Ajker Patrika

গোপালগঞ্জে গাড়িবহরে হামলা: জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ২ জন কারাগারে 

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১: ০৬
গোপালগঞ্জে গাড়িবহরে হামলা: জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ২ জন কারাগারে 

গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলী দিদার হত্যার ঘটনায় দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার জড়িত সন্দেহে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আলিমুজ্জামান চৌধুরী (৫৫) ও সিজার শেখ (৩৫)। তাঁরা সদর উপজেলার গোবরা এলাকার বাসিন্দা। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুক্রবার সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের গাড়িবহরে হামলায় শওকত আলী দিদার নিহতের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আলিমুজ্জামান ও সিজার শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’ 

যদিও ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বিএনপি বা নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত মামলা করা হবে বলে জানান স্থানীয় নেতা–কর্মীরা। 

এদিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে আজ শনিবার বিকেলে শহরে বিক্ষোভ করেছে বিএনপির নেতা–কর্মীরা। শহরের পুরোনো লঞ্চঘাট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান। 

একই দাবিতে কোটালীপাড়া ও মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ–সমাবেশ করেছে। এর আগে বেলা ১১টার দিকে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। দুপুরে নিহতের স্বজনেরা গোপালগঞ্জে পৌঁছালে লাশ তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঢাকায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। 

এ বিষয়ে জেলা যুবদল সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিপটন বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসী দল আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা এস এম জিলানী ভাইয়ের গাড়িবহরে হামলা করে। এতে আমাদের একজন নিহত হয় এবং আহত হয় অনেক নেতা–কর্মী। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। যাতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে।’ 

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম লেনিন বলেন, ‘আমাদের যে কেন্দ্রীয় নেতা মারা যান, তাঁর ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। তাঁর পরিবারের লোকজন গোপালগঞ্জে এসেছেন। লাশ নিয়ে ঢাকায় যাওয়া হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। মামলার বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নেবেন।’ 

জেলা বিএনপির নেতা ডা. কে এম বাবর বলেন, ‘শুক্রবার যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে। জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ফ্লাইট থেকে সরানো হলো দুই কেবিন ক্রু

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়ানোর সহজ উপায় জানালেন বিজ্ঞানীরা

প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি: মাহমুদুর রহমান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত