনকি তাঁদের কোন অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পর্যন্ত নেই। আমরা বিষয়টি ইউজিসিকে জানিয়েছি। ইউজিসি তাদের ব্যাপারে এখানো কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি। তারপরও আন্দোলনের মুখে আমরা আলোচনা করে একটি কমিটি গঠন করেছি। কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্টবোর্ডের সদস্য ও ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেবেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত