নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সড়কে প্রতি মুহূর্তে হত্যার আয়োজন হচ্ছে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেছেন, ‘সড়কের সব দুর্ঘটনা মানব সৃষ্ট। যদি আমাদের চালকদের লাইসেন্স ঠিক থাকে, গাড়ির ফিটনেস ঠিক থাকে এবং সড়ক ঠিক থাকে, আমরা যদি রোড সংকেত মেনে চলি, যাত্রীরা যদি আচরণবিধি মেনে চলে, এরপরও যদি দু–একটি ঘটনা ঘটে, তার নাম দুর্ঘটনা। কিন্তু আপনার গাড়ির ফিটনেস ঠিক নেই, টাকা দিয়ে লাইসেন্স পাওয়া যায়, সড়ক ঠিক নেই। তাহলে এখানে তো প্রতি মুহূর্তে হত্যার আয়োজন হচ্ছে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বিগত সরকারের প্রণীত সড়ক আইনে যাত্রী স্বার্থ উপেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। যাত্রী অধিকার দিবস উপলক্ষে সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বিগত সরকারের সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কারও কোনো পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন না। তিনি একক সিদ্ধান্তে সব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বলেও উল্লেখ করেন রোবায়েত ফেরদৌস।
সড়ক দুর্ঘটনায় বিশিষ্ট সাংবাদিক তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তখন আমরা তৎকালীন সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বলেছিলাম, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি হত্যার আয়োজন। এখানের মতো চড় বাকল তোলা বাস সারা পৃথিবীর কোথাও নেই। এখানকার দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো চুক্তিভিত্তিক ড্রাইভার নিয়োগ দেওয়া। তারা প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ মারছে। আমাদের মেয়র এবং সেতুমন্ত্রী সব সময় বাগাড়ম্বর করতেন। আমরা প্রত্যেকেই এর ভুক্তভোগী হতে পারি। সড়কের সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ থাকত এবং এখানে সীমাহীন লুণ্ঠন লুটতরাজ এবং ন্যূনতম সুশাসনের ব্যবস্থা না রেখেই সড়কগুলো ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে।’
আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য তুলে ধরে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজ্জাম্মেল হক বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য কিছুতেই থামছে না। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশের ইতিহাসে সাড়া জাগানো সর্ববৃহৎ ছাত্র আন্দোলনের পরে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সড়ক পরিবহনের নতুন আইন করলেন, আইন বাস্তবায়নও হলো কিন্তু পরিবহনে বিশৃঙ্খলা কেবল বাড়ছেই। পরিবহন খাতসহ দেশের সব ক্ষেত্রে বৈষম্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার শত সহস্র তাজা প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন সেক্টরেও দীর্ঘদিন যাবৎ যাত্রী সাধারণ ছিল বঞ্চিত। সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে তাদের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ।
মোজ্জাম্মেল হক আরও বলেন, পরিবহনের প্রধানতম স্টেকহোল্ডার দেশের জনগণ তথা যাত্রীসাধারণ হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৬ বছর পরিবহন পরিচালনার সব ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান স্টেকহোল্ডার যাত্রী সাধারণের প্রতিনিধিত্ব বাদ দিয়ে সরকারের অনুগত লেজুড়বৃত্তি একটি বাস মালিক সমিতি ও একটি পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বে পরিবহন সেক্টর পরিচালনা করতে গিয়ে সবকিছু যেন লেজেগোবরে অবস্থার সৃষ্টি করেছিল। ফলে পরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যাত্রীসাধারণের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগের কোনো উপায় ছিল না। পরিবহন সেক্টরে যাত্রী স্বার্থের সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হতো বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশন গুটিকতেক নেতাদের প্রেসক্রিপশনে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে মানুষের সংকটকে পুঁজি করে বিগত ১৫ বছরে দেশের সড়ক যোগাযোগে উন্নয়নের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য নেওয়া হয়েছে একের পর এক মেগা প্রকল্প, উদ্দেশ্য ছিল মেগা লুটপাট। পরিবহনে মালিক-শ্রমিক নেতাদের তোষামোদি করার মাধ্যমে যাত্রীদের পকেট কাটার নৈরাজ্য চলেছে। চাঁদাবাজির নামে শত শত কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা চাঁদাবাজির অংশীদার থাকায় কোনো প্রতিবাদ করা যায়নি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্না, যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত সাকিল প্রমুখ।
সড়কে প্রতি মুহূর্তে হত্যার আয়োজন হচ্ছে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেছেন, ‘সড়কের সব দুর্ঘটনা মানব সৃষ্ট। যদি আমাদের চালকদের লাইসেন্স ঠিক থাকে, গাড়ির ফিটনেস ঠিক থাকে এবং সড়ক ঠিক থাকে, আমরা যদি রোড সংকেত মেনে চলি, যাত্রীরা যদি আচরণবিধি মেনে চলে, এরপরও যদি দু–একটি ঘটনা ঘটে, তার নাম দুর্ঘটনা। কিন্তু আপনার গাড়ির ফিটনেস ঠিক নেই, টাকা দিয়ে লাইসেন্স পাওয়া যায়, সড়ক ঠিক নেই। তাহলে এখানে তো প্রতি মুহূর্তে হত্যার আয়োজন হচ্ছে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বিগত সরকারের প্রণীত সড়ক আইনে যাত্রী স্বার্থ উপেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। যাত্রী অধিকার দিবস উপলক্ষে সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বিগত সরকারের সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কারও কোনো পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন না। তিনি একক সিদ্ধান্তে সব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বলেও উল্লেখ করেন রোবায়েত ফেরদৌস।
সড়ক দুর্ঘটনায় বিশিষ্ট সাংবাদিক তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তখন আমরা তৎকালীন সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বলেছিলাম, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি হত্যার আয়োজন। এখানের মতো চড় বাকল তোলা বাস সারা পৃথিবীর কোথাও নেই। এখানকার দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো চুক্তিভিত্তিক ড্রাইভার নিয়োগ দেওয়া। তারা প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ মারছে। আমাদের মেয়র এবং সেতুমন্ত্রী সব সময় বাগাড়ম্বর করতেন। আমরা প্রত্যেকেই এর ভুক্তভোগী হতে পারি। সড়কের সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ থাকত এবং এখানে সীমাহীন লুণ্ঠন লুটতরাজ এবং ন্যূনতম সুশাসনের ব্যবস্থা না রেখেই সড়কগুলো ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে।’
আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য তুলে ধরে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজ্জাম্মেল হক বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য কিছুতেই থামছে না। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশের ইতিহাসে সাড়া জাগানো সর্ববৃহৎ ছাত্র আন্দোলনের পরে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সড়ক পরিবহনের নতুন আইন করলেন, আইন বাস্তবায়নও হলো কিন্তু পরিবহনে বিশৃঙ্খলা কেবল বাড়ছেই। পরিবহন খাতসহ দেশের সব ক্ষেত্রে বৈষম্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার শত সহস্র তাজা প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন সেক্টরেও দীর্ঘদিন যাবৎ যাত্রী সাধারণ ছিল বঞ্চিত। সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে তাদের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ।
মোজ্জাম্মেল হক আরও বলেন, পরিবহনের প্রধানতম স্টেকহোল্ডার দেশের জনগণ তথা যাত্রীসাধারণ হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৬ বছর পরিবহন পরিচালনার সব ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান স্টেকহোল্ডার যাত্রী সাধারণের প্রতিনিধিত্ব বাদ দিয়ে সরকারের অনুগত লেজুড়বৃত্তি একটি বাস মালিক সমিতি ও একটি পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বে পরিবহন সেক্টর পরিচালনা করতে গিয়ে সবকিছু যেন লেজেগোবরে অবস্থার সৃষ্টি করেছিল। ফলে পরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যাত্রীসাধারণের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগের কোনো উপায় ছিল না। পরিবহন সেক্টরে যাত্রী স্বার্থের সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হতো বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশন গুটিকতেক নেতাদের প্রেসক্রিপশনে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে মানুষের সংকটকে পুঁজি করে বিগত ১৫ বছরে দেশের সড়ক যোগাযোগে উন্নয়নের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য নেওয়া হয়েছে একের পর এক মেগা প্রকল্প, উদ্দেশ্য ছিল মেগা লুটপাট। পরিবহনে মালিক-শ্রমিক নেতাদের তোষামোদি করার মাধ্যমে যাত্রীদের পকেট কাটার নৈরাজ্য চলেছে। চাঁদাবাজির নামে শত শত কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা চাঁদাবাজির অংশীদার থাকায় কোনো প্রতিবাদ করা যায়নি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্না, যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত সাকিল প্রমুখ।
আলু সংরক্ষণ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বগুড়ার কৃষকেরা। পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় কৃষকের বাড়িতেই আলু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। যে কারণে আলু চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষকদের।
৩ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ঘুমন্ত মাদকাসক্ত ছেলেকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর থানায় এসে বৃদ্ধ বাবা আত্মসমর্পণ করেছেন। মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধ বাবা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
৭ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
৪৪ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
১ ঘণ্টা আগে