Ajker Patrika

৫ ঘণ্টা পর ডিবি কার্যালয় থেকে মুক্ত মিজান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
৫ ঘণ্টা পর ডিবি কার্যালয় থেকে মুক্ত মিজান

দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আটক থাকার পর বিকেল সাড়ে ৪টায় ছাড়া পেয়েছেন জুরাইন নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান। পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় মিজানুর রহমানকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তার পর জুরাইন পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, ‘তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।’ 

ছাড়া পেয়ে ডিবি কার্যালয়ের সামনে আজকের পত্রিকাকে মিজানুর রহমান বলেন, ‘বেলা ১২টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয় আমাকে। জুরাইন পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার পর আমি বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছিলাম। সেগুলো নাকি উসকানিমূলক ছিল। তাই তারা আমাকে তুলে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তারা বলেছে, এমন অবস্থায় আমার বক্তব্য নাকি পরিস্থিতি খারাপ করতে ভূমিকা রেখেছে।’ 

থানায় খারাপ আচরণের শিকার হয়েছেন—এমন অভিযোগ তুলে মিজানুর রহমান জানান, তাঁর মোবাইল ফোনটি শ্যামপুর থানায় রেখে দেওয়া হয়। থানা থেকে ডিবি কার্যালয়ে এনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেখানে তাঁর সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে যা জানতে চেয়েছে, আমি যতটুকু জানি, তা কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’ 

মিজানুর রহমান বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গণমাধ্যমে দেওয়া আমার বক্তব্য উসকানিমূলক বলে মনে করছেন ডিবির কর্মকর্তারা। আমার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। আমি তাঁদের বলেছি, ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে আমি যা জেনেছিলাম, সেটাই বলেছি। মানুষের কথা বলার অধিকার থাকা উচিত। কথা বলার জন্য আমার ব্যক্তিজীবনে অনেক কষ্ট সয়েছি; কিন্তু কখনো আপস করিনি। কিন্তু দেশের মানুষকে কথা বলার জন্য যদি এভাবে তুলে আনা হয়, হেনস্তা করা হয়, তাহলে এটা ভালো কিছু বয়ে আনবে না। কথার স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার।’ 

মুচলেকা দিয়ে ডিবি কার্যালয় থেকে মিজানুর রহমানকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান তাঁর পারিবারিক বন্ধু আব্দুল্লাহ মাহফুজ অভি। তিনি বলেন, ‘আমরা মিজান ভাইয়ের কাছ থেকে শুনেছি, ছাড়ার আগে তাঁর থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। মুচলেকা নিয়ে তাঁকে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের জিম্মায় দেওয়া হয়। তার পর আমরা তাঁর স্ত্রী শামিম হাসেম খুকি, মেয়ে প্রাপ্যতা হাসিনাসহ পরিবারের অন্যদের সঙ্গে তাঁকে বাসায় পৌঁছে দিই।’ 

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার এক নারীকে লাঞ্ছনার অভিযোগে জুরাইন পুলিশ বক্সে হামলা করে স্থানীয় লোকজন। হামলায় পুলিশ বক্স ভাঙচুরসহ মারধরে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। সে ঘটনায় তাৎক্ষণিক ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে পাঁচজনকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। 

অনেক দিন থেকে দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও নাগরিক অধিকার নিয়ে সরব মিজানুর রহমান। তবে সব থেকে বেশি আলোচনায় আসেন ২০১৯ সালে। ওই বছর রাজধানীতে পানি সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ওয়াসার পানি কতটা ‘সুপেয়’, তা দেখানো ও সেই পানি দিয়ে শরবত তৈরি করে এমডিকে পান করানোর জন্য কয়েকজন মিলে একটি কর্মসূচি পালন করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি দীর্ঘদিন ওয়াসার দায়িত্বে থাকা এমডি তাকসিম এ খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৫ দেশে সফর বাতিল করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি

স্ত্রীকে হতে হবে নোরা ফাতেহির মতো, না খাইয়ে রেখে তিন ঘণ্টা করে ব্যায়াম করান স্বামী

বাংলা বলায় কলকাতার মার্কেটে ছুরি, বন্দুকের বাঁট ও হকিস্টিক নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা

ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুর, আবারও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, পুলিশের টিয়ার শেল-সাউন্ড গ্রেনেড

২০২৬ সালের পাঠ্যবইয়ে শেখ হাসিনার নামের আগে গণহত্যাকারী, ফেসবুকে আসিফ মাহমুদ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত