নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: মার্চ মাসে ইমাম আবদুর রহমান ও স্ত্রী আসমা আক্তারকে অসংলগ্ন অবস্থায় বাসায় ধরে ফেলেন আজাহার। স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় স্বামী। বাঁধা দূর করতে পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন আসমা ও ইমাম। আর পথের কাটা সরে গেলে আবদুর রহমান ও আসমা ঘর বাধার স্বপ্নে ছিলো বিভোর। রোজা শুরুর এক সপ্তাহ আগেই আজাহারকে খুনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু হঠাৎ আবদুর রহমানের কলেরা হলে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ইদের আগে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেলে স্বামীর ওপর আরও ক্ষিপ্ত হন আসমা।
ইমামের সঙ্গে পরিকল্পনা করে অনেকটা জোর করেই স্বামীকে ঢাকায় পাঠায় আসমা। পরিকল্পনা অনুযায়ী আবদুর রহমান তাঁর মসজিদের হুজরায় আজাহারকে খুন করে লাশ কেটে টুকরো করে মসজিদের সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে, আজহার হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আসমা আক্তার এবং মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে বুধবার বিকালে র্যাব সদর দপ্তরে খুনের কারণ ও তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন সংস্থার লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দক্ষিণখান সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমান বাসায় গিয়েই নিহত আজাহার ও তাঁর ছেলেকে আরবি পড়াতেন। বাসায় যাওয়া আসার ফলেই নিহত আজাহার ও তাঁর স্ত্রী আসমা আক্তারের সঙ্গে ইমামের সম্পর্ক তৈরি হয়। মার্চ মাসে আজহার বুঝতে পারেন তাঁর স্ত্রী ও ইমামের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক চলছে। এরপর আজাহার ইমামকে বাসায় না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। স্ত্রীকেও ইমামের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করেন।
তাদের সম্পর্কে বাধা দেওয়ার পরই খুনের পরিকল্পনা করা হয় জানিয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, বাধা দেওয়ার পর আসমা আক্তারের সঙ্গে ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। মার্চের শেষের দিকে ভুক্তভোগীর স্ত্রী ও মসজিদের ইমাম দুজনে মিলে আজহারুলকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। প্রথমে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভাড়াটে খুনির মাধ্যমে আজাহারকে হত্যা করবে। কিন্তু পরে আসমা শর্ত দেন, ইমামকে নিজ হাতেই তার স্বামীকে খুন করতে হবে। রোজা শুরুর ৭ দিন আগে খুনের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু হঠাৎই আবদুর রহমানের কলেরা হওয়ায় খুনের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ইদের আগে স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেলেও পরিকল্পনা অনুযায়ী আজাহারকে ফুসলিয়ে ঢাকায় পাঠায় আসমা।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ভাড়াটে খুনি দিয়ে ইমাম খুন করতে চাইলেও আসমা চেয়েছিল ইমাম নিজ হাতে খুন করুক। কারণ মার্চে দুজনের যোগাযোগের বাধা দেন আজাহার। এ ছাড়া ঢাকা থেকে অনেকটা জোর করেই গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। নিজ হাতে খুনের মাধ্যমে ইমামের প্রেমের পরীক্ষা এবং ক্ষোভ মেটাতে চেয়েছিল আসমা। আজাহারকে খুন না করলে আসমাই ইমামকে খুন করবে বলে হুমকি দেয়।
পাঁচ দিনের রিমান্ড
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানা-পুলিশের এসআই অনুজ কুমার সরকার বুধবার ইমাম রহমান ও আসমাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন হেফাজতে রাখার আবেদন করেন। মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি দুই আসামির পাঁচ দিন রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, পূর্ব পরিকল্পনা ও পরস্পর যোগসাজশে রহমান ও আসমা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
মঙ্গলবার ভোরে দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সেফটিক ট্যাংক থেকে পোশাক শ্রমিক আজাহারের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে র্যাব। খুনের অভিযোগে সকালেই মসজিদের ইমাম আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহতের স্ত্রী আসমা বেগমকে রাতে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা: মার্চ মাসে ইমাম আবদুর রহমান ও স্ত্রী আসমা আক্তারকে অসংলগ্ন অবস্থায় বাসায় ধরে ফেলেন আজাহার। স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় স্বামী। বাঁধা দূর করতে পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন আসমা ও ইমাম। আর পথের কাটা সরে গেলে আবদুর রহমান ও আসমা ঘর বাধার স্বপ্নে ছিলো বিভোর। রোজা শুরুর এক সপ্তাহ আগেই আজাহারকে খুনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু হঠাৎ আবদুর রহমানের কলেরা হলে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ইদের আগে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেলে স্বামীর ওপর আরও ক্ষিপ্ত হন আসমা।
ইমামের সঙ্গে পরিকল্পনা করে অনেকটা জোর করেই স্বামীকে ঢাকায় পাঠায় আসমা। পরিকল্পনা অনুযায়ী আবদুর রহমান তাঁর মসজিদের হুজরায় আজাহারকে খুন করে লাশ কেটে টুকরো করে মসজিদের সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে, আজহার হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আসমা আক্তার এবং মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে বুধবার বিকালে র্যাব সদর দপ্তরে খুনের কারণ ও তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন সংস্থার লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দক্ষিণখান সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমান বাসায় গিয়েই নিহত আজাহার ও তাঁর ছেলেকে আরবি পড়াতেন। বাসায় যাওয়া আসার ফলেই নিহত আজাহার ও তাঁর স্ত্রী আসমা আক্তারের সঙ্গে ইমামের সম্পর্ক তৈরি হয়। মার্চ মাসে আজহার বুঝতে পারেন তাঁর স্ত্রী ও ইমামের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক চলছে। এরপর আজাহার ইমামকে বাসায় না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। স্ত্রীকেও ইমামের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করেন।
তাদের সম্পর্কে বাধা দেওয়ার পরই খুনের পরিকল্পনা করা হয় জানিয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, বাধা দেওয়ার পর আসমা আক্তারের সঙ্গে ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। মার্চের শেষের দিকে ভুক্তভোগীর স্ত্রী ও মসজিদের ইমাম দুজনে মিলে আজহারুলকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। প্রথমে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভাড়াটে খুনির মাধ্যমে আজাহারকে হত্যা করবে। কিন্তু পরে আসমা শর্ত দেন, ইমামকে নিজ হাতেই তার স্বামীকে খুন করতে হবে। রোজা শুরুর ৭ দিন আগে খুনের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু হঠাৎই আবদুর রহমানের কলেরা হওয়ায় খুনের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ইদের আগে স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেলেও পরিকল্পনা অনুযায়ী আজাহারকে ফুসলিয়ে ঢাকায় পাঠায় আসমা।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ভাড়াটে খুনি দিয়ে ইমাম খুন করতে চাইলেও আসমা চেয়েছিল ইমাম নিজ হাতে খুন করুক। কারণ মার্চে দুজনের যোগাযোগের বাধা দেন আজাহার। এ ছাড়া ঢাকা থেকে অনেকটা জোর করেই গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। নিজ হাতে খুনের মাধ্যমে ইমামের প্রেমের পরীক্ষা এবং ক্ষোভ মেটাতে চেয়েছিল আসমা। আজাহারকে খুন না করলে আসমাই ইমামকে খুন করবে বলে হুমকি দেয়।
পাঁচ দিনের রিমান্ড
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানা-পুলিশের এসআই অনুজ কুমার সরকার বুধবার ইমাম রহমান ও আসমাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন হেফাজতে রাখার আবেদন করেন। মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি দুই আসামির পাঁচ দিন রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, পূর্ব পরিকল্পনা ও পরস্পর যোগসাজশে রহমান ও আসমা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
মঙ্গলবার ভোরে দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সেফটিক ট্যাংক থেকে পোশাক শ্রমিক আজাহারের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে র্যাব। খুনের অভিযোগে সকালেই মসজিদের ইমাম আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহতের স্ত্রী আসমা বেগমকে রাতে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাখের আলী বিওপি এলাকার আলীমনগর ঘাট থেকে এক যুবককে মাদকসহ আটকের ঘটনায় ৫৩ বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর হাটের কোথালীপাড়া এলাকায় চারজন বিজিবি সদস্য রামচন্দ্রপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে সাজিদ আহমেদ
০১ জানুয়ারি ১৯৭০রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ আটকাতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা আগামী একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদন না হলে কঠোর কর্মসূচিরও হুঁশিয়ারি দেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে...
৩৯ মিনিট আগেহবিগঞ্জের মাধবপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনীর হাতে আটক মাধবপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব জামিল চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার বাদী অরূপ চৌধুরীকে মাদক ও ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অরূপ চৌধুরীকে শায়েস্তাগঞ্জ থানার একটি ডাকাতি মামলায় মাধবপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে...
১ ঘণ্টা আগেঅনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে মো. রউফুল মুনশি নামের এক ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. শোয়েব হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে