Ajker Patrika

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা: সম্রাটের জামিনের মেয়াদ বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ মে ২০২৩, ১৪: ৫৫
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা: সম্রাটের জামিনের মেয়াদ বাড়ল

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিনের মেয়াদ আগামী ১ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এই আদেশ দেন।

আজ আদালতে সম্রাট হাজির ছিলেন। তাঁর পক্ষে আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হীরা জামিন স্থায়ী করার আবেদন জানালে আদালত জামিন বর্ধিত করেন। অন্যদিকে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল আজ। কিন্তু আইনজীবী সময়ের আবেদন করায় আদালত তা মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে ১২ বারের মতো অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হলো। এ দিকে সম্রাটের পাসপোর্ট সম্রাটের জিম্মায় দেওয়ার জন্য আবেদন শুনানিও আগামী ধার্য তারিখে শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। সম্রাট গুরুতর অসুস্থ বিবেচনায় পাসপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার শর্তে গত বছর ২২ আগস্ট জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। 

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে, তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে তাঁর ১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।

ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাঁকে নিয়ে বেলা দেড়টার দিকে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্য প্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পরদিন র‍্যাব বাদী হয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। সেই সব মামলা তদন্ত করতে গিয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। পরে সিআইডি অর্থ পাচারের অভিযোগে এবং দুদক জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরও দুটি মামলা করে।

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত