গাজীপুর প্রতিনিধি
দেশের প্রথম মেঘা প্রকল্প বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। তিনি বলেছেন, ‘সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ হতো, ডিসেম্বরে গাড়ি চলত। কিন্তু আমাদের সে স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।’
আজ শনিবার কোটা আন্দোলনের সময় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প ও গাজীপুর সড়ক ভবন পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘এটা তো আমাদের জন্য, গাজীপুরবাসীর জন্য অনেক কষ্টের প্রকল্প। গাজীপুরবাসীকে ধন্যবাদ, তারা এ প্রকল্পের জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। আমরা রাস্তা–ওভারব্রিজসহ অন্যান্য কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় নিয়েছি। এ সেপ্টেম্বরে আমাদের কাজ শেষ হতো, ডিসেম্বরে গাড়ি চলত। আমাদের সে স্বপ্ন ওরা (দুষ্কৃতকারীরা) ধূলিসাৎ করে দিয়েছে।’
সড়ক পরিবহন সচিব বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না এটা ছাত্ররা করেছে। আমি ভাঙার যে কৌশল দেখলাম, প্রতিটা এস্কেলেটর পুড়ে গেছে, লিফট পুড়ে গেছে, এস্কেভেটর ভেঙে গেছে, বড় বড় লোহার শাটার ভেঙেছে।
এগুলো একেবারে ট্রেইনড যারা দুর্বৃত্ত, তারা এ কাজটা করেছে। তারা এগুলো নষ্ট করার আগে একটা পরিকল্পনা-ছক করেছে এবং সে ছক মোতাবেক তারা কাজটা করেছে। এটা এমন নয় যে, অতর্কিতে হামলা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার পেছনে যে গাড়িগুলো দেখছেন, নতুন গাড়ি, এখনো নম্বর ফেলানো হয়নি-এমন গাড়ি। এরপরে ক্রেন।’
ওই সময় বড় কোনো দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে তিনি বলেন, ‘এখানে যদি ডিজেলটা থাকত, তাহলে এ এলাকা ধ্বংস হয়ে যেত। যদি গাড়ির দু-একটা সিলিন্ডার ফুটত (বিস্ফোরণ হতো), তাহলে ভয়াবহ ঘটনা ঘটত। এটা পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানোর জন্য করা হয়েছে।’
বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়ে আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘এগুলো আমরা যে দামে কিনেছি, এখন আর সে মূল্যে কিনতে পারব না। যখন ৮০ টাকা ডলার ছিল তখন কিনেছি। এখন ১২০ টাকা ডলার দিয়ে কিনতে হবে। ফলে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। যে প্রকল্প আমরা শেষ করলাম সেপ্টেম্বরে, ডিসেম্বরে গাড়ি চালাতাম, সে প্রকল্প আবার পিছিয়ে দিল দুষ্কৃতকারীরা।’
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘বিদেশ থেকে আমাদের এক্সপার্টরা এসেছেন। তাঁরা দেখে ঠিক করবেন, কোনটা ঠিক করা যাবে, কোনটা আবার বাইরে থেকে আনতে হবে। এসব কারণে একটু সময় লাগছে। কাজ কবে নাগাদ আবার শুরু করা হবে তা এক সপ্তাহের মধ্যে জানানো হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মো. মনিরুজ্জামান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সওজের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী শরিফুল ইসলাম, গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার শরিফুল আলম, জিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দেশের প্রথম মেঘা প্রকল্প বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। তিনি বলেছেন, ‘সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ হতো, ডিসেম্বরে গাড়ি চলত। কিন্তু আমাদের সে স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।’
আজ শনিবার কোটা আন্দোলনের সময় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প ও গাজীপুর সড়ক ভবন পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘এটা তো আমাদের জন্য, গাজীপুরবাসীর জন্য অনেক কষ্টের প্রকল্প। গাজীপুরবাসীকে ধন্যবাদ, তারা এ প্রকল্পের জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। আমরা রাস্তা–ওভারব্রিজসহ অন্যান্য কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় নিয়েছি। এ সেপ্টেম্বরে আমাদের কাজ শেষ হতো, ডিসেম্বরে গাড়ি চলত। আমাদের সে স্বপ্ন ওরা (দুষ্কৃতকারীরা) ধূলিসাৎ করে দিয়েছে।’
সড়ক পরিবহন সচিব বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না এটা ছাত্ররা করেছে। আমি ভাঙার যে কৌশল দেখলাম, প্রতিটা এস্কেলেটর পুড়ে গেছে, লিফট পুড়ে গেছে, এস্কেভেটর ভেঙে গেছে, বড় বড় লোহার শাটার ভেঙেছে।
এগুলো একেবারে ট্রেইনড যারা দুর্বৃত্ত, তারা এ কাজটা করেছে। তারা এগুলো নষ্ট করার আগে একটা পরিকল্পনা-ছক করেছে এবং সে ছক মোতাবেক তারা কাজটা করেছে। এটা এমন নয় যে, অতর্কিতে হামলা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার পেছনে যে গাড়িগুলো দেখছেন, নতুন গাড়ি, এখনো নম্বর ফেলানো হয়নি-এমন গাড়ি। এরপরে ক্রেন।’
ওই সময় বড় কোনো দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে তিনি বলেন, ‘এখানে যদি ডিজেলটা থাকত, তাহলে এ এলাকা ধ্বংস হয়ে যেত। যদি গাড়ির দু-একটা সিলিন্ডার ফুটত (বিস্ফোরণ হতো), তাহলে ভয়াবহ ঘটনা ঘটত। এটা পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানোর জন্য করা হয়েছে।’
বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়ে আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘এগুলো আমরা যে দামে কিনেছি, এখন আর সে মূল্যে কিনতে পারব না। যখন ৮০ টাকা ডলার ছিল তখন কিনেছি। এখন ১২০ টাকা ডলার দিয়ে কিনতে হবে। ফলে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। যে প্রকল্প আমরা শেষ করলাম সেপ্টেম্বরে, ডিসেম্বরে গাড়ি চালাতাম, সে প্রকল্প আবার পিছিয়ে দিল দুষ্কৃতকারীরা।’
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘বিদেশ থেকে আমাদের এক্সপার্টরা এসেছেন। তাঁরা দেখে ঠিক করবেন, কোনটা ঠিক করা যাবে, কোনটা আবার বাইরে থেকে আনতে হবে। এসব কারণে একটু সময় লাগছে। কাজ কবে নাগাদ আবার শুরু করা হবে তা এক সপ্তাহের মধ্যে জানানো হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মো. মনিরুজ্জামান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সওজের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী শরিফুল ইসলাম, গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার শরিফুল আলম, জিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
১০ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
৩১ মিনিট আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
১ ঘণ্টা আগে