Ajker Patrika

ডোপ টেস্টের জন্য পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডোপ টেস্টের জন্য পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ

মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকারি-বেসরকারি সকল সংস্থার সদস্যদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডোপ টেস্ট কার্যক্রমকে সফল করতে ইতিমধ্যে পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে। দ্রুতই নতুন কর্তৃপক্ষের অধীনে পুলিশের পাশাপাশি সরকারি চাকরি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সকল ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট চালু হবে। 

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) আয়োজিত ‘মাদক প্রতিরোধে ডোপ টেস্টের ভূমিকা’–শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু। 

সভায় শামসুল হক টুকু বলেন, ‘পুলিশের ডোপ টেস্ট কার্যক্রম চলছে। গাড়ি চালকদের ডোপ টেস্ট শুরু হয়েছে। চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট শুরুর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনতে হবে। এতে মাদকের চাহিদা কমবে। ফলে দেশে মাদকের প্রবেশও কমবে।’ এ সময় ডোপ টেস্ট কার্যক্রম সফল ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান তিনি। 

জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে মাদকাসক্তদের অযোগ্য ঘোষণার আহ্বান জানান সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার। তিনি শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীদের পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকলকে ডোপ টেস্টের আওতায় আনতেও সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। 

সভাপতির বক্তব্যে স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা বলেন, ‘সারা দেশে মাদক পাচার ও বেচাকেনার ক্ষেত্রে নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্যবসার কৌশল বদলে মাদক কারবারিরা এখন নারী ও শিশুকে ব্যবহার করছে। যা খুবই দুঃখজনক ও উদ্বেগের বিষয়। তাই সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।’ 

সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, এস এম শাহজাদা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, ডিআরইউ–এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, ডিইউজের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, ফেইথ ইন অ্যাকশনের নির্বাহী পরিচালক নৃপেণ বৈদ্য প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন একাত্তর টেলিভিশনের যুগ্ম-প্রধান বার্তা সম্পাদক পলাশ আহসান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধানমন্ডি ৩২ থেকে সন্দেহভাজন কিশোর ও যুবক আটক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সন্দেহভাজন কিশোর ও এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সন্দেহভাজন কিশোর ও এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা থেকে এক সন্দেহভাজন কিশোর ও এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে কিশোরটিকে এবং দুপুর ১টার দিকে যুবককে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান জানান, আটক কিশোরের আচরণ সন্দেহজনক ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার বক্তব্যে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। সে একবার নিজেকে শিক্ষার্থী, আবার একবার ছাত্রদল বা ছাত্রশিবিরের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আটক কিশোরের পরনে প্যান্ট, কোট ও টাই এবং হাতে একটি ব্যাগ ছিল। তাকে আটক করার পর পুলিশের ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, আটক কিশোরের ব্যাগ থেকে কিছু কাগজপত্র ও আলামত জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সঙ্গে একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের যোগসূত্র থাকতে পারে।

অন্যদিকে আটক যুবকের বয়স ২২ বছর। তারও বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় রাখা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ও পরিচয় যাচাইয়ে গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাফরুল থানার সামনে ককটেল ছুড়ে পালানোর সময় যুবক আটক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কাফরুল থানা। ছবি: সংগৃহীত
কাফরুল থানা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরে কাফরুল থানার সামনে দুটি ককটেল ছুড়ে পালানোর সময় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় দুটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিকভাবে আটক যুবকের নাম জানা যায়নি।

পুলিশ জানায়, ওই যুবক কাফরুল থানার সামনে দ্রুতগতিতে এসে দুটি ককটেল ছুড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে ককটেল দুটি বিস্ফোরিত হয়নি। ঘটনার সময় পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) এলপি গেটের সামনে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি লক্ষ্য করে তৎপর হয়ে ওঠেন। আশপাশে থাকা স্থানীয়রাও সহযোগিতা করে ওই যুবককে ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলে। পরে তাকে কাফরুল থানায় সোপর্দ করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র তালেবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘কাফরুল থানার সামনে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তবে তা বিস্ফোরিত হয়নি। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় একজনকে আটক করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে কোনো সহিংস কার্যক্রমে জড়িত চক্রের সদস্য হতে পারে। ককটেল দুটি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এবং সেগুলো পরীক্ষার জন্য বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলকে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুড়িগ্রামে জনজীবন স্বাভাবিক, নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে আটক ৩৩

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
বিশেষ অভিযানে আটক ব্যক্তিদের কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিশেষ অভিযানে আটক ব্যক্তিদের কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কার্যক্রম নি‌ষিদ্ধ আওয়ামী লী‌গের অনলাইনে ডাকা কর্মসূ‌চির কারণে কু‌ড়িগ্রা‌মে জনজীবনে কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি। সবকিছু স্বাভা‌বিকভাবে চলছে। আজ বৃহস্প‌তিবার (১৩ ন‌ভেম্বর) সকাল থে‌কে বি‌ভিন্ন রু‌টে মালবাহী ও গণপ‌রিবহন চলাচল কর‌তে দেখা গে‌ছে। এ ছাড়া সরকা‌রি প্রতিষ্ঠানসহ বি‌ভিন্ন দপ্তরে দি‌নের স্বাভা‌বিক কার্যক্রম চলমান র‌য়ে‌ছে। তবে নাশকতা চেষ্টার অভি‌যো‌গে দুই দি‌নে কু‌ড়িগ্রা‌মে আওয়ামী লীগের ৩৩ নেতা-কর্মী‌কে আটক ক‌রে‌ছে পু‌লিশ।

জেলা শহরসহ উপ‌জেলা শহ‌রে সরকা‌রি, বেসরকা‌রি ও শ্বায়ত্তশা‌সিত প্রতিষ্ঠানগু‌লো‌তে স্বাভা‌বিক কার্যক্রম চলমান র‌য়ে‌ছে। ‌শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগু‌লো‌তে পাঠদান চল‌ছে। এ ছাড়া ব‌্যবসাপ্রতিষ্ঠা, বাজার ও দোকানপা‌টে বেচাকেনা ও লেন‌দেন স্বাভা‌বিক র‌য়ে‌ছে। আজ বেলা সা‌ড়ে ১১টা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রী‌তিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়‌নি।

জেলা মোটর মা‌লিক স‌মি‌তির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান ক‌বির ব‌লেন, জেলার সব রু‌টে প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক র‌য়ে‌ছে। প‌রিবহন সেক্টরসহ কোনো পর্যা‌য়ে কার্যক্রম নি‌ষিদ্ধ দল আওয়ামী ল‌ী‌গ ঘো‌ষিত কর্মসূ‌চির কোনো প্রভাব প‌ড়ে‌নি।

জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উলিপুর সার্কেল) মো. আশরাফুল আলম বলেন, তথাকথিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃ‌ষ্টির চেষ্টার অভিযো‌গে কুড়িগ্রাম জেলায় ২৪ ঘণ্টায় ২০ জনসহ গত দুই দি‌নে ৩৩ জন‌কে গ্রেপ্তার করে আদাল‌তে সোপর্দ করা হ‌য়ে‌ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই অভিযান নিয়মিত চলমান থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কিশোরকে বাসা থেকে নিয়ে নির্যাতনের পর ফেলে যায় রাস্তায়, হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু

ঢামেক প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীরহাজীরবাগে চোর সন্দেহে নির্যাতনের শিকার কিশোর বাপ্পি (১৫) মারা গেছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে তার মারধর করা হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে গেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠিয়েছে।

বাপ্পি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার কদমতলা গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে। তার বাবা রিকশাচালক এবং মা পারুল বেগম একটি কারখানায় কাজ করেন। বাপ্পিও মায়ের সঙ্গে একই কারখানায় কাজ করত। সে ধোলাইপাড় এলাকার প্রেমগলিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত।

বাপ্পির বড় ভাই মো. পারভেজ জানান, গত মঙ্গলবার আনুমানিক দিবাগত রাত ২টার দিকে একই এলাকার কাপশি রাসেল, মোল্লা শুভ এবং শাকিব তাঁদের বাসায় আসে। তারা অভিযোগ করে, বাপ্পি মীরহাজীরবাগের একটি বাসা থেকে জানালা দিয়ে টাকা ও বিদ্যুতের প্রিপেইড কার্ড চুরি করেছে। এরপর তাকে জোর করে ধরে নিয়ে মীরহাজীরবাগের আবু হাজী মসজিদ গলির একটি বাসার নিচতলার ‘ক্লাব ঘরে’ আটকে রাখা হয়।

পারভেজ আরও বলেন, সেখানে বাপ্পিকে রাতভর পেটানো হয়। বুধবার সকাল ৬টার দিকে চুরির টাকা ও মালামাল বের করে দেওয়ার কথা বলে বাপ্পিকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কিছু না পেয়ে তারা আবার বাপ্পিকে নিয়ে যায়। বাপ্পিকে ছাড়াতে তার মা পিছু পিছু গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। সারা দিন নির্যাতনের পর বাপ্পি যখন নিস্তেজ হয়ে পড়ে, তখন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে তাকে মীরহাজীরবাগের বড়বাড়ি প্রথম গেটের সামনের রাস্তায় ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথেই বাপ্পি মারা যায়।

ঢামেক মর্গে বাপ্পির বাবা মো. শাহজাহান আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘আমার ছেলে যদি কোনো অপরাধ করেও থাকে, তাহলে মারধর করার পর পুলিশের কাছে তুলে দিত। এইভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলল কেন? আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানান, চোর সন্দেহে বাপ্পি নামে ওই কিশোরকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এসআই জুয়েল নিশ্চিত করেন, বাপ্পির মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে যার বাসায় চুরির সন্দেহে বাপ্পিকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল, সেই ফৌজিয়া রওশন আক্তার প্রীতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ৫-৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত