Ajker Patrika

চিকিৎসায় নতুন ডিজিটাল মাধ্যম শিওরকেয়ার, অর্ধেক খরচে মিলবে হৃদ্‌রোগের চিকিৎসা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিকিৎসায় নতুন ডিজিটাল মাধ্যম শিওরকেয়ার, অর্ধেক খরচে মিলবে হৃদ্‌রোগের চিকিৎসা 

দেশে স্বাস্থ্যসেবার খরচ মেটাতে গিয়ে প্রতিবছর দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে কয়েক লাখ মানুষ। এসব রোগীর বড় অংশই হৃদ্‌রোগের। যাদের খরচের অধিকাংশ চলে যায় হাসপাতালে ভর্তি, ওষুধ কিনতে এবং রোগ নির্ণয়ে। রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় কমানোর পাশাপাশি কম সময়ে চিকিৎসা দিতে দেশি, বিদেশি ও প্রবাসী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে ‘শিওরকেয়ার’ নামে ডিজিটাল মাধ্যমে (অ্যাপ) চিকিৎসা সেবা চালু করেছে হেলথকেয়ার পয়েন্ট অব কেয়ার সার্ভিস। যেখানে হৃদ্‌রোগের রোগীদের চিকিৎসার ব্যয়ের অর্ধেক বহন করবে প্রতিষ্ঠানটি। 

এর আগে অতিমারি করোনায়ও সংস্থাটি ডিজিটাল চিকিৎসা সেবা দিয়ে এসেছে। যেখানে সহযোগী হিসেবে আছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি। স্বাস্থ্যসেবায় সারথি স্লোগানে সেবা দেবে প্রতিষ্ঠানটি। 

আজ শুক্রবার রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এই সেবার উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন নতুন ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি ঘটছে। এতে করে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। কেউ আর বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না।’ 

উদ্যোক্তারা বলছেন, যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা কেমন হবে, রোগের ধরন এবং তার নিরাময় সম্পর্কে রোগীদের তেমন ধারণা থাকে না। এতে করে রোগীরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। তবে শিওরকেয়ারের মাধ্যমে আগে থেকেই সদস্যদের এসব রোগ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রতিরোধের উপায়ও বলে দেওয়া হবে। মাঠ পর্যায়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের জানাবেন ডাক্তাররা। সে অনুযায়ী মতামত দেবেন বিশেষজ্ঞরা। তবে প্রাথমিকভাবে শুধু মাত্র হৃদ্‌রোগের রোগীদের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। খরচের অর্ধেক অর্থ বহন করবে শিওরকেয়ার।

এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করা ও পরামর্শ প্রদান, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ডিজিটাল মেডিকেল রিপোর্ট সংরক্ষণ এবং রোগীর অবস্থা পর্যালোচনা করে সুপারিশ বা পরামর্শ অথবা মেডিকেল বোর্ড গঠনে সহায়তা করা। 

এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, ‘এক সময়ে উপজেলা হাসপাতালে কম্পিউটার দেওয়া হলে বাসায় নিয়ে বাচ্চাদের খেলনা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সেই জায়গা থেকে এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আধুনিক শিক্ষার ফলে স্বাস্থ্যেও পরিবর্তন এসেছে। বিবর্তনের ধারায় এখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও ডিজিটাল ব্যবস্থা চলে এসেছে। ডায়াবেটিক সমিতিও এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে। জরুরি চিকিৎসা না হলেও অন্যান্য চিকিৎসাগুলো যাতে দিতে পারি। যুগোপযোগী ব্যবস্থায় আমাদের যেতেই হবে। আগামীর বাংলাদেশ ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চলবে। কাজেই এই ব্যবস্থার বিকল্প নেই।’ 

জাতীয় অধ্যাপক বাংলাদেশ ডায়াবেটিকস সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক জগদ নূরুললা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত