Ajker Patrika

খামারে তাগড়া হচ্ছে ‘পাঠান’ ও ‘জায়েদ খান’

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ জুন ২০২৩, ১৫: ১৫
খামারে তাগড়া হচ্ছে ‘পাঠান’ ও ‘জায়েদ খান’

নারায়ণগঞ্জে কোরবানির উদ্দেশ্যে বিক্রির জন্য প্রস্তুত হয়েছে ‘পাঠান’ ও ‘জায়েদ খান’ নামের দুটি ষাঁড়। ২০ মণ ওজনের পাঠানের দাম ১০ লাখ টাকা এবং ১৮ মণ ওজনের জায়েদ খানের দাম ৮ লাখ টাকা হাঁকাচ্ছেন খামারি।

আড়াই বছর বয়সের দেশাল জাতের লাল ও হালকা কালো রঙের পাঠান লম্বায় ১০ ফুট, উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট। আর লাল-কালো রঙের ১৮ মণের জায়েদ খান লম্বায় ১০ ফুট ও উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট। প্রতিদিন গরু দুটির খাদ্যতালিকায় রয়েছে ভুসি, সবুজ ঘাস ও খড়।

আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুণ্ডা গোদনাইল এলাকার আর কে এগ্রো ফার্মে দেখা মেলে এ দুটি ষাঁড়ের। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে খামারে বড় দুটি গরুর নাম রাখা হয়েছে পাঠান ও জায়েদ খানের নামে। গরু দুটি দেখতে খামারে প্রতিদিন সহস্রাধিক ক্রেতা-দর্শনার্থী ভিড় করেন। অনেকেই আবার ছবি, ভিডিও ধারণ করেন বলে জানিয়েছেন খামারের মালিক।

এদিকে ঈদুল আজহায় কোরবানি উপলক্ষে ক্রেতারা বিভিন্ন খামার, পশুর হাটগুলোতে ভিড় করছেন। তবে নারায়ণগঞ্জে পশুর হাটগুলোর তুলনায় বিভিন্ন খামারে বেশি ভিড় দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের। ক্রেতারা নিজেদের পছন্দমতো গরু কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছেন বলেও জানান খামারসংশ্লিষ্টরা।

ষাঁড় দুটির এমন নামকরণের বিষয়ে আরকে অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজার মো. আব্দুস সামাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আদর করে গরুটির নাম পাঠান রেখেছি, কারণ তখন ‘পাঠান’ ছবি মুক্তি পেয়েছিল। গরুটির গঠন অনেকটা পাঠানের মতো। এ ছাড়া পাঠান বলে ডাক দিলে গরুটি সাড়া দেয়।’

লাল চাদরে ‘জায়েদ খান’আর জায়েদ খান নাম রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যখন পাঠান ছবি মুক্তি পায়, তখন জায়েদ খান এই ছবিতে অভিনয় করতে চান। এই দুটি গরু যখন পাশাপাশি রাখা হতো, তখন এটি গুঁতো দিত। তাই চিন্তা করলাম এই গরুর নাম জায়েদ খানই রেখে দেই। তাই ভালোবেসে জায়েদ খান নামেই গরুটির নাম রেখেছি। এটি এখন জায়েদ খান নামেই খামারে ব্যাপক পরিচিত।’

খামারটির হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা মো. নাজির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের খামারে ব্রাহমা, সিংদী, শাহীওয়াল, নেপালি বলদ, দেশাল, ফ্রিজিয়ান জাতের ১ হাজারের বেশি গরু লালন-পালন করা হয়। পাশাপাশি দুম্বা, ভেড়াও রয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের খামারের ৭০ শতাংশ গরু বিক্রি হয়ে গেছে। অনেকেই গরু কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছেন। বিক্রি হওয়া এই পশুগুলো ক্রেতাদের ইচ্ছামতো সময়ে ডেলিভারি দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে এবার কোরবানির টার্গেট ১ লাখ। চাহিদার তুলনায় বেশি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বিশেষায়িত খামার ছাড়াও সাধারণ খামার ও কৃষকেরা বাড়িতে গবাদিপশু পালন করে কোরবানির জন্য তৈরি করছেন। তবে বর্তমানে অধিকাংশ ক্রেতাকে এগ্রো খামারে বেশি আকৃষ্ট করে। তাই এখন অনেকেই এই খামারগুলো থেকে কোরবানির জন্য গরু কেনেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত