নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা (ঢাকা)

টার্গেট নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণী-কিশোরী ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া অসচ্ছল ছাত্রী। ‘বায়িং হাউসে’ চাকরির লোভ দেখিয়ে ডেকে আনা হতো। এরপর মাদক সেবন করিয়ে নগ্ন ছবি-ভিডিও ধারণ করা হতো। সেসব ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের টাকা।
গত বুধবার (২৮ মে) রাতে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের মূল হোতা মাসুম পারভেজসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পারভেজ মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট। কিন্তু তিনি মুগদা মেডিকেলে বসতেন না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি কথিত এই বায়িং হাউসে সময় কাটাতেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চক্রের মূল হোতা টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার চরশিমলা গ্রামের মাসুম পারভেজ (৩৮), একই উপজেলার ছাতারকান্দি গ্রামের সোলাইমান হোসেন (৩৮), বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রায়েরবাড়ি দেরগতি গ্রামের শফিকুল ইসলাম সৌরভ (২৭), নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাংখাচর গ্রামের মেয়েরুলি খানম (১৯) ও শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম পাগলাজামি গ্রামের মোছা. মায়া (২৫)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ওই কথিত বায়িং হাউসটিতে চারটি রুম রয়েছে। যার মধ্যে একটি রুমে ডিজে পার্টি করার জন্য সব ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে মাদক সেবন ও যৌন নিপীড়ন করার জন্যও নানা ব্যবস্থা আছে। বাকি কক্ষে আছে লোকদেখানো আসবাবপত্র।
অভিযানকালে চক্রের আস্তানা থেকে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা, ৬০ পিস ইয়াবা, পর্নো ভিডিও ধারণে ব্যবহৃত দুটি হোম সিসিটিভি ক্যামেরা, তিনটি মোবাইল ফোন ও বহু বিদেশি মদের বোতল জব্দ করা হয়।
এক কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ে এ চক্র। ওই কিশোরীর মা পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগের পর গ্রেপ্তার পাঁচজনসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (ফুসলাইয়া অপহরণ করে আটক রেখে মুক্তিপণ দাবি) মামলা করেন।
মামলার এজাহারে ওই নারী উল্লেখ করেন, ২৬ মে বিকেলে তাঁর মেয়ে ঘুরতে বের হওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। পরে বাসায় না ফেরায় দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোনে কল করা হলেও ধরেনি, পরে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন দুপুরে ফোন করে টাকা চায়। তাঁর অবস্থান বা টাকা দাবির কারণ জানতে চাইলে বাসা থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ফের মোবাইল বন্ধ করে দেন। ২৮ মে গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তাঁরা টাকা নিয়ে উত্তরার শহীদ মুনসুর আলী মেডিকেলের সামনে যেতে বলেন। পরে তাঁরা উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশকে জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানান, বাসা থেকে বের হওয়ার পর মধুমিতা নামের এক মেয়ে বায়িং হাউসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে উত্তরা যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার পর সোহেল নামের এক ব্যক্তি তাঁকে রুমে ডেকে নিয়ে উলঙ্গ করে দৃশ্য ধারণ করেন এবং বলেন, ব্যবসার কাজে লাগবে। পরে সেসব ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁকে একটি রুমে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
অপরদিকে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করা ও ইয়াবা জব্দের ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন।
পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলার এজাহারে আবু সাঈদ জানান, আসামি মাসুম পারভেজ, সোলাইমান হোসেন ও শফিকুল ইসলাম সৌরভের মোবাইল ফোন থেকে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীসহ বহু মেয়ের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করা রয়েছে। এসব ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে তাঁরা টাকা আদায় করতেন। এভাবে আদায় করা ১ কোটি ৪১ লাখ টাকাও তাঁদের হেফাজত থেকে জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরাও তা স্বীকার করেছেন।
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, তরুণীদের ধারণ করা পর্নো ভিডিও চড়া মূল্যে বিদেশি বিভিন্ন পর্নো সাইটে বিক্রি করা হতো।
এ বিষয়ে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, চক্রটির পাঁচজন সদস্য মিলে একটি কথিত বায়িং হাউস দেন। তাঁদের ছিল একটি নারী সিন্ডিকেট। নারীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রী ও নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণীদের পার্ট টাইম চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে আসতেন। সেখানে নিয়ে এসে উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে চক্রটি বলত, তাঁদের বিদেশি বায়ারদের ফেস করতে হবে। এর জন্য ফিগার দেখাতে হবে। তারপর নগ্ন করে তাঁদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হতো। তাঁদের মদ-ইয়াবা সেবন করাত। আবার সেই দৃশ্যও ধারণ করে রাখা হতো।
চক্রটির কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি হাফিজ বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে চক্রটি বায়িং হাউসের আড়ালে এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। চক্রটিতে মোট আটজন সদস্য রয়েছেন। যার মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক তিনজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ওসি হাফিজ বলেন, বায়িং হাউসের অন্তরালে গড়ে তোলা হয়েছিল পতিতালয়। কোনো তরুণী সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে তখন তাঁকে সেসব নগ্ন ছবি-ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে নোংরা কাজে বাধ্য করা হতো। অন্যথায় তাঁর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। আর যেসব তরুণী বাধ্য হয়ে সেখানে থাকতেন, তাঁদের দিয়ে করানো হতো পতিতাবৃত্তি।
ভুক্তভোগীর সংখ্যা ও ধারণ করা ভিডিও প্রসঙ্গ জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ বলেন, ‘তাদের হেফাজত থেকে শত শত কিশোর-তরুণীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও পেয়েছি। যা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ধারণা করছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছি। আগামীকাল সোমবার রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’

টার্গেট নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণী-কিশোরী ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া অসচ্ছল ছাত্রী। ‘বায়িং হাউসে’ চাকরির লোভ দেখিয়ে ডেকে আনা হতো। এরপর মাদক সেবন করিয়ে নগ্ন ছবি-ভিডিও ধারণ করা হতো। সেসব ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের টাকা।
গত বুধবার (২৮ মে) রাতে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের মূল হোতা মাসুম পারভেজসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পারভেজ মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট। কিন্তু তিনি মুগদা মেডিকেলে বসতেন না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি কথিত এই বায়িং হাউসে সময় কাটাতেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চক্রের মূল হোতা টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার চরশিমলা গ্রামের মাসুম পারভেজ (৩৮), একই উপজেলার ছাতারকান্দি গ্রামের সোলাইমান হোসেন (৩৮), বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রায়েরবাড়ি দেরগতি গ্রামের শফিকুল ইসলাম সৌরভ (২৭), নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাংখাচর গ্রামের মেয়েরুলি খানম (১৯) ও শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম পাগলাজামি গ্রামের মোছা. মায়া (২৫)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ওই কথিত বায়িং হাউসটিতে চারটি রুম রয়েছে। যার মধ্যে একটি রুমে ডিজে পার্টি করার জন্য সব ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে মাদক সেবন ও যৌন নিপীড়ন করার জন্যও নানা ব্যবস্থা আছে। বাকি কক্ষে আছে লোকদেখানো আসবাবপত্র।
অভিযানকালে চক্রের আস্তানা থেকে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা, ৬০ পিস ইয়াবা, পর্নো ভিডিও ধারণে ব্যবহৃত দুটি হোম সিসিটিভি ক্যামেরা, তিনটি মোবাইল ফোন ও বহু বিদেশি মদের বোতল জব্দ করা হয়।
এক কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ে এ চক্র। ওই কিশোরীর মা পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগের পর গ্রেপ্তার পাঁচজনসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (ফুসলাইয়া অপহরণ করে আটক রেখে মুক্তিপণ দাবি) মামলা করেন।
মামলার এজাহারে ওই নারী উল্লেখ করেন, ২৬ মে বিকেলে তাঁর মেয়ে ঘুরতে বের হওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। পরে বাসায় না ফেরায় দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোনে কল করা হলেও ধরেনি, পরে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন দুপুরে ফোন করে টাকা চায়। তাঁর অবস্থান বা টাকা দাবির কারণ জানতে চাইলে বাসা থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ফের মোবাইল বন্ধ করে দেন। ২৮ মে গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তাঁরা টাকা নিয়ে উত্তরার শহীদ মুনসুর আলী মেডিকেলের সামনে যেতে বলেন। পরে তাঁরা উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশকে জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানান, বাসা থেকে বের হওয়ার পর মধুমিতা নামের এক মেয়ে বায়িং হাউসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে উত্তরা যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার পর সোহেল নামের এক ব্যক্তি তাঁকে রুমে ডেকে নিয়ে উলঙ্গ করে দৃশ্য ধারণ করেন এবং বলেন, ব্যবসার কাজে লাগবে। পরে সেসব ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁকে একটি রুমে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
অপরদিকে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করা ও ইয়াবা জব্দের ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন।
পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলার এজাহারে আবু সাঈদ জানান, আসামি মাসুম পারভেজ, সোলাইমান হোসেন ও শফিকুল ইসলাম সৌরভের মোবাইল ফোন থেকে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীসহ বহু মেয়ের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করা রয়েছে। এসব ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে তাঁরা টাকা আদায় করতেন। এভাবে আদায় করা ১ কোটি ৪১ লাখ টাকাও তাঁদের হেফাজত থেকে জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরাও তা স্বীকার করেছেন।
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, তরুণীদের ধারণ করা পর্নো ভিডিও চড়া মূল্যে বিদেশি বিভিন্ন পর্নো সাইটে বিক্রি করা হতো।
এ বিষয়ে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, চক্রটির পাঁচজন সদস্য মিলে একটি কথিত বায়িং হাউস দেন। তাঁদের ছিল একটি নারী সিন্ডিকেট। নারীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রী ও নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণীদের পার্ট টাইম চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে আসতেন। সেখানে নিয়ে এসে উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে চক্রটি বলত, তাঁদের বিদেশি বায়ারদের ফেস করতে হবে। এর জন্য ফিগার দেখাতে হবে। তারপর নগ্ন করে তাঁদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হতো। তাঁদের মদ-ইয়াবা সেবন করাত। আবার সেই দৃশ্যও ধারণ করে রাখা হতো।
চক্রটির কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি হাফিজ বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে চক্রটি বায়িং হাউসের আড়ালে এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। চক্রটিতে মোট আটজন সদস্য রয়েছেন। যার মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক তিনজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ওসি হাফিজ বলেন, বায়িং হাউসের অন্তরালে গড়ে তোলা হয়েছিল পতিতালয়। কোনো তরুণী সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে তখন তাঁকে সেসব নগ্ন ছবি-ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে নোংরা কাজে বাধ্য করা হতো। অন্যথায় তাঁর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। আর যেসব তরুণী বাধ্য হয়ে সেখানে থাকতেন, তাঁদের দিয়ে করানো হতো পতিতাবৃত্তি।
ভুক্তভোগীর সংখ্যা ও ধারণ করা ভিডিও প্রসঙ্গ জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ বলেন, ‘তাদের হেফাজত থেকে শত শত কিশোর-তরুণীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও পেয়েছি। যা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ধারণা করছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছি। আগামীকাল সোমবার রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’
নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা (ঢাকা)

টার্গেট নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণী-কিশোরী ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া অসচ্ছল ছাত্রী। ‘বায়িং হাউসে’ চাকরির লোভ দেখিয়ে ডেকে আনা হতো। এরপর মাদক সেবন করিয়ে নগ্ন ছবি-ভিডিও ধারণ করা হতো। সেসব ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের টাকা।
গত বুধবার (২৮ মে) রাতে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের মূল হোতা মাসুম পারভেজসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পারভেজ মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট। কিন্তু তিনি মুগদা মেডিকেলে বসতেন না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি কথিত এই বায়িং হাউসে সময় কাটাতেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চক্রের মূল হোতা টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার চরশিমলা গ্রামের মাসুম পারভেজ (৩৮), একই উপজেলার ছাতারকান্দি গ্রামের সোলাইমান হোসেন (৩৮), বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রায়েরবাড়ি দেরগতি গ্রামের শফিকুল ইসলাম সৌরভ (২৭), নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাংখাচর গ্রামের মেয়েরুলি খানম (১৯) ও শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম পাগলাজামি গ্রামের মোছা. মায়া (২৫)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ওই কথিত বায়িং হাউসটিতে চারটি রুম রয়েছে। যার মধ্যে একটি রুমে ডিজে পার্টি করার জন্য সব ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে মাদক সেবন ও যৌন নিপীড়ন করার জন্যও নানা ব্যবস্থা আছে। বাকি কক্ষে আছে লোকদেখানো আসবাবপত্র।
অভিযানকালে চক্রের আস্তানা থেকে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা, ৬০ পিস ইয়াবা, পর্নো ভিডিও ধারণে ব্যবহৃত দুটি হোম সিসিটিভি ক্যামেরা, তিনটি মোবাইল ফোন ও বহু বিদেশি মদের বোতল জব্দ করা হয়।
এক কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ে এ চক্র। ওই কিশোরীর মা পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগের পর গ্রেপ্তার পাঁচজনসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (ফুসলাইয়া অপহরণ করে আটক রেখে মুক্তিপণ দাবি) মামলা করেন।
মামলার এজাহারে ওই নারী উল্লেখ করেন, ২৬ মে বিকেলে তাঁর মেয়ে ঘুরতে বের হওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। পরে বাসায় না ফেরায় দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোনে কল করা হলেও ধরেনি, পরে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন দুপুরে ফোন করে টাকা চায়। তাঁর অবস্থান বা টাকা দাবির কারণ জানতে চাইলে বাসা থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ফের মোবাইল বন্ধ করে দেন। ২৮ মে গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তাঁরা টাকা নিয়ে উত্তরার শহীদ মুনসুর আলী মেডিকেলের সামনে যেতে বলেন। পরে তাঁরা উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশকে জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানান, বাসা থেকে বের হওয়ার পর মধুমিতা নামের এক মেয়ে বায়িং হাউসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে উত্তরা যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার পর সোহেল নামের এক ব্যক্তি তাঁকে রুমে ডেকে নিয়ে উলঙ্গ করে দৃশ্য ধারণ করেন এবং বলেন, ব্যবসার কাজে লাগবে। পরে সেসব ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁকে একটি রুমে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
অপরদিকে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করা ও ইয়াবা জব্দের ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন।
পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলার এজাহারে আবু সাঈদ জানান, আসামি মাসুম পারভেজ, সোলাইমান হোসেন ও শফিকুল ইসলাম সৌরভের মোবাইল ফোন থেকে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীসহ বহু মেয়ের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করা রয়েছে। এসব ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে তাঁরা টাকা আদায় করতেন। এভাবে আদায় করা ১ কোটি ৪১ লাখ টাকাও তাঁদের হেফাজত থেকে জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরাও তা স্বীকার করেছেন।
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, তরুণীদের ধারণ করা পর্নো ভিডিও চড়া মূল্যে বিদেশি বিভিন্ন পর্নো সাইটে বিক্রি করা হতো।
এ বিষয়ে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, চক্রটির পাঁচজন সদস্য মিলে একটি কথিত বায়িং হাউস দেন। তাঁদের ছিল একটি নারী সিন্ডিকেট। নারীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রী ও নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণীদের পার্ট টাইম চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে আসতেন। সেখানে নিয়ে এসে উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে চক্রটি বলত, তাঁদের বিদেশি বায়ারদের ফেস করতে হবে। এর জন্য ফিগার দেখাতে হবে। তারপর নগ্ন করে তাঁদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হতো। তাঁদের মদ-ইয়াবা সেবন করাত। আবার সেই দৃশ্যও ধারণ করে রাখা হতো।
চক্রটির কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি হাফিজ বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে চক্রটি বায়িং হাউসের আড়ালে এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। চক্রটিতে মোট আটজন সদস্য রয়েছেন। যার মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক তিনজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ওসি হাফিজ বলেন, বায়িং হাউসের অন্তরালে গড়ে তোলা হয়েছিল পতিতালয়। কোনো তরুণী সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে তখন তাঁকে সেসব নগ্ন ছবি-ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে নোংরা কাজে বাধ্য করা হতো। অন্যথায় তাঁর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। আর যেসব তরুণী বাধ্য হয়ে সেখানে থাকতেন, তাঁদের দিয়ে করানো হতো পতিতাবৃত্তি।
ভুক্তভোগীর সংখ্যা ও ধারণ করা ভিডিও প্রসঙ্গ জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ বলেন, ‘তাদের হেফাজত থেকে শত শত কিশোর-তরুণীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও পেয়েছি। যা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ধারণা করছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছি। আগামীকাল সোমবার রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’

টার্গেট নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণী-কিশোরী ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া অসচ্ছল ছাত্রী। ‘বায়িং হাউসে’ চাকরির লোভ দেখিয়ে ডেকে আনা হতো। এরপর মাদক সেবন করিয়ে নগ্ন ছবি-ভিডিও ধারণ করা হতো। সেসব ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের টাকা।
গত বুধবার (২৮ মে) রাতে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের মূল হোতা মাসুম পারভেজসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পারভেজ মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট। কিন্তু তিনি মুগদা মেডিকেলে বসতেন না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি কথিত এই বায়িং হাউসে সময় কাটাতেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চক্রের মূল হোতা টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার চরশিমলা গ্রামের মাসুম পারভেজ (৩৮), একই উপজেলার ছাতারকান্দি গ্রামের সোলাইমান হোসেন (৩৮), বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রায়েরবাড়ি দেরগতি গ্রামের শফিকুল ইসলাম সৌরভ (২৭), নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাংখাচর গ্রামের মেয়েরুলি খানম (১৯) ও শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম পাগলাজামি গ্রামের মোছা. মায়া (২৫)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ওই কথিত বায়িং হাউসটিতে চারটি রুম রয়েছে। যার মধ্যে একটি রুমে ডিজে পার্টি করার জন্য সব ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে মাদক সেবন ও যৌন নিপীড়ন করার জন্যও নানা ব্যবস্থা আছে। বাকি কক্ষে আছে লোকদেখানো আসবাবপত্র।
অভিযানকালে চক্রের আস্তানা থেকে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা, ৬০ পিস ইয়াবা, পর্নো ভিডিও ধারণে ব্যবহৃত দুটি হোম সিসিটিভি ক্যামেরা, তিনটি মোবাইল ফোন ও বহু বিদেশি মদের বোতল জব্দ করা হয়।
এক কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ে এ চক্র। ওই কিশোরীর মা পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগের পর গ্রেপ্তার পাঁচজনসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (ফুসলাইয়া অপহরণ করে আটক রেখে মুক্তিপণ দাবি) মামলা করেন।
মামলার এজাহারে ওই নারী উল্লেখ করেন, ২৬ মে বিকেলে তাঁর মেয়ে ঘুরতে বের হওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। পরে বাসায় না ফেরায় দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোনে কল করা হলেও ধরেনি, পরে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন দুপুরে ফোন করে টাকা চায়। তাঁর অবস্থান বা টাকা দাবির কারণ জানতে চাইলে বাসা থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ফের মোবাইল বন্ধ করে দেন। ২৮ মে গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তাঁরা টাকা নিয়ে উত্তরার শহীদ মুনসুর আলী মেডিকেলের সামনে যেতে বলেন। পরে তাঁরা উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশকে জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানান, বাসা থেকে বের হওয়ার পর মধুমিতা নামের এক মেয়ে বায়িং হাউসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে উত্তরা যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার পর সোহেল নামের এক ব্যক্তি তাঁকে রুমে ডেকে নিয়ে উলঙ্গ করে দৃশ্য ধারণ করেন এবং বলেন, ব্যবসার কাজে লাগবে। পরে সেসব ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁকে একটি রুমে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
অপরদিকে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করা ও ইয়াবা জব্দের ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন।
পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলার এজাহারে আবু সাঈদ জানান, আসামি মাসুম পারভেজ, সোলাইমান হোসেন ও শফিকুল ইসলাম সৌরভের মোবাইল ফোন থেকে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীসহ বহু মেয়ের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করা রয়েছে। এসব ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে তাঁরা টাকা আদায় করতেন। এভাবে আদায় করা ১ কোটি ৪১ লাখ টাকাও তাঁদের হেফাজত থেকে জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরাও তা স্বীকার করেছেন।
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, তরুণীদের ধারণ করা পর্নো ভিডিও চড়া মূল্যে বিদেশি বিভিন্ন পর্নো সাইটে বিক্রি করা হতো।
এ বিষয়ে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, চক্রটির পাঁচজন সদস্য মিলে একটি কথিত বায়িং হাউস দেন। তাঁদের ছিল একটি নারী সিন্ডিকেট। নারীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রী ও নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণীদের পার্ট টাইম চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে আসতেন। সেখানে নিয়ে এসে উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে চক্রটি বলত, তাঁদের বিদেশি বায়ারদের ফেস করতে হবে। এর জন্য ফিগার দেখাতে হবে। তারপর নগ্ন করে তাঁদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হতো। তাঁদের মদ-ইয়াবা সেবন করাত। আবার সেই দৃশ্যও ধারণ করে রাখা হতো।
চক্রটির কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি হাফিজ বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে চক্রটি বায়িং হাউসের আড়ালে এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। চক্রটিতে মোট আটজন সদস্য রয়েছেন। যার মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক তিনজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ওসি হাফিজ বলেন, বায়িং হাউসের অন্তরালে গড়ে তোলা হয়েছিল পতিতালয়। কোনো তরুণী সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে তখন তাঁকে সেসব নগ্ন ছবি-ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে নোংরা কাজে বাধ্য করা হতো। অন্যথায় তাঁর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। আর যেসব তরুণী বাধ্য হয়ে সেখানে থাকতেন, তাঁদের দিয়ে করানো হতো পতিতাবৃত্তি।
ভুক্তভোগীর সংখ্যা ও ধারণ করা ভিডিও প্রসঙ্গ জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ বলেন, ‘তাদের হেফাজত থেকে শত শত কিশোর-তরুণীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও পেয়েছি। যা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ধারণা করছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছি। আগামীকাল সোমবার রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’

রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
৮ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর
১২ মিনিট আগে
ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৭ মিনিট আগে
বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসন চারটি বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আসন ফিরে পাওয়ায় সোমবার বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
৩০ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের পাশে শাহ আলী মার্কেটের সামনে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপরও একটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার কর্মকর্তারা জানান, ফুটওভার ব্রিজের ওপর থেকে কেউ ককটেল নিক্ষেপ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এর এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার শিহাব সরকার বলেন, খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর স্টেশন থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ধানমন্ডি বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান জানান, আগুন লাগার সময় বাসে কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন, তবে তাঁরা সবাই নিরাপদে নেমে আসতে সক্ষম হন। কেউ হতাহত হননি।
এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর চারটি স্থানে সাতটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি, মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে ‘প্রবর্তনা’র সামনে ও ভেতরে দুটি, ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারের সামনে দুটি এবং ধানমন্ডি ৯/এ এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে আরও দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটি গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টা ২৬ মিনিটে এবং অপরটি ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে বিস্ফোরিত হয়। দুটি ককটেল অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সামনে বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভবনেরও কোনো ক্ষতি হয়।
আজ সরেজমিনে দেখা যায়, ককটেল বিস্ফোরণের পর গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভবনের সামনের ফুটপাতে ও প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায় তিনজন নিরাপত্তাকর্মী ও একজন কর্মকর্তা বসে আছেন। সামনেই অভ্যর্থনাকক্ষ। কাচের দরজার অভ্যর্থনাকক্ষের প্রবেশের মুখে লালচে ককটেল বিস্ফোরণের দাগ ও বিস্ফোরিত অংশ পড়ে ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেসব নিয়ে গেছে।
ঘটনার বিষয়ে গ্রামীণ ভবনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ২টা ২৬ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণ হয়। এরপর ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে দ্বিতীয় ককটেল হামলার ঘটনা হয়।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেলে করে মিরপুর ১০ নম্বরের দিক থেকে আসে, এরপর ভবনের সামনে মোটরবাইক থামিয়ে পেছনে বসা হেলমেট পরা ব্যক্তি সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে ককটেল ছুড়ে মেরে মিরপুর-১ নম্বরের দিকে পালিয়ে যান। এরপর আরও একটি মোটরসাইকেলে করে প্রায় এক ঘণ্টা পর আরও দুজন একই কায়দায় এসে ককটেল ছুড়ে চলে যান। তবে তাঁদের মুখ দেখা যায়নি। ঘটনার পর আলামত ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার ফটক থেকে আনুমানিক এক শ গজ দূরে গ্রামীণ ভবনের ফটক। থানা ফটকে ও গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের সামনে সব সময় পুলিশের পাহারা থাকে। এর মধ্যেই এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিরাপদে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
একটি হামলার দেড় ঘণ্টা পর আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা কাউকে আটকাতে পারেনি। এ বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সারোয়ার হোসেন বলেন, মোটরবাইকে করে এসে হামলা চালিয়ে তারা দ্রুত চলে যায়। তখন গভীর রাত ছিল, কত মোটরবাইক যায়, কোনগুলোকে আটকাবে।
ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, বিস্ফোরিত ককটেলের ভেতরের পেরেক, কাচের টুকরা, জর্দার কৌটা ও স্কচটেপ পড়ে রয়েছে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, মোটরসাইকেলে এসে দুজন ব্যক্তি এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে গেছেন। তাঁদের মাথায় হেলমেট ছিল। চেহারা বোঝা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে হামলার পর সকাল ৭টার দিকে মোহাম্মদপুরের সৈয়দ স্যার সড়কের ৬/৮ ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা ও বীজবিস্তার ফাউন্ডেশনের সামনের সড়কে ও সীমানার ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।
দুজন হেলমেট পরে মোটরসাইকেলে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান বলে জানিয়েছেন প্রবর্তনার নিরাপত্তাকর্মী মো. মোস্তফা।
নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা বলেন, ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বান্দরবান থেকে তাঁদের দুটি বস্তায় জিনিসপত্র আসে। সেগুলো তিনি ভেতরে ঢোকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরবাইকে দুজন এসে ভবনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ান। পরে তাঁরা পশ্চিম দিকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর আবার ঘুরে আসেন। একজন বাইক থেকে নামেন, প্রথমে একটি ককটেল মারেন, সেটি সীমানাপ্রাচীর থেকে উড়ে একটি পিকআপ ভ্যানের ওপর পড়ে। এরপর আরও একটি নিক্ষেপ করলে সেটি ফুটপাতে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ওই ভবনে থাকা চারজন পুলিশ সদস্য বাইরে বের হন। তাঁরা বের হওয়ার আগেই বাইক নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাদের মোটরবাইকের নম্বরপ্লেট কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। সিসি ক্যামেরা থাকলেও তাদের হেলমেটের কারণে চেহারা দেখা যায়নি।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এর আগেও একবার পেট্রলবোমা হামলা হয়েছিল। তখন আগুন ধরে যায় ভবনের উত্তর পাশে। এরপর ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করতে সব সময় পুলিশ রাখা হয়। এর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, প্রবর্তনার সামনের সড়ক ও ভবনের ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কেউ আহত হয়নি।
এ ছাড়া ভোরে শাহজাদপুরে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস এবং সকাল সোয়া ৬টার দিকে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কাছে আকাশ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।

রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের পাশে শাহ আলী মার্কেটের সামনে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপরও একটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার কর্মকর্তারা জানান, ফুটওভার ব্রিজের ওপর থেকে কেউ ককটেল নিক্ষেপ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এর এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার শিহাব সরকার বলেন, খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর স্টেশন থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ধানমন্ডি বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান জানান, আগুন লাগার সময় বাসে কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন, তবে তাঁরা সবাই নিরাপদে নেমে আসতে সক্ষম হন। কেউ হতাহত হননি।
এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর চারটি স্থানে সাতটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি, মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে ‘প্রবর্তনা’র সামনে ও ভেতরে দুটি, ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারের সামনে দুটি এবং ধানমন্ডি ৯/এ এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে আরও দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটি গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টা ২৬ মিনিটে এবং অপরটি ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে বিস্ফোরিত হয়। দুটি ককটেল অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সামনে বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভবনেরও কোনো ক্ষতি হয়।
আজ সরেজমিনে দেখা যায়, ককটেল বিস্ফোরণের পর গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভবনের সামনের ফুটপাতে ও প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায় তিনজন নিরাপত্তাকর্মী ও একজন কর্মকর্তা বসে আছেন। সামনেই অভ্যর্থনাকক্ষ। কাচের দরজার অভ্যর্থনাকক্ষের প্রবেশের মুখে লালচে ককটেল বিস্ফোরণের দাগ ও বিস্ফোরিত অংশ পড়ে ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেসব নিয়ে গেছে।
ঘটনার বিষয়ে গ্রামীণ ভবনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ২টা ২৬ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণ হয়। এরপর ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে দ্বিতীয় ককটেল হামলার ঘটনা হয়।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেলে করে মিরপুর ১০ নম্বরের দিক থেকে আসে, এরপর ভবনের সামনে মোটরবাইক থামিয়ে পেছনে বসা হেলমেট পরা ব্যক্তি সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে ককটেল ছুড়ে মেরে মিরপুর-১ নম্বরের দিকে পালিয়ে যান। এরপর আরও একটি মোটরসাইকেলে করে প্রায় এক ঘণ্টা পর আরও দুজন একই কায়দায় এসে ককটেল ছুড়ে চলে যান। তবে তাঁদের মুখ দেখা যায়নি। ঘটনার পর আলামত ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার ফটক থেকে আনুমানিক এক শ গজ দূরে গ্রামীণ ভবনের ফটক। থানা ফটকে ও গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের সামনে সব সময় পুলিশের পাহারা থাকে। এর মধ্যেই এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিরাপদে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
একটি হামলার দেড় ঘণ্টা পর আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা কাউকে আটকাতে পারেনি। এ বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সারোয়ার হোসেন বলেন, মোটরবাইকে করে এসে হামলা চালিয়ে তারা দ্রুত চলে যায়। তখন গভীর রাত ছিল, কত মোটরবাইক যায়, কোনগুলোকে আটকাবে।
ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, বিস্ফোরিত ককটেলের ভেতরের পেরেক, কাচের টুকরা, জর্দার কৌটা ও স্কচটেপ পড়ে রয়েছে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, মোটরসাইকেলে এসে দুজন ব্যক্তি এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে গেছেন। তাঁদের মাথায় হেলমেট ছিল। চেহারা বোঝা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে হামলার পর সকাল ৭টার দিকে মোহাম্মদপুরের সৈয়দ স্যার সড়কের ৬/৮ ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা ও বীজবিস্তার ফাউন্ডেশনের সামনের সড়কে ও সীমানার ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।
দুজন হেলমেট পরে মোটরসাইকেলে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান বলে জানিয়েছেন প্রবর্তনার নিরাপত্তাকর্মী মো. মোস্তফা।
নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা বলেন, ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বান্দরবান থেকে তাঁদের দুটি বস্তায় জিনিসপত্র আসে। সেগুলো তিনি ভেতরে ঢোকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরবাইকে দুজন এসে ভবনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ান। পরে তাঁরা পশ্চিম দিকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর আবার ঘুরে আসেন। একজন বাইক থেকে নামেন, প্রথমে একটি ককটেল মারেন, সেটি সীমানাপ্রাচীর থেকে উড়ে একটি পিকআপ ভ্যানের ওপর পড়ে। এরপর আরও একটি নিক্ষেপ করলে সেটি ফুটপাতে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ওই ভবনে থাকা চারজন পুলিশ সদস্য বাইরে বের হন। তাঁরা বের হওয়ার আগেই বাইক নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাদের মোটরবাইকের নম্বরপ্লেট কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। সিসি ক্যামেরা থাকলেও তাদের হেলমেটের কারণে চেহারা দেখা যায়নি।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এর আগেও একবার পেট্রলবোমা হামলা হয়েছিল। তখন আগুন ধরে যায় ভবনের উত্তর পাশে। এরপর ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করতে সব সময় পুলিশ রাখা হয়। এর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, প্রবর্তনার সামনের সড়ক ও ভবনের ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কেউ আহত হয়নি।
এ ছাড়া ভোরে শাহজাদপুরে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস এবং সকাল সোয়া ৬টার দিকে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কাছে আকাশ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।

টার্গেট নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণী-কিশোরী ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া অসচ্ছল ছাত্রী। ‘বায়িং হাউসে’ চাকরির লোভ দেখিয়ে ডেকে আনা হতো। এরপর মাদক সেবন করিয়ে নগ্ন ছবি-ভিডিও ধারণ করা হতো। সেসব ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের টাকা।
০১ জুন ২০২৫
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর
১২ মিনিট আগে
ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৭ মিনিট আগে
বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসন চারটি বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আসন ফিরে পাওয়ায় সোমবার বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
৩০ মিনিট আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি এ কে আজাদ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অশালীন, কুরুচিপূর্ণ, বিভ্রান্তিমূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য প্রচার করে আসছেন। এসব বক্তব্য তিনি নিজের ফেসবুক আইডি ও বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা করা হয়েছে এবং সেসব মামলায় তিনি কারাবরণ করেছেন। ৭ নভেম্বর তিনি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশিত এক বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনশ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক হুমায়ুন কবির খান বলেন, ‘চৌধুরী ইরাদ সিদ্দিকী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচাল করার চেষ্টা করছেন।’
গাজীপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা তাঁর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। তিন বছর ধরে তাঁর সঙ্গে আমাদের কোনো পারিবারিক যোগাযোগ নেই। তিনি কিছুটা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন, যা এলাকাবাসী জানেন। প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে তাঁকে উসকানি দিচ্ছে।’
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালিদুর রহমান বলেন, ‘চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি এ কে আজাদ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অশালীন, কুরুচিপূর্ণ, বিভ্রান্তিমূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য প্রচার করে আসছেন। এসব বক্তব্য তিনি নিজের ফেসবুক আইডি ও বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা করা হয়েছে এবং সেসব মামলায় তিনি কারাবরণ করেছেন। ৭ নভেম্বর তিনি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশিত এক বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনশ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক হুমায়ুন কবির খান বলেন, ‘চৌধুরী ইরাদ সিদ্দিকী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচাল করার চেষ্টা করছেন।’
গাজীপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা তাঁর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। তিন বছর ধরে তাঁর সঙ্গে আমাদের কোনো পারিবারিক যোগাযোগ নেই। তিনি কিছুটা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন, যা এলাকাবাসী জানেন। প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে তাঁকে উসকানি দিচ্ছে।’
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালিদুর রহমান বলেন, ‘চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

টার্গেট নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণী-কিশোরী ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া অসচ্ছল ছাত্রী। ‘বায়িং হাউসে’ চাকরির লোভ দেখিয়ে ডেকে আনা হতো। এরপর মাদক সেবন করিয়ে নগ্ন ছবি-ভিডিও ধারণ করা হতো। সেসব ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের টাকা।
০১ জুন ২০২৫
রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
৮ মিনিট আগে
ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৭ মিনিট আগে
বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসন চারটি বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আসন ফিরে পাওয়ায় সোমবার বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
৩০ মিনিট আগেফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোরে উপজেলার হাসনাবাদ বিটের করলিয়া বড়টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা শিফাত আল রাব্বানী, বাগানমালি মো. সোহেল, স্থানীয় যুবক এমদাদ প্রমুখ।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সৃজিত সংরক্ষিত আকাশমণিগাছ কেটে পাচারের চেষ্টা করছিল সংঘবদ্ধ গাছ চোরদের একটি দল। খবর পেয়ে শিফাতের নেতৃত্বে বনপ্রহরীরা ঘটনাস্থলে গেলে গাছ চোরেরা পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় করিম নামের একজনকে আটক করা হলে পথে তাঁর সহযোগীরা হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন।
বন বিভাগ জানিয়েছে, হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন পেলারখিল এলাকার আলমগীর, শাহজাহান ও আবছার; করালিয়া এলাকার আবিদ আলী, শাহাব উদ্দিন ও করিম; খিল্লাপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর।
এ বিষয়ে শিফাত আল রাব্বানী বলেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে, দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বনাঞ্চল রক্ষায় নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি বনে হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোরে উপজেলার হাসনাবাদ বিটের করলিয়া বড়টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা শিফাত আল রাব্বানী, বাগানমালি মো. সোহেল, স্থানীয় যুবক এমদাদ প্রমুখ।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সৃজিত সংরক্ষিত আকাশমণিগাছ কেটে পাচারের চেষ্টা করছিল সংঘবদ্ধ গাছ চোরদের একটি দল। খবর পেয়ে শিফাতের নেতৃত্বে বনপ্রহরীরা ঘটনাস্থলে গেলে গাছ চোরেরা পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় করিম নামের একজনকে আটক করা হলে পথে তাঁর সহযোগীরা হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন।
বন বিভাগ জানিয়েছে, হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন পেলারখিল এলাকার আলমগীর, শাহজাহান ও আবছার; করালিয়া এলাকার আবিদ আলী, শাহাব উদ্দিন ও করিম; খিল্লাপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর।
এ বিষয়ে শিফাত আল রাব্বানী বলেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে, দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বনাঞ্চল রক্ষায় নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি বনে হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টার্গেট নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণী-কিশোরী ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া অসচ্ছল ছাত্রী। ‘বায়িং হাউসে’ চাকরির লোভ দেখিয়ে ডেকে আনা হতো। এরপর মাদক সেবন করিয়ে নগ্ন ছবি-ভিডিও ধারণ করা হতো। সেসব ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের টাকা।
০১ জুন ২০২৫
রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
৮ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর
১২ মিনিট আগে
বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসন চারটি বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আসন ফিরে পাওয়ায় সোমবার বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
৩০ মিনিট আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসন চারটি বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আসন ফিরে পাওয়ায় সোমবার বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
সন্ধ্যা ৭টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রেসক্লাবের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। পরে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন বিএনপির নেতারা।
এদিকে আসন ফিরে পাওয়ায় মাগরিবের নামাজের পর বাগেরহাট পুরাতন কোর্ট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়েছে। দোয়া মোনাজাতে জেলা বিএনপি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম অংশগ্রহণ করেন।
াগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের চারটি আসন ছিল। হঠাৎ একটি আসন কমিয়ে দেওয়ায় আমরা বিক্ষোভ করেছি, হরতাল করেছি। আমরা আইনের আশ্রয়ও নিয়েছিলাম। আজ উচ্চ আদালত আমাদের আসন ফিরিয়ে দিয়েছেন। এতে পুরো বাগেরহাটবাসী খুশি। আল্লাহর রহমতে আর কোনো শক্তি আমাদের আসন ফিরিয়ে নিতে পারবে না।’
নির্বাচন কমিশন গত ৩০ জুলাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে জেলায় তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করেন। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন নেতা-কর্মীরা। এরপরও গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
পরে ৭ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে বাগেরহাটের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে দুটি রিট করা হয়। বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জেলা ট্রাক-মালিক সমিত একটি রিট করে। অন্যটি করেন চিতলমারী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান শামীম। রিটে বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও অ্যার্টনি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়।

বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসন চারটি বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আসন ফিরে পাওয়ায় সোমবার বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
সন্ধ্যা ৭টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রেসক্লাবের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। পরে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন বিএনপির নেতারা।
এদিকে আসন ফিরে পাওয়ায় মাগরিবের নামাজের পর বাগেরহাট পুরাতন কোর্ট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়েছে। দোয়া মোনাজাতে জেলা বিএনপি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম অংশগ্রহণ করেন।
াগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের চারটি আসন ছিল। হঠাৎ একটি আসন কমিয়ে দেওয়ায় আমরা বিক্ষোভ করেছি, হরতাল করেছি। আমরা আইনের আশ্রয়ও নিয়েছিলাম। আজ উচ্চ আদালত আমাদের আসন ফিরিয়ে দিয়েছেন। এতে পুরো বাগেরহাটবাসী খুশি। আল্লাহর রহমতে আর কোনো শক্তি আমাদের আসন ফিরিয়ে নিতে পারবে না।’
নির্বাচন কমিশন গত ৩০ জুলাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে জেলায় তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করেন। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন নেতা-কর্মীরা। এরপরও গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
পরে ৭ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে বাগেরহাটের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে দুটি রিট করা হয়। বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জেলা ট্রাক-মালিক সমিত একটি রিট করে। অন্যটি করেন চিতলমারী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান শামীম। রিটে বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও অ্যার্টনি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়।

টার্গেট নিম্নবিত্ত পরিবারের তরুণী-কিশোরী ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া অসচ্ছল ছাত্রী। ‘বায়িং হাউসে’ চাকরির লোভ দেখিয়ে ডেকে আনা হতো। এরপর মাদক সেবন করিয়ে নগ্ন ছবি-ভিডিও ধারণ করা হতো। সেসব ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের টাকা।
০১ জুন ২০২৫
রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
৮ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর
১২ মিনিট আগে
ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৭ মিনিট আগে