আগামীকাল টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল রোববার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল সকালে হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। 

পরে বঙ্গবন্ধুসহ ’৭৫-এর ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেবেন তাঁরা। দোয়া ও মোনাজাত শেষে রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারে ঢাকায় রওনা দেবেন। রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানিয়ে বেলা ১১টার দিকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। 

আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফটোসেশন ও জাতির পিতার সমাধি প্রাঙ্গণে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বইমেলা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে গোপালগঞ্জ ত্যাগ করবেন। 

প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির আগমনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে জেলাজুড়ে। বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু তোরণ। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নেতা-কর্মীরা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো জেলাকে। 

আওয়ামী লীগের মহিলা কর্মী অনিমা রানী বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের জেলার মেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জে আসবেন। আমরা তাঁকে কাছে পাব। তাঁর বাবার জন্মদিন উপলক্ষে আমাদের ঘরের মেয়েকে ঘরে পাব, এই আনন্দে আমরা সবাই উৎফুল্লিত এবং আনন্দিত।’ 

টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফোরকান বিশ্বাস বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা সাজ সাজ রবে সজ্জিত হয়েছে। আমরা টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর একজন ভোটার হিসেবে, কর্মী হিসেবে তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। সাধারণ জনগণ তাঁকে কাছে পেয়ে খুবই আনন্দিত বোধ করেন।’ 

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ বলেন, ‘গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার নেতা-কর্মীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, কখন তিনি আসবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় যেসব অনুষ্ঠান হবে, সেগুলোর সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান, বইমেলা, আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ সব ধরনের আয়োজন আমাদের সম্পন্ন হয়েছে।’