Ajker Patrika

‘বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো ছিল’

রিফাত মেহেদী, সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১: ৪১
‘বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো ছিল’

‘এখন যদি চাকরিও করতাম, মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় থাকত। কিন্তু এখন আমাদের মর্মান্তিক জীবন; যে জীবনে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো ছিল।’ চোখের কোণে জমে থাকা জল আর চেহারায় হতাশা নিয়ে কথাগুলো বলেন সাভারের রানা প্লাজায় আহত শ্রমিক নিলুফা বেগম।

নিলুফা বেগম রানা প্লাজা ভবনের পঞ্চম তলায় ফ্যান্টম গার্মেন্টসে সুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। দুর্ঘটনায় তাঁর ডান পায়ের অর্ধেক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অর্ধগলিত সেই পা রক্ষা পেয়েছে। এখন বিশেষ সহায়ক জুতা পরে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হয় নিলুফাকে। পঙ্গুত্ববরণে ৬ বছরের মাথায় স্বামী শহিদুল ইসলামও ছেড়ে চলে গেছেন।

পরিবারে আছে ১৭ বছরের একমাত্র ছেলে রিফাত পাটোয়ারি। ছেলেকে ড্রাইভিং শেখালেও বয়স কম হওয়ায় লাইসেন্স না পেয়ে এখনো উপার্জন শুরু করতে পারেনি। অল্প পুঁজিতে ফুটপাতে ব্যবসা শুরু করলেও সেটি এখন বন্ধ।

১১ বছর আগের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৬ জন পোশাকশ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার শেষ হয়নি এখনো। ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই ফিরতে পারেননি স্বাভাবিক জীবনে। নিলুফার বলেন, ‘সারা বছর কিন্তু আমাদের কেউ খোঁজখবর নেয় না—আমরা খাইলাম, না বাঁচলাম, না মরলাম! এই দায়িত্বটা কার ছিল? দায়িত্বটা ছিল প্রথমে গার্মেন্টস মালিকপক্ষের; দ্বিতীয়ত, সরকারের; তৃতীয়ত, সাভারের এমপি-মন্ত্রীর। কিন্তু আমাদের খোঁজখবর কেউ নেয় না।’

নিলুফারের মতো অসহায় জীবন যাপন করছেন অনেকেই। আরেক আহত শ্রমিক জেসমিন বলেন, ‘১১ বছর ধরে সেই দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছি। অথচ এখনো দোষীদের শাস্তি হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত