নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছেন হোটেলটির চাকরিচ্যুত কয়েকজন কর্মী।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন তাঁরা। বৈষম্যের শিকার এবং বেআইনিভাবে চাকরিচ্যুত শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারের ইন্ডিয়াপ্রীতির কারণে কিছু রাজনৈতিক নেতা, কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত বিএসএলের (বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং হোটেলের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় ইন্ডিয়ান জিএম নিয়োগপ্রাপ্ত হন। যিনি এই হোটেলে ইন্ডিয়ান রাজত্ব কায়েম করতে চান এবং হোটেলের কর্মীদের সঙ্গে শাসকের মতো আচরণ করেন; যা আমাদের দেশীয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক; যা কর্মপরিবেশ ধ্বংস করে দিয়েছে।’
এদের অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারণে বিআইসিসি লস প্রজেক্টে পরিণত হয়। যেখানে পিডব্লিউডি প্রায় ৪২৫ কোটি টাকা হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, বর্তমানে হোটেলটি প্রায় এক হাজার কোটি টাকা লোকসানে আছে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ইন্ডিয়ান পরামর্শ সংস্থার মাধ্যমে অদূরদর্শী এবং অদক্ষ প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে বাংলাদেশের পরিবেশের অনুপযুক্ত হোটেল সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়। যার দরুন হোটেলের অভ্যন্তরীণ অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত হোটেলের প্রকৌশল বিভাগকে সংস্কারকাজে নিয়োজিত থাকতে হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সবার পক্ষ থেকে মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বিএসএলের এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হোটেলের পক্ষ থেকে বিআইসিসিতে কর্মরত ছিলাম। পিডব্লিউডির সঙ্গে বিএসএলের চুক্তি শেষ হওয়ায় গত ২৪ জানুয়ারি বিএসএল বিআইসিসিকে পিডব্লিউডির কাছে হস্তান্তর করে। ফলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল সব কর্মীকে প্রায় এক মাস ছুটিতে রাখে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হোটেলের শ্রমিক ইউনিয়নের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত সদস্য ও এক্সিকিউটিভ কমিটির পরামর্শে বোর্ড সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুসারে কিছু কর্মীকে চাকরিতে বহাল রেখে বাকিদের আকস্মিক ও অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করে। বাকি কর্মীদের মধ্যে কিছু সদস্যকে পুনর্নিয়োগ করা হয়। কিন্তু অন্যদের ছয় মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি; যা চরম বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে।’
বৈষম্যের অবসান চেয়ে চাকরিচ্যুত শ্রমিক-কর্মচারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন করেছেন। হোটেলের এমডিজিএম, এইচআর ডিরেক্টর, আইটি ডিরেক্টর এবং আরও কিছু সদস্য প্রবল দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। তাঁরা অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলেও জানানো হয়। দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা হোটেলটিকে দেউলিয়ার হওয়ার পথে নিয়ে যাচ্ছেন বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
মো. নুরুজ্জামান বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের অনৈতিক সিদ্ধান্তে সৎ ও যোগ্য কর্মচারীরা চাকরিচ্যুত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। অবৈধভাবে তাঁদের পছন্দের পূর্বপরিচিতদের নিয়োগ দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া মো. নুরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন চাকরিচ্যুত শ্রমিক-কর্মচারী নূর মোহাম্মদ আল মাসুদ, মোহাম্মদ আতিক প্রমুখ। তাঁরা অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি জানান। চাকরিচ্যুত কর্মীদের (পারমানেন্ট এবং কন্ট্রাকচুয়াল) আগামী দুই দিনের মধ্যে নিজ নিজ পদে পুনর্বহালেরও দাবি জানান।
রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছেন হোটেলটির চাকরিচ্যুত কয়েকজন কর্মী।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন তাঁরা। বৈষম্যের শিকার এবং বেআইনিভাবে চাকরিচ্যুত শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারের ইন্ডিয়াপ্রীতির কারণে কিছু রাজনৈতিক নেতা, কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত বিএসএলের (বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং হোটেলের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় ইন্ডিয়ান জিএম নিয়োগপ্রাপ্ত হন। যিনি এই হোটেলে ইন্ডিয়ান রাজত্ব কায়েম করতে চান এবং হোটেলের কর্মীদের সঙ্গে শাসকের মতো আচরণ করেন; যা আমাদের দেশীয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক; যা কর্মপরিবেশ ধ্বংস করে দিয়েছে।’
এদের অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারণে বিআইসিসি লস প্রজেক্টে পরিণত হয়। যেখানে পিডব্লিউডি প্রায় ৪২৫ কোটি টাকা হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, বর্তমানে হোটেলটি প্রায় এক হাজার কোটি টাকা লোকসানে আছে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ইন্ডিয়ান পরামর্শ সংস্থার মাধ্যমে অদূরদর্শী এবং অদক্ষ প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে বাংলাদেশের পরিবেশের অনুপযুক্ত হোটেল সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়। যার দরুন হোটেলের অভ্যন্তরীণ অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত হোটেলের প্রকৌশল বিভাগকে সংস্কারকাজে নিয়োজিত থাকতে হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সবার পক্ষ থেকে মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বিএসএলের এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হোটেলের পক্ষ থেকে বিআইসিসিতে কর্মরত ছিলাম। পিডব্লিউডির সঙ্গে বিএসএলের চুক্তি শেষ হওয়ায় গত ২৪ জানুয়ারি বিএসএল বিআইসিসিকে পিডব্লিউডির কাছে হস্তান্তর করে। ফলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল সব কর্মীকে প্রায় এক মাস ছুটিতে রাখে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হোটেলের শ্রমিক ইউনিয়নের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত সদস্য ও এক্সিকিউটিভ কমিটির পরামর্শে বোর্ড সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুসারে কিছু কর্মীকে চাকরিতে বহাল রেখে বাকিদের আকস্মিক ও অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করে। বাকি কর্মীদের মধ্যে কিছু সদস্যকে পুনর্নিয়োগ করা হয়। কিন্তু অন্যদের ছয় মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি; যা চরম বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে।’
বৈষম্যের অবসান চেয়ে চাকরিচ্যুত শ্রমিক-কর্মচারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন করেছেন। হোটেলের এমডিজিএম, এইচআর ডিরেক্টর, আইটি ডিরেক্টর এবং আরও কিছু সদস্য প্রবল দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। তাঁরা অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলেও জানানো হয়। দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা হোটেলটিকে দেউলিয়ার হওয়ার পথে নিয়ে যাচ্ছেন বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
মো. নুরুজ্জামান বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের অনৈতিক সিদ্ধান্তে সৎ ও যোগ্য কর্মচারীরা চাকরিচ্যুত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। অবৈধভাবে তাঁদের পছন্দের পূর্বপরিচিতদের নিয়োগ দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া মো. নুরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন চাকরিচ্যুত শ্রমিক-কর্মচারী নূর মোহাম্মদ আল মাসুদ, মোহাম্মদ আতিক প্রমুখ। তাঁরা অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি জানান। চাকরিচ্যুত কর্মীদের (পারমানেন্ট এবং কন্ট্রাকচুয়াল) আগামী দুই দিনের মধ্যে নিজ নিজ পদে পুনর্বহালেরও দাবি জানান।
সাতক্ষীরার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস প্রায় সাত বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। এতে করে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করা শ্রমিকদের অনেকে এখন বেকার জীবন কাটাচ্ছেন। তবে কর্তৃপক্ষ দাবি, কারখানার বিশাল প্রাঙ্গণে বেসরকারি সহযোগিতায় একাধিক...
৪ ঘণ্টা আগেসড়কের মধ্যে থেকে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ না করেই প্রশস্ত করা হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক। সড়কটি ৬ দশমিক ২ মিটার থেকে উন্নীত করা হচ্ছে ১০ দশমিক ৩ মিটারে। এ অবস্থায় ৪৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক প্রশস্তকরণের সুফল নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেকর্মচারীরা বাতিলের দাবি জানালেও সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। এই অধ্যাদেশ সংশোধন করে যেসব ধারায় অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে, সেখানে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অধ্যাদেশ সংশোধন করে সেখানে কোন কোন বিষয় যুক্ত করা হবে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তা চূড়ান্ত করবে...
৪ ঘণ্টা আগেউত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা পঞ্চগড়ে নদী থেকে প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে হাজার হাজার টন বালু। এই বালু এখন আর সীমাবদ্ধ নেই জেলার অভ্যন্তরে বা পাশের কোনো উপজেলায়। তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে; বিশেষত ঢাকা, গাজীপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাটের নির্মাণ প্রকল্পগুলোতে।
৪ ঘণ্টা আগে