Ajker Patrika

মহাখালীতে জসিমের চাঁদাবাজির সহযোগী ছিল পাঠাও চালক, পিস্তলটি এখন তাঁর কাছেই: পুলিশ

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
গাজীপুরের পুবাইল থেকে গ্রেপ্তার জসিম উদ্দিন। ছবি: র‍্যাব
গাজীপুরের পুবাইল থেকে গ্রেপ্তার জসিম উদ্দিন। ছবি: র‍্যাব

রাজধানীর মহাখালীতে একটি ওষুধের দোকানে পিস্তল ঠেকিয়ে চাঁদাবাজি করা জসিম উদ্দিনের সহযোগী ছিলেন একজন পাঠাও চালক। ওই পিস্তলটি এখন তাঁর কাছেই অস্ত্রটি রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। জসিমকে গ্রেপ্তারের পর আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান।

আশিকুর রহমান বলেন, ‘জসিমের সহযোগী পাঠাও চালক। তার পরিচয় আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। জসিম জানিয়েছেন, পাঠাও চালকের কাছ থেকেই পিস্তলটি নিয়ে চাঁদাবাজি করা হয়েছিল এবং তার কাছেই অস্ত্রটি রয়েছে।’

এর আগে শনিবার দুপুরে উত্তরার র‍্যাব-১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তাকে গাজীপুরের পুবাইল থেকে গ্রেপ্তারে কথা জানান তিনি।

আশিকুর রহমান বলেন, মহাখালীর টিভি গেট এলাকায় চাঁদপুর ড্রাগ হাউস নামে ওষুধের দোকানে ঢুকে পিস্তল ঠেকিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় পুবাইলের বাঁধন এলাকা থেকে গতকাল শুক্রবার রাতে জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকালে চাঁদাবাজির পর পালিয়ে যাওয়ায় ব্যবহৃত একটি পালসার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

জসিম ওই এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে। ৫ আগস্টের আগে বনানী এলাকায় পানির ব্যবসা করতেন তিনি।

আশিকুর রহমান বলেন, ১৮ আগস্ট সকালে চাঁদপুর ড্রাগ হাউসের ভেতরে তিনজন বিক্রেতা ও বাইরে কয়েকজন ক্রেতা ছিল। সে সময় কালো গেঞ্জি পরা একজন এসে বিক্রেতাকে ডাকেন। পরে বিক্রেতারা তাৎক্ষণিক সাড়া না দিলে ওই ব্যক্তি কোমর থেকে পিস্তল বের করে ১০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যান। এ ঘটনায় গতকাল বনানী থানায় মামলা হয়। মামলার ১২ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জসিমকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর চাঁদাবাজির বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তার ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

তিনি জানান, পানি ব্যবসায়ী হলেও জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে মহাখালী ও বনানী এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন জসিম। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও মারামারির ঘটনায় তিনটি মামলা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত