নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলমান করোনার মহামারির দুই বছরের বেশি সময় পার করছে বাংলাদেশ। এই সময়ে করোনা নিয়ন্ত্রণসহ টিকাদানে সফলতা এলেও অব্যবস্থাপনা ছিল প্রকট। বিশেষ করে করোনার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় ত্রুটিপূর্ণ নীতির কারণে কোভিড আক্রান্তদের অনেকে সমাজচ্যুত হয়েছে, শিকার হয়েছেন বৈষম্যের। সর্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারায় এই সংকট বলে মত দিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। মহামারি থাক বা না থাক, জনস্বাস্থ্যে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে বাংলাদেশ কোভিড-১৯: প্রথম দুই বছর ও সামনের দিনগুলো শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশেজ্ঞরা।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, করোনা মহামারির মতো এত বড় যুদ্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আরও সম্পৃক্ত করার দরকার ছিল। স্বাস্থ্যে ভালো কিছু করতে হলে সঠিক ব্যবস্থাপনা জরুরি। শুরু থেকে আমাদের পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল, এবং এই কারণে মানুষের কাছে ভুল বার্তা গেছে। করোনা রোগীর কথা শুনলেই বাড়িতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। এর দায় আমাদেরও আছে। এটাকে এক ধরনের ফ্লুয়েঞ্জা বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।
বে-নজির আহমদ বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের না দিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের হাতে দেওয়া হয়েছে। আর এতে করে করোনা আক্রান্তরা সমাজ থেকে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। জেলা প্রশাসকদের এখানে সকল কাজের কাজি বানাতে গিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ছিল না। ফলে পরিকল্পনা হয়েছে এক, মাঠ পর্যায়ে বাস্তবে হয়েছে আরেক। হাসপাতালগুলোতে ইনফেকশন প্রতিরোধী ব্যবস্থা ছিল না। ফলে ডেলটার সময়ে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। এ জন্য জনস্বাস্থ্যে আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি জেলায় ৩০ লাখ মানুষের বসবাস হলেও এপিডেমিওলজি নেই।
তবে লকডাউন নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এটি অনেক বড় প্রভাব ফেলেছে বলেও জানান এই রোগ নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ।
সরকারের রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মোশতাক হোসেন বলেন, আমাদের প্রধান সংকট প্রাতিষ্ঠানিক হেলথ কাভারেজ নেই। একই সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও ঠিকভাবে সম্পৃক্ত করা যায়নি। ফলে করোনায় এক কোটি মানুষকে খাদ্য বিতরণকালে অনিয়মের খবর এসেছে। কি পরিমাণে হয়েছে সেটি বের করা দরকার। অনেক দেশের আগেই লকডাউন দেওয়া হলেও এর ইতিবাচক ফল এসেছে। আমাদের প্রস্তুতি ও অর্জন মাঝামাঝি। যে দেশের হেলথ কাভারেজ যত ভালো, তারা ততটাই উন্নত। আমাদের গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও শহরাঞ্চলে নেই। ফলে গ্রামে সংক্রমণ কম ছড়ালেও শহরে বেশি ছড়িয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা যখন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক তাণ্ডব চালায় তখন ইতালির প্রধানমন্ত্রী কোনো উপায় না দেখে আকাশের পানে চেয়েছিলেন, সেখানে আমাদের সরকার প্রধান প্রতিদিনই মাস্ক পড়তে বলেছিলেন। এক কোটি মানুষকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। করোনার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় কেউ বাইরে চিকিৎসা নিতে যায়নি। প্রথমদিকে সামনে থেকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে অনেকে মারা গেছেন। ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ সব থেকে এগিয়ে।
এ ছাড়া রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, যেকোনো গবেষণা বা সেমিনারে আলোচনা হলেই অনেকগুলো সুপারিশ করা হয়। তবে আমার দেখা জীবনে এই সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়েছে খুবই কম। সর্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিতে ২০১১ সালে আমরা বেশ কিছু সুপারিশ করেছিলাম। পরে এ বিষয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। তবে ১১ বছর অতিবাহিত হলেও আমাদের দেওয়া সুপারিশ এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তবে আমরা দেখেছি, যে এলাকায় সর্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রয়েছে সেই এলাকায় নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
চলমান করোনার মহামারির দুই বছরের বেশি সময় পার করছে বাংলাদেশ। এই সময়ে করোনা নিয়ন্ত্রণসহ টিকাদানে সফলতা এলেও অব্যবস্থাপনা ছিল প্রকট। বিশেষ করে করোনার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় ত্রুটিপূর্ণ নীতির কারণে কোভিড আক্রান্তদের অনেকে সমাজচ্যুত হয়েছে, শিকার হয়েছেন বৈষম্যের। সর্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারায় এই সংকট বলে মত দিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। মহামারি থাক বা না থাক, জনস্বাস্থ্যে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে বাংলাদেশ কোভিড-১৯: প্রথম দুই বছর ও সামনের দিনগুলো শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশেজ্ঞরা।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, করোনা মহামারির মতো এত বড় যুদ্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আরও সম্পৃক্ত করার দরকার ছিল। স্বাস্থ্যে ভালো কিছু করতে হলে সঠিক ব্যবস্থাপনা জরুরি। শুরু থেকে আমাদের পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল, এবং এই কারণে মানুষের কাছে ভুল বার্তা গেছে। করোনা রোগীর কথা শুনলেই বাড়িতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। এর দায় আমাদেরও আছে। এটাকে এক ধরনের ফ্লুয়েঞ্জা বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।
বে-নজির আহমদ বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের না দিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের হাতে দেওয়া হয়েছে। আর এতে করে করোনা আক্রান্তরা সমাজ থেকে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। জেলা প্রশাসকদের এখানে সকল কাজের কাজি বানাতে গিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ছিল না। ফলে পরিকল্পনা হয়েছে এক, মাঠ পর্যায়ে বাস্তবে হয়েছে আরেক। হাসপাতালগুলোতে ইনফেকশন প্রতিরোধী ব্যবস্থা ছিল না। ফলে ডেলটার সময়ে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। এ জন্য জনস্বাস্থ্যে আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি জেলায় ৩০ লাখ মানুষের বসবাস হলেও এপিডেমিওলজি নেই।
তবে লকডাউন নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এটি অনেক বড় প্রভাব ফেলেছে বলেও জানান এই রোগ নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ।
সরকারের রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মোশতাক হোসেন বলেন, আমাদের প্রধান সংকট প্রাতিষ্ঠানিক হেলথ কাভারেজ নেই। একই সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও ঠিকভাবে সম্পৃক্ত করা যায়নি। ফলে করোনায় এক কোটি মানুষকে খাদ্য বিতরণকালে অনিয়মের খবর এসেছে। কি পরিমাণে হয়েছে সেটি বের করা দরকার। অনেক দেশের আগেই লকডাউন দেওয়া হলেও এর ইতিবাচক ফল এসেছে। আমাদের প্রস্তুতি ও অর্জন মাঝামাঝি। যে দেশের হেলথ কাভারেজ যত ভালো, তারা ততটাই উন্নত। আমাদের গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও শহরাঞ্চলে নেই। ফলে গ্রামে সংক্রমণ কম ছড়ালেও শহরে বেশি ছড়িয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা যখন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক তাণ্ডব চালায় তখন ইতালির প্রধানমন্ত্রী কোনো উপায় না দেখে আকাশের পানে চেয়েছিলেন, সেখানে আমাদের সরকার প্রধান প্রতিদিনই মাস্ক পড়তে বলেছিলেন। এক কোটি মানুষকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। করোনার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় কেউ বাইরে চিকিৎসা নিতে যায়নি। প্রথমদিকে সামনে থেকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে অনেকে মারা গেছেন। ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ সব থেকে এগিয়ে।
এ ছাড়া রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, যেকোনো গবেষণা বা সেমিনারে আলোচনা হলেই অনেকগুলো সুপারিশ করা হয়। তবে আমার দেখা জীবনে এই সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়েছে খুবই কম। সর্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিতে ২০১১ সালে আমরা বেশ কিছু সুপারিশ করেছিলাম। পরে এ বিষয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। তবে ১১ বছর অতিবাহিত হলেও আমাদের দেওয়া সুপারিশ এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তবে আমরা দেখেছি, যে এলাকায় সর্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রয়েছে সেই এলাকায় নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
সড়কের গর্তে আটকে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পেছনে তৈরি হয়েছে যানজট। পেছন থেকে কেউ জোরে হর্ন দিচ্ছে, আবার কেউ করছে গালাগাল। শেষমেশ কয়েকজন মিলে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে হয়েছে রিকশাটিকে। গত রোববার সকালে এমনটাই দেখা যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার সড়কে। সড়কটি পান্থপথ-তেজগাঁও লিংক রোড নামেও...
৭ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
১১ ঘণ্টা আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে