Ajker Patrika

ডিজিটাল আইনে করা মামলার চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডিজিটাল আইনে করা মামলার চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন এই নির্দেশ দেন। 

যাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন আল জাজিরায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ। এই চারজনের সম্পত্তি ক্রোক করার পর আগামী ৮ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
 
এর আগে গত ১৩ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আফছার আহমেদ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

মামলার অন্যতম আসামি লেখক মুশতাক আহম্মেদ মারা যাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখার নামে এক ব্যক্তিকে (এই নামে ফেসবুক আইডি ছিল, কিন্তু ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি) মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। আজ ট্রাইবুনাল তাদেরকে অব্যাহতি দেন। 

অভিযোগপত্রভুক্ত অপর আসামিরা হলেন রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুল আলম ওরফে দিদার, আল জাজিরায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ। 

গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার আদালতে এ মামলায় প্রথমবার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তখন তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। বাকি আট আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। 

এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপি নজরুল ইসলাম শামীম মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার আবেদন করেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। 

গত বছরের ৫ মে র্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত