নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
রাজধানীসহ সারা দেশে চলতি মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালের নির্ধারিত শয্যার সীমা অতিক্রম করায় বহু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে মেঝে ও বারান্দায়। কাজের চাপে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
রাজধানীর হাসপাতালগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগীর চাপ মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। প্রতিদিনই শতাধিক মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। চলতি মাসে হাসপাতালের চিকিৎসা ও সেবা-সংশ্লিষ্টরা ডেঙ্গু রোগীর চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। একদিকে ডেঙ্গু রোগীর চাপ, অন্যদিকে চলতি মাসেই হাসপাতালে দায়িত্বরত ১১ জন নার্স ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। বেশির ভাগ নার্সই সুস্থ হয়ে ফিরে এসে কাজে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু ডেঙ্গু-পরবর্তী শারীরিক দুর্বলতা এখনো কাটেনি তাঁদের।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর এই হাসপাতাল ঘুরে দায়িত্বশীল বেশ কয়েকজন সিনিয়র স্টাফ নার্সদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত অন্তত দুজন নার্স বর্তমানে ছুটিতে আছেন। এর মধ্যে একজন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন আজ। বাকিরা সুস্থ হয়ে ফিরে এসে দুর্বল শরীর নিয়েই সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সদ্য আরোগ্য পাওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নার্স আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিজেই ডেঙ্গু-পরবর্তী প্রভাবে ভুগছি। শরীর বেশ দুর্বল। এরপরও দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এসব কষ্ট বলে আর কী হবে! পরিস্থিতির বাস্তবতা তো মেনে নিতেই হবে।’
এ বিষয়ে কথা হয় মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক নূর-ই শাফিয়ার সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীদের সেবা করতে করতে আমাদের নার্সরাই অনেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে দুজন ছুটিতে আছেন। অনেকেই সুস্থ হয়ে এসে আবার কাজে যোগ দিয়েছেন। ডেঙ্গু পরিস্থিতিটা দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। আমরা খুব চাপে আছি!’
এই নার্সরা কোথায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন জানতে চাইলে নূর-ই শাফিয়া বলেন, ‘এটা ঠিক বলা মুশকিল। বাড়িতে কিংবা অন্যত্রও হতে পারে।’
হাসপাতালটির নার্স স্টেশনের হিসাব মতে, যে ১১ জন নার্স খুব কাছাকাছি সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা হলেন সবুজ, নারগিস আক্তার, মেরিনা, পারুল, তাসলিমা, বীণা, শামিমা, শাহিদা, মাকসুদা, গৌরী মজুমদার ও শাহেদা।
৫০০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে আজ চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪৫৫। তাদের মধ্যে শিশু ১২০ জন। ডেঙ্গু ও সাধারণ রোগী মিলিয়ে বর্তমানে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মোট রোগী ভর্তি আছে ১ হাজার ৫৮ জন। সে হিসাবে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এত রোগীর জন্য এই হাসপাতালে নার্স আছেন ৩০০ জন। তাঁদের মধ্যে অন্য ডিউটিতে আছেন ২৮০ জনের মতো। ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে নতুন আরও ৪০ জন নার্সকে এই হাসপাতালে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ২০ জনের তালিকাসংবলিত একটি চিঠি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাতে পেয়েছে। তালিকায় থাকা চারজন নার্স আজ থেকে কাজেও যোগ দিয়েছেন বলে নার্স স্টেশন থেকে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি। এই ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জনই মারা গেছে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে। বাকি দুজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকার বাইরে। গতকালের হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাসে এ নিয়ে ডেঙ্গুতে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চলতি বছর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৬।
রাজধানীসহ সারা দেশে চলতি মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালের নির্ধারিত শয্যার সীমা অতিক্রম করায় বহু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে মেঝে ও বারান্দায়। কাজের চাপে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
রাজধানীর হাসপাতালগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগীর চাপ মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। প্রতিদিনই শতাধিক মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। চলতি মাসে হাসপাতালের চিকিৎসা ও সেবা-সংশ্লিষ্টরা ডেঙ্গু রোগীর চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। একদিকে ডেঙ্গু রোগীর চাপ, অন্যদিকে চলতি মাসেই হাসপাতালে দায়িত্বরত ১১ জন নার্স ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। বেশির ভাগ নার্সই সুস্থ হয়ে ফিরে এসে কাজে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু ডেঙ্গু-পরবর্তী শারীরিক দুর্বলতা এখনো কাটেনি তাঁদের।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর এই হাসপাতাল ঘুরে দায়িত্বশীল বেশ কয়েকজন সিনিয়র স্টাফ নার্সদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত অন্তত দুজন নার্স বর্তমানে ছুটিতে আছেন। এর মধ্যে একজন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন আজ। বাকিরা সুস্থ হয়ে ফিরে এসে দুর্বল শরীর নিয়েই সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সদ্য আরোগ্য পাওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নার্স আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিজেই ডেঙ্গু-পরবর্তী প্রভাবে ভুগছি। শরীর বেশ দুর্বল। এরপরও দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এসব কষ্ট বলে আর কী হবে! পরিস্থিতির বাস্তবতা তো মেনে নিতেই হবে।’
এ বিষয়ে কথা হয় মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক নূর-ই শাফিয়ার সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীদের সেবা করতে করতে আমাদের নার্সরাই অনেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে দুজন ছুটিতে আছেন। অনেকেই সুস্থ হয়ে এসে আবার কাজে যোগ দিয়েছেন। ডেঙ্গু পরিস্থিতিটা দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। আমরা খুব চাপে আছি!’
এই নার্সরা কোথায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন জানতে চাইলে নূর-ই শাফিয়া বলেন, ‘এটা ঠিক বলা মুশকিল। বাড়িতে কিংবা অন্যত্রও হতে পারে।’
হাসপাতালটির নার্স স্টেশনের হিসাব মতে, যে ১১ জন নার্স খুব কাছাকাছি সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা হলেন সবুজ, নারগিস আক্তার, মেরিনা, পারুল, তাসলিমা, বীণা, শামিমা, শাহিদা, মাকসুদা, গৌরী মজুমদার ও শাহেদা।
৫০০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে আজ চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪৫৫। তাদের মধ্যে শিশু ১২০ জন। ডেঙ্গু ও সাধারণ রোগী মিলিয়ে বর্তমানে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মোট রোগী ভর্তি আছে ১ হাজার ৫৮ জন। সে হিসাবে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এত রোগীর জন্য এই হাসপাতালে নার্স আছেন ৩০০ জন। তাঁদের মধ্যে অন্য ডিউটিতে আছেন ২৮০ জনের মতো। ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে নতুন আরও ৪০ জন নার্সকে এই হাসপাতালে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ২০ জনের তালিকাসংবলিত একটি চিঠি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাতে পেয়েছে। তালিকায় থাকা চারজন নার্স আজ থেকে কাজেও যোগ দিয়েছেন বলে নার্স স্টেশন থেকে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি। এই ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জনই মারা গেছে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে। বাকি দুজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকার বাইরে। গতকালের হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাসে এ নিয়ে ডেঙ্গুতে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চলতি বছর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৬।
ইঞ্জিনের হেডলাইট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তালশহর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার পথ মোবাইল ফোনের টর্চের আলোতে পাড়ি দিয়েছে তিতাস কমিউটার ট্রেন। গতকাল শনিবার (২১ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
১৭ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাসেম আলী (৩৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ গোড়ের পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগেসম্প্রতি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগের বিষয়ে নাহিদ রাব্বি নামের একজন চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে ২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে ঘুষ লেনদেনের কথা স্পষ্টভাবে উঠে আসে।
২৬ মিনিট আগেময়মনসিংহের তারাকান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি বাসে অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান ও লরিসহ চারটি গাড়ির ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
১ ঘণ্টা আগে