গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া এক গৃহবধূর মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই। ঘটনার দুই বছরের বেশি সময় পর গত বুধবার মূল আসামির সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে হত্যার রহস্য প্রকাশ করে ঘটনার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার কথাও তুলে ধরেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে এই তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।
নিহত আছমা আক্তার ওরফে তাহমিনা (২০) সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার খালপাড়া এলাকার মো. রজব আলীর মেয়ে।
গ্রেপ্তার খোকন (৪৫) নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার হারুলিয়া নোয়াপাড়া এলাকার মৃত আলতু মিয়ার ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার শাফির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাঁকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তিনি হত্যার কারণ, মূল হোতার পরিচয় প্রকাশসহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, গ্রেপ্তার খোকনের শ্বশুর সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুনই কুষ্টিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। তাঁর শ্যালকের নাম নবী হোসেন (৩০)। খোকন ঘটকালি করে নবী হোসেনের সঙ্গে শরীফা আক্তারের (২৭) বিয়ে দেন। বিয়ের পর নবী হোসেন ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করছিলেন। এ সময় শ্যালিকা আছমা আক্তারের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তাঁরা আসামি খোকনের সহায়তায় গোপনে পালিয়ে বিয়ে করে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার মোগরখাল এলাকায় বসবাস করতে থাকেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে নবী হোসেনের প্রথম স্ত্রী শরীফা বিষয়টি আসামি খোকনকে জানান। নবী হোসেনের প্রথম স্ত্রী শরিফা আক্তারকেও বাসন থানার মালেকের বাড়ি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দেন খোকন। কাছাকাছি প্রথম স্ত্রী থাকার বিষয়টি খোকনের মাধ্যমে জানার পর শরীফার বাসায়ও যাওয়া-আসা করতে থাকেন নবী হোসেন। একপর্যায়ে বিষয়টি নবী হোসেনের উভয় স্ত্রী জেনে যান। দুই বোন সতিন হওয়ার পর তাঁরা উভয়েই নবীকে যেকোনো একজনের সঙ্গে সংসার করার জন্য চাপ দেন।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনার দিন (২০২১ সালের ১৭ জুলাই) নবী হোসেন দ্বিতীয় স্ত্রী (ভিকটিম) আছমার বাসায় গেলে খোকনের উপস্থিতিতে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে নবী হোসেনের গোপনাঙ্গে আঘাত করেন আছমা। তখন তাহমিনার হাত চেপে ধরেন খোকন এবং নবী হোসেন তাঁর গলা টিপে ধরেন। তাতে আছমার মৃত্যু হয়। তখন খোকন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে আছমার মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে নবী হোসেন পালিয়ে যান।
মাকছুদের রহমান বলেন, পরদিন সকালে প্রতিবেশী ভাড়াটেরা কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে আছমাকে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আছমা আত্মহত্যা করেছেন মর্মে বাসন থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন বড় বোন বা সতিন শরিফা আক্তার। কিন্তু পরে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে আছমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করা হয়। বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ আল রেজা বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ নবী হোসেনকে গ্রেপ্তার করেও এর রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পেরে তদন্ত শেষে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। মামলায় নবী হোসেন জামিন লাভ করেন। পরে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য গাজীপুরের পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর আমরা তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি খোকনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে খোকন স্বেচ্ছায় গাজীপুর মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।’
গাজীপুরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া এক গৃহবধূর মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই। ঘটনার দুই বছরের বেশি সময় পর গত বুধবার মূল আসামির সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে হত্যার রহস্য প্রকাশ করে ঘটনার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার কথাও তুলে ধরেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে এই তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।
নিহত আছমা আক্তার ওরফে তাহমিনা (২০) সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার খালপাড়া এলাকার মো. রজব আলীর মেয়ে।
গ্রেপ্তার খোকন (৪৫) নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার হারুলিয়া নোয়াপাড়া এলাকার মৃত আলতু মিয়ার ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার শাফির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাঁকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তিনি হত্যার কারণ, মূল হোতার পরিচয় প্রকাশসহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, গ্রেপ্তার খোকনের শ্বশুর সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুনই কুষ্টিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। তাঁর শ্যালকের নাম নবী হোসেন (৩০)। খোকন ঘটকালি করে নবী হোসেনের সঙ্গে শরীফা আক্তারের (২৭) বিয়ে দেন। বিয়ের পর নবী হোসেন ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করছিলেন। এ সময় শ্যালিকা আছমা আক্তারের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তাঁরা আসামি খোকনের সহায়তায় গোপনে পালিয়ে বিয়ে করে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার মোগরখাল এলাকায় বসবাস করতে থাকেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে নবী হোসেনের প্রথম স্ত্রী শরীফা বিষয়টি আসামি খোকনকে জানান। নবী হোসেনের প্রথম স্ত্রী শরিফা আক্তারকেও বাসন থানার মালেকের বাড়ি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দেন খোকন। কাছাকাছি প্রথম স্ত্রী থাকার বিষয়টি খোকনের মাধ্যমে জানার পর শরীফার বাসায়ও যাওয়া-আসা করতে থাকেন নবী হোসেন। একপর্যায়ে বিষয়টি নবী হোসেনের উভয় স্ত্রী জেনে যান। দুই বোন সতিন হওয়ার পর তাঁরা উভয়েই নবীকে যেকোনো একজনের সঙ্গে সংসার করার জন্য চাপ দেন।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনার দিন (২০২১ সালের ১৭ জুলাই) নবী হোসেন দ্বিতীয় স্ত্রী (ভিকটিম) আছমার বাসায় গেলে খোকনের উপস্থিতিতে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে নবী হোসেনের গোপনাঙ্গে আঘাত করেন আছমা। তখন তাহমিনার হাত চেপে ধরেন খোকন এবং নবী হোসেন তাঁর গলা টিপে ধরেন। তাতে আছমার মৃত্যু হয়। তখন খোকন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে আছমার মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে নবী হোসেন পালিয়ে যান।
মাকছুদের রহমান বলেন, পরদিন সকালে প্রতিবেশী ভাড়াটেরা কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে আছমাকে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আছমা আত্মহত্যা করেছেন মর্মে বাসন থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন বড় বোন বা সতিন শরিফা আক্তার। কিন্তু পরে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে আছমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করা হয়। বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ আল রেজা বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ নবী হোসেনকে গ্রেপ্তার করেও এর রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পেরে তদন্ত শেষে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। মামলায় নবী হোসেন জামিন লাভ করেন। পরে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য গাজীপুরের পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর আমরা তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি খোকনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে খোকন স্বেচ্ছায় গাজীপুর মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।’
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অসুস্থ বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে আল আমিন (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত দেড়টার দিকে পৌর শহরের ভৈরবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগেরংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১০ মিনিট আগেতিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগে