গাজীপুর (শ্রীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে বনভূমি জবরদখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ৫৬টি বসতবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শ্রীপুর রেঞ্জের সাতখামাইর বিটের তালতলী পেলাইদ ও সাইটালিয়া গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ। অভিযানে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও বন বিভাগের চার শতাধিক সদস্য সহযোগিতা করেন।
শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান জানান, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরপরই শ্রীপুর রেঞ্জের অধীনে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভূমি জবরদখল করে অনেক অবৈধ বসতবাড়ি ও স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এসব ভূমি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় অবৈধ বসতবাড়ি চিহ্নিত করে উচ্ছেদের আবেদন করা হয়।
তবে অভিযান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। আকলিমা আক্তার নামের এক পোশাকশ্রমিক বলেন, ‘শরীরের রক্ত পানি করে গার্মেন্টসে কাজ করে উপার্জিত টাকা দিয়ে একটি ঘর তুলছিলাম। আজ এসে আমাকে গাছতলায় বসিয়ে দিল। আশপাশে তো শত শত ঘরবাড়ি, সেগুলো সব থাকল, শুধু আমাকে চোখে পড়ল। অবুঝ শিশু নিয়ে কোথায় থাকব? আমাদের তো কোনো জমি নেই।’
আরেক বাসিন্দা নূরুল ইসলাম বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী গার্মেন্টসে চাকরি করে অনেক কষ্ট করে একটি ঘর নির্মাণ করছি। আমাদের যদি নিজের জমি থাকত, তাহলে কি বনের জমিতে ঘর বানাইতাম? আপনারা দেখেন, আমাদের বাড়ির আশপাশে কোনো বনাঞ্চল আছে কি না। একটি গাছও আমরা ধ্বংস করি নাই।’
রুহুল আমিন নামের একজন বলেন, ‘শেষ সম্বল খরচ করে এই বসতবাড়ি নির্মাণ করছি। নিমেষেই আমার শেষ সম্বল শেষ করে দিল। মাটির সঙ্গে মিশে গেছে আমার স্বপ্ন।’
অভিযান প্রসঙ্গে ইউএনও সজীব বলেন, ‘৫ আগস্টের পরপরই সংরক্ষিত বনভূমি জবরদখল করে গড়ে তোলা ৫৬টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জবরদখলমুক্ত হয়েছে চার একর বনভূমি। উদ্ধার ভূমির আনুমানিক বাজারমূল্য ২০ কোটি টাকা। অভিযানে সহযোগিতা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চার শতাধিক সদস্য।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল আল মামুন বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বনভূমি জবরদখল করে গড়ে তোলা সব অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। ৫ আগস্টের পরপরই বনভূমি জবরদখলের মহোৎসব শুরু করে একটি কুচক্রী মহল। বনাঞ্চলের গাছপালা কেটে, বনভূমি জবরদখল করে হাজার হাজার অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে। পর্যায়ক্রমে সব ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে বনভূমি জবরদখলমুক্ত করা হবে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে বনভূমি জবরদখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ৫৬টি বসতবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শ্রীপুর রেঞ্জের সাতখামাইর বিটের তালতলী পেলাইদ ও সাইটালিয়া গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ। অভিযানে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও বন বিভাগের চার শতাধিক সদস্য সহযোগিতা করেন।
শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান জানান, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরপরই শ্রীপুর রেঞ্জের অধীনে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভূমি জবরদখল করে অনেক অবৈধ বসতবাড়ি ও স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এসব ভূমি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় অবৈধ বসতবাড়ি চিহ্নিত করে উচ্ছেদের আবেদন করা হয়।
তবে অভিযান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। আকলিমা আক্তার নামের এক পোশাকশ্রমিক বলেন, ‘শরীরের রক্ত পানি করে গার্মেন্টসে কাজ করে উপার্জিত টাকা দিয়ে একটি ঘর তুলছিলাম। আজ এসে আমাকে গাছতলায় বসিয়ে দিল। আশপাশে তো শত শত ঘরবাড়ি, সেগুলো সব থাকল, শুধু আমাকে চোখে পড়ল। অবুঝ শিশু নিয়ে কোথায় থাকব? আমাদের তো কোনো জমি নেই।’
আরেক বাসিন্দা নূরুল ইসলাম বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী গার্মেন্টসে চাকরি করে অনেক কষ্ট করে একটি ঘর নির্মাণ করছি। আমাদের যদি নিজের জমি থাকত, তাহলে কি বনের জমিতে ঘর বানাইতাম? আপনারা দেখেন, আমাদের বাড়ির আশপাশে কোনো বনাঞ্চল আছে কি না। একটি গাছও আমরা ধ্বংস করি নাই।’
রুহুল আমিন নামের একজন বলেন, ‘শেষ সম্বল খরচ করে এই বসতবাড়ি নির্মাণ করছি। নিমেষেই আমার শেষ সম্বল শেষ করে দিল। মাটির সঙ্গে মিশে গেছে আমার স্বপ্ন।’
অভিযান প্রসঙ্গে ইউএনও সজীব বলেন, ‘৫ আগস্টের পরপরই সংরক্ষিত বনভূমি জবরদখল করে গড়ে তোলা ৫৬টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জবরদখলমুক্ত হয়েছে চার একর বনভূমি। উদ্ধার ভূমির আনুমানিক বাজারমূল্য ২০ কোটি টাকা। অভিযানে সহযোগিতা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চার শতাধিক সদস্য।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল আল মামুন বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বনভূমি জবরদখল করে গড়ে তোলা সব অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। ৫ আগস্টের পরপরই বনভূমি জবরদখলের মহোৎসব শুরু করে একটি কুচক্রী মহল। বনাঞ্চলের গাছপালা কেটে, বনভূমি জবরদখল করে হাজার হাজার অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে। পর্যায়ক্রমে সব ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে বনভূমি জবরদখলমুক্ত করা হবে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
’যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় গত ২০ জুন ৩ সেন্টিমিটার, ২১ জুন ৮ সেন্টিমিটার ও ২২ জুন ১৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। একই সময় কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে গত তিন দিনে ২৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে পানি বাড়লেও সিরাজগঞ্জে বিপদসীমার ২৯৭ সেন্টিমিটার ও কাজী
৫ মিনিট আগেসরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের ১১ নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
২২ মিনিট আগেসাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ১৮ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শনিবার কুশখালী ও কৈখালী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
২৪ মিনিট আগেতামিম রাতে ইটেরপুল এলাকায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনটি মোটরসাইকেলে একদল দুর্বৃত্ত এসে তামিমের উপর হামলা চালায়। এ সময় তামিমকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
৪২ মিনিট আগে