Ajker Patrika

বিউটিশিয়ানকে ধর্ষণ: দুই শিক্ষার্থী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিউটিশিয়ানকে ধর্ষণ: দুই শিক্ষার্থী কারাগারে

রাজধানীর শুক্রাবাদে এক বিউটিশিয়ানকে পার্লার সেবার কথা বলে বাসায় ডেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই শিক্ষার্থীকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন আহমেদ হুমায়ুন কবীর তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুই শিক্ষার্থী হলেন মো. রিয়াদ ও ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম।

গত শুক্রবার দুজনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। আজ বিকালে রিমান্ড শেষে দুজনকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ড প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন দুজনই ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। তারা আদালতে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাই তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা। কিন্তু দুজনই আদালতে হাজির করার পর জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে রাজধানী শুক্রাবাদে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

ধর্ষণের শিকার তরুণী পেশায় একজন বিউটিশিয়ান। আগে বিউটিপার্লারে কাজের অভিজ্ঞতা থাকায় ভিকটিম করোনা পরবর্তী সময়ে সেবা দিতে ফেসবুকে একটি পেজ খোলেন। তাঁর কাছ থেকে আগে সেবা নেওয়া পরিচিত এবং অনলাইনে যোগাযোগ করা নারীরা তাঁর প্রধান সেবাগ্রহীতা। গত ১১ অক্টোবর বিকেলে ফোনে তেমনই একটি সেবাদানের (ফেসিয়াল) অনুরোধ পান ভুক্তভোগী তরুণী। তাসলিমা নামের এক নারী ফোন করেছিলেন বলে ভিকটিম পুলিশকে জানান। ওই দিন ভিকটিম সাভার থেকে ফেসিয়াল সেবা দিতে শুক্রাবাদ এলাকায় আসেন। পথে তাসলিমার ভাই পরিচয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদ ফোনে বেশ কয়েকবার তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। সন্ধ্যায় শুক্রাবাদ এলাকায় পৌঁছালে রিয়াদ ওই তরুণীকে তাদের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। 

কিছুক্ষণ পর সিয়াম ও জিতু নামে তাঁর আরও দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন রিয়াদ। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা একে একে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এরপর তারা ভিকটিমের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পথে ছেড়ে দিয়ে চলে যান। 

পরে ভিকটিমকে তাঁর স্বামী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে প্রথমে বিষয়টি ধানমন্ডি থানাকে জানানো হয়। তবে ঘটনাস্থল তাদের আওতাধীন না হওয়ায় বিষয়টি শেরেবাংলা নগর থানাকে বুঝিয়ে দেয় ধানমন্ডি থানা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শেরেবাংলা নগর থানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত