Ajker Patrika

গৃহকর্মী মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রীসহ সাংবাদিকের জামিন নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৪, ২০: ০৫
গৃহকর্মী মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রীসহ সাংবাদিকের জামিন নামঞ্জুর

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাংবাদিক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন জামিন নামঞ্জুর করেন।

অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর দায়ের করা ওই মামলায় বিকেলে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট চৈতন্য চন্দ্র হালদার, মুনজুর আলম, সঞ্জীব চন্দ্র দাস, মো. হাফিজুর রহমান, কাজল রায় ও গাজী হাসান মাহমুদ।

আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, আসামিদের গৃহকর্মী পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। তাকে কেউ নির্যাতন করেনি। মামলার এজাহার অনুযায়ী এই মামলার ধারা জামিনযোগ্য অপরাধ। আসামিরা দেড় মাস কারাগারে আছেন।

আইনজীবীরা এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত উদ্ধৃত করে বলেন, জামিনযোগ্য ধারায় আটক ব্যক্তিকে আদালত জামিন দেবেন। আসামি জামিনে থাকা অধিকার। এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। 

শুনানি শেষে আদালত পরে আদেশ দেবেন বলে জানান। পরে বিকেল ৫টার দিকে আদালত আদেশ দেন এবং জামিন নামঞ্জুর করেন। সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নুরুল মুত্তাকিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক (৬৫) ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে (৪৭) গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত ওই দিন রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

এরপর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুজনকে চার দিনের রিমান্ড নেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড শেষে তাঁদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি নিহত কিশোরীর বাবা লোকেশ উরাং বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে ৩০৪/ক ধরায় মামলা নেওয়া হয়। 

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টার দিকে খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সে সময় স্থানীয়রা ওই বাড়ির ফটকে জড়ো হয়ে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে সৈয়দ আশফাকুল হক, তাঁর স্ত্রী তানিয়াসহ ওই বাসা থেকে ছয়জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর সৈয়দ আশফাকুল হকের ছেলে, মেয়ে ও দুজন স্বজনকে থানা থেকে ছেড়ে দেন। দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠান।

মামলায় বলা হয়, সৈয়দ আশফাকুল হকের ভবনের নয়তলায় বারান্দায় কোনো নিরাপত্তামূলক বেষ্টনী না থাকায় থাই গ্লাসের ফাঁক দিয়ে গৃহকর্মী প্রীতি উরাং পড়ে গিয়ে মারা যায়। এতে বাসার মালিকের ও তাঁর স্ত্রীর দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত