সাইফুল মাসুম, ঢাকা
গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা। রাস্তায় খুব বেশি যানবাহনের চাপ নেই। ফাঁকা রাস্তায় প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছেন বাস, ট্রাক, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলচালকেরা। হর্নের উচ্চ শব্দে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলার উপায় নেই। অথচ ঢাকা বিমানবন্দরের ৩ কিলোমিটার এলাকাকে গত ১ অক্টোবর থেকে শব্দদূষণমুক্ত নীরব এলাকা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নীরব এলাকা ঘোষণাতেই আটকে রয়েছে বিষয়টি, কার্যকর হয়নি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো ব্যর্থ হয়েছে। স্বাভাবিক বা সহনীয় শব্দের মাত্রা ৫৫-৬০ ডেসিবেল। তবে বিমানবন্দর এলাকায় শব্দদূষণের মাত্রা ৮০-৯০ ডেসিবেল। মাঝেমধ্যে এ মাত্রা হয় ১০০ ডেসিবেল ছুঁই ছুঁই। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৬০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ যদি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে তাহলে সাময়িক বধিরতা, আর ১০০ ডেসিবেলের বেশি হলে স্থায়ী বধিরতা হতে পারে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এর সামনে ৩ কিলোমিটার মহাসড়কের দক্ষিণের লো মেরিডিয়েন পয়েন্ট থেকে উত্তরে স্কলাস্টিকা পয়েন্ট পর্যন্ত নীরব এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। লো মেরিডিয়েনসংলগ্ন এলাকায় স্টিলের খুঁটিতে টাঙানো বোর্ডে লেখা রয়েছে, ‘হর্ন বাজানো নিষেধ’। সেখানে কথা হয় চা-দোকানি রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, নীরব এলাকা ঘোষণার বিষয়ে তাঁর জানা নেই, তবে গাড়িগুলো সব সময় হর্ন বাজায়। বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের ঠিক সামনের রাস্তার মাঝে ‘নীরব এলাকা’ সাইনবোর্ড লেখা রয়েছে; কিন্তু চালকেরা হর্ন বাজিয়ে ছুটে চলেন গন্তব্যে।
জানা গেছে, বিমানবন্দর এলাকাকে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬-এর বিধি-৪ অনুযায়ী ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে। আইনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে নীরব এলাকায় গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ এবং হর্ন বাজালে কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে। এ জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), পরিবেশ অধিদপ্তর, সড়ক বিভাগ, পরিবহনমালিক সমিতিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু নীরব এলাকা বাস্তবায়নে সরেজমিনে কোনো কর্তৃপক্ষকেই পাওয়া যায়নি।
বিমানবন্দরের ভেতরে নীরব এলাকার নতুন সাইনবোর্ড দেখা গেলেও গাড়িচালকদের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যায়নি। আগের মতোই হর্ন বাজিয়ে চলেছেন তাঁরা। তবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম দাবি করেছেন, সামনের অংশে নীরব এলাকা কার্যকর না হলেও বিমানবন্দরের ভেতরের অংশে শব্দদূষণ কিছুটা কমেছে।
নীরব এলাকা ঘোষণার আগের পাঁচ দিন ও পরের পাঁচ দিন পর্যবেক্ষণ করেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়নকেন্দ্র (ক্যাপস)। সংস্থাটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘নীরব এলাকা ঘোষণার প্রথম পাঁচ দিন কিঞ্চিৎ শব্দদূষণ (হাফ ডেসিমেল) কমেছে। ঘোষণার এক মাস ও দুই মাস পর একই জায়গায় আবার পর্যবেক্ষণ করি। সেখানে আমরা দেখি, শব্দদূষণ আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। অর্থাৎ এখন ঘোষিত নীরব এলাকা অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে।’
নীরব এলাকা বোঝাতে রাস্তায় সবুজ রং করা প্রয়োজন জানিয়ে আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বিমানবন্দর এলাকায় ঢুকলে চালক যাতে বুঝতে পারেন, এটা নীরব এলাকা। এর জন্য রাস্তা সবুজ রং করা যেতে পারে, তার ওপর লেখা থাকবে নীরব এলাকা। পৃথিবীর অনেক জায়গায় রাস্তা রং করে নীরব এলাকা কার্যকর করা হয়েছে।’
সার্বিক বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘নীরব এলাকা ঘোষণার পরপরই এলাকা নীরব হয়ে যায় না। এটি একটি পদক্ষেপ, আর এটি বাস্তবায়ন একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার। আইনের প্রয়োগের জন্য এক মাসের মধ্যে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিধিমালা চূড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়া সচেতনতা বাড়াতে জানুয়ারিতে কাজ শুরু হবে।’
গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা। রাস্তায় খুব বেশি যানবাহনের চাপ নেই। ফাঁকা রাস্তায় প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছেন বাস, ট্রাক, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলচালকেরা। হর্নের উচ্চ শব্দে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলার উপায় নেই। অথচ ঢাকা বিমানবন্দরের ৩ কিলোমিটার এলাকাকে গত ১ অক্টোবর থেকে শব্দদূষণমুক্ত নীরব এলাকা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নীরব এলাকা ঘোষণাতেই আটকে রয়েছে বিষয়টি, কার্যকর হয়নি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো ব্যর্থ হয়েছে। স্বাভাবিক বা সহনীয় শব্দের মাত্রা ৫৫-৬০ ডেসিবেল। তবে বিমানবন্দর এলাকায় শব্দদূষণের মাত্রা ৮০-৯০ ডেসিবেল। মাঝেমধ্যে এ মাত্রা হয় ১০০ ডেসিবেল ছুঁই ছুঁই। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৬০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ যদি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে তাহলে সাময়িক বধিরতা, আর ১০০ ডেসিবেলের বেশি হলে স্থায়ী বধিরতা হতে পারে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এর সামনে ৩ কিলোমিটার মহাসড়কের দক্ষিণের লো মেরিডিয়েন পয়েন্ট থেকে উত্তরে স্কলাস্টিকা পয়েন্ট পর্যন্ত নীরব এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। লো মেরিডিয়েনসংলগ্ন এলাকায় স্টিলের খুঁটিতে টাঙানো বোর্ডে লেখা রয়েছে, ‘হর্ন বাজানো নিষেধ’। সেখানে কথা হয় চা-দোকানি রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, নীরব এলাকা ঘোষণার বিষয়ে তাঁর জানা নেই, তবে গাড়িগুলো সব সময় হর্ন বাজায়। বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের ঠিক সামনের রাস্তার মাঝে ‘নীরব এলাকা’ সাইনবোর্ড লেখা রয়েছে; কিন্তু চালকেরা হর্ন বাজিয়ে ছুটে চলেন গন্তব্যে।
জানা গেছে, বিমানবন্দর এলাকাকে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬-এর বিধি-৪ অনুযায়ী ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে। আইনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে নীরব এলাকায় গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ এবং হর্ন বাজালে কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে। এ জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), পরিবেশ অধিদপ্তর, সড়ক বিভাগ, পরিবহনমালিক সমিতিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু নীরব এলাকা বাস্তবায়নে সরেজমিনে কোনো কর্তৃপক্ষকেই পাওয়া যায়নি।
বিমানবন্দরের ভেতরে নীরব এলাকার নতুন সাইনবোর্ড দেখা গেলেও গাড়িচালকদের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যায়নি। আগের মতোই হর্ন বাজিয়ে চলেছেন তাঁরা। তবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম দাবি করেছেন, সামনের অংশে নীরব এলাকা কার্যকর না হলেও বিমানবন্দরের ভেতরের অংশে শব্দদূষণ কিছুটা কমেছে।
নীরব এলাকা ঘোষণার আগের পাঁচ দিন ও পরের পাঁচ দিন পর্যবেক্ষণ করেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়নকেন্দ্র (ক্যাপস)। সংস্থাটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘নীরব এলাকা ঘোষণার প্রথম পাঁচ দিন কিঞ্চিৎ শব্দদূষণ (হাফ ডেসিমেল) কমেছে। ঘোষণার এক মাস ও দুই মাস পর একই জায়গায় আবার পর্যবেক্ষণ করি। সেখানে আমরা দেখি, শব্দদূষণ আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। অর্থাৎ এখন ঘোষিত নীরব এলাকা অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে।’
নীরব এলাকা বোঝাতে রাস্তায় সবুজ রং করা প্রয়োজন জানিয়ে আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বিমানবন্দর এলাকায় ঢুকলে চালক যাতে বুঝতে পারেন, এটা নীরব এলাকা। এর জন্য রাস্তা সবুজ রং করা যেতে পারে, তার ওপর লেখা থাকবে নীরব এলাকা। পৃথিবীর অনেক জায়গায় রাস্তা রং করে নীরব এলাকা কার্যকর করা হয়েছে।’
সার্বিক বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘নীরব এলাকা ঘোষণার পরপরই এলাকা নীরব হয়ে যায় না। এটি একটি পদক্ষেপ, আর এটি বাস্তবায়ন একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার। আইনের প্রয়োগের জন্য এক মাসের মধ্যে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিধিমালা চূড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়া সচেতনতা বাড়াতে জানুয়ারিতে কাজ শুরু হবে।’
২০১১ সাল থেকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সোসাইটি ফর পিপলস অ্যাকশন ইন চেঞ্জ অ্যান্ড ইকুইটি—স্পেস’র সহায়তায় এসব ইকো টয়লেট স্থাপন করা হয়। প্রতিটি টয়লেটের দুটি চেম্বার থেকে বছরে দেড়শ কেজি জৈব সার উৎপন্ন হয়। পাশাপাশি প্রস্রাব সংরক্ষণ করে ব্যবহার করা হয় ইউরিয়া সারের বিকল্প হিসেবে। এতে বিঘাপ্রতি ২-৩ হাজার টাকা
২ মিনিট আগেভূমিকম্পপ্রবণ ১৯৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫তম অবস্থানে জানিয়ে পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম বলেন, দেশে সিলেট অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ। ঢাকায় উচ্চ জনঘনত্ব, মাটি দুর্বল ও নীতিমালা না মেনেই ভবন নির্মাণের কারণে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৫১ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমান সুজন খান (৪৮) নামে এক চালক নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত তিনটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুর বাইপাসের বাওয়ার কুমারজানী মা সিএনজি পাম্প সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালক সুজন খান বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইল গ্রামের ইউনুছ খানের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
৫ ঘণ্টা আগে