Ajker Patrika

গাড়ি বেড়েছে সড়কে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২১, ১৪: ৫০
গাড়ি বেড়েছে সড়কে

কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিন শনিবার ঢাকার সড়কগুলোয় বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা। পুলিশের কয়েকটি চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, এসব গাড়ির বেশির ভাগই পোশাক কারখানা বা রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এবারের বিধিনিষেধ কার্যকরে পুলিশ, বিজিবির সঙ্গে সেনাবাহিনীও টহলে রয়েছে।

শনিবার সকাল থেকে ঢাকার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস ও পণ্যবাহী গাড়িগুলোর চলাচল বেড়েছে। এ ছাড়া সড়কে প্রচুর মোটরসাইকেল ও রিকশা চলতে দেখা যায়।

প্রগতি সরণিতে চেকপোস্ট বসিয়েছেন সেনাসদস্যরা। এই চেকপোস্টে যানবাহন থামিয়ে চালক বা আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করছে। একেবারেই যাঁরা অপ্রয়োজনে বের হয়েছেন, তাঁদের গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।

চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকারী এক পুলিশ সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ সকাল থেকে অনেক গাড়ি রাস্তায় বের হয়েছে। বেশির ভাগই শিল্প কারখানার। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যাঁরা বের হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই জরুরি কাজের কথা জানিয়েছেন।

‘ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যাঁরা যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারছেন না, আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছি। কেউ কেউ মিথ্যা বলারও চেষ্টা করেন। আমাদের কাছে যাঁদের বক্তব্য যৌক্তিক মনে হচ্ছে, তাঁদের আর আটকাচ্ছি না। কারণ আমরাও বিশ্বাস করি এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন না থাকলে কারও বের হওয়ার কথা না।’

যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে পুলিশ তাঁদের নামে মামলা দিচ্ছেমেরুল বাড্ডার বৌদ্ধমন্দিরের সামনে ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। এই চেকপোস্টে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে দেখা যায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের গাড়িগুলোই বেশি চলছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরের যাত্রী পরিবহন, হাসপাতালে যাওয়া-আসার জন্য কেউ কেউ গাড়ি বের করেছেন। এর বাইরে গণমাধ্যমের গাড়িগুলো চলছিল।

এই চেকপোস্টে দায়িত্বরত বাড্ডা থানার এসআই নুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সব গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। যাঁরা যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারছেন না, ট্রাফিক পুলিশ তাঁদের নামে মামলা দিচ্ছে।’

শনিবার সকাল থেকে সড়কগুলোয় রিকশা চলাচল বেড়েছে। তবে লকডাউনে জরুরি কারণ ছাড়া মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেক রিকশাচালককে অলস বসে থাকতে দেখা যায়।

রামপুরা ব্রিজে রিকশা নিয়ে অপেক্ষায় থাকা আবদুল মোমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইজ বৃষ্টি না থাহায় মনে হইছিল অনেক খ্যাপ মারা পামু। কিন্তু লোকজন খুব কম, বেশি খ্যাপ পাইতেছি না।’ 

ক্যান্টনমেন্টের ইসিবি চত্বরে অন্তত ২০ জন রিকশাচালককে বসে থাকতে দেখা যায়। স্বাভাবিক সময়ে এই চত্বর সারা দিন বেশ জমজমাট থাকলেও শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে কয়েকজনকে দেখা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিন্দুর ঘিরে আলোচিত কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

নিজ কার্যালয়ে র‍্যাব কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ লাশ, পাশে চিরকুট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত