গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ির উদ্দেশে সন্তানদের নিয়ে যাত্রা করেন নাজমুল-ফরিদা দম্পতি। ঈদে তাঁরা দুজনে বাড়ি গেলেন ঠিকই, তবে নিথর দেহে। আর তাঁদের দুই অবুঝ সন্তান দাদার বাড়ির পরিবর্তে এখন হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। পথে তাকওয়া পরিবহন নামের একটি বাস কেড়ে নেয় এই দম্পতির প্রাণ।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন দেওলিয়বাড়ী এলাকায়। তাকওয়া পরিবহনের বেপরোয়া যাত্রীবাহী বাসটি এই পরিবারের চার সদস্যসহ আটজন যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশাকে চাপা দিলে তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে পাঁচজন।
নিহত যাত্রীরা হলেন টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানার ঘোড়িয়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন। অপরজন অটোরিকশাচালক হালিম ওরফে জুয়েল সরকার। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানার চণ্ডীপুরের হিরো সরকারের ছেলে। তাঁদের মধ্যে অটোচালকের মরদেহ পুলিশের হেফাজতে আছে। অপর দুজনের মরদেহ নিয়ে স্বজনেরা বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
নিহত নাজমুলের চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার সময় পথে তাঁরা মারা যান। এ ঘটনায় আহত তাদের দুই সন্তানকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম আশরাফুল ইসলাম দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
শরিফুল ইসলাম আরও বলেন, নাজমুল ও তাঁর স্ত্রী গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সকালে নামজমুল তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে টাঙ্গাইলে আসার জন্য অটোরিকশায় করে রওনা হন। তাঁরা কোনাবাড়ী পৌঁছালে তাকওয়া পরিবহনের একটি বেপরোয়া গতির বাস অটোরিকশাটি চাপা দেয়ে। এতে নাজমুল ও তাঁর স্ত্রী মারা যান। এ ঘটনায় আহত তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। একটির বয়স ছয় বছর, অন্যটির এক বছর।
আহত অপর তিনজন হলেন মানিকগঞ্জ জেলার ধামরাইয়ের গঙ্গাচরণ (৮০), তাঁর ছেলে অজিত চরণ (৪৫) ও কোনাবাড়ী এলাকার এনামুল (৩০)।
স্থানীয়রা জানান, তাকওয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে গাজীপুর মহানগরীর জয়দেবপুর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে কালিয়াকৈরের চন্দ্রার দিকে আসছিল। পথে কোনাবাড়ী ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে বাসটি যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। অটোরিকশাটিতে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের চারজনসহ মোট আটজন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন নিহত, অপর পাঁচজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাসচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত সরকারের সময় গাজীপুরে আওয়ামী লীগপন্থী এক শ্রমিক নেতার ছত্রছায়ায় তাকওয়া পরিবহন চালু হয়। এরপর থেকেই দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে নগরবাসীর কাছে একটি দানব বাস সার্ভিসে পরিণত হয়। সরকার পরিবর্তনের পর তাকওয়া পরিবহন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মাত্র দেড় সপ্তাহ হলো খোলস বদলে বাসগুলো আবার চালু হয়।
স্থানীয় যাত্রীদের আরও অভিযোগ, ইতিপূর্বে বাসে যাত্রী ধর্ষণ, বাস থেকে যাত্রীকে ফেলে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে তাকওয়া পরিবহনটির শ্রমিকেরা জড়িত থাকার অভিযোগে থানায় মামলা রয়েছে। অধিকাংশ তাকওয়া পরিবহনের বাসের রুট পারমিট নেই। চালকদের বৈধ কাগজপত্রও নেই। যদিও এসব অভিযোগের বিষয়ে বাসের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ির উদ্দেশে সন্তানদের নিয়ে যাত্রা করেন নাজমুল-ফরিদা দম্পতি। ঈদে তাঁরা দুজনে বাড়ি গেলেন ঠিকই, তবে নিথর দেহে। আর তাঁদের দুই অবুঝ সন্তান দাদার বাড়ির পরিবর্তে এখন হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। পথে তাকওয়া পরিবহন নামের একটি বাস কেড়ে নেয় এই দম্পতির প্রাণ।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন দেওলিয়বাড়ী এলাকায়। তাকওয়া পরিবহনের বেপরোয়া যাত্রীবাহী বাসটি এই পরিবারের চার সদস্যসহ আটজন যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশাকে চাপা দিলে তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে পাঁচজন।
নিহত যাত্রীরা হলেন টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানার ঘোড়িয়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন। অপরজন অটোরিকশাচালক হালিম ওরফে জুয়েল সরকার। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানার চণ্ডীপুরের হিরো সরকারের ছেলে। তাঁদের মধ্যে অটোচালকের মরদেহ পুলিশের হেফাজতে আছে। অপর দুজনের মরদেহ নিয়ে স্বজনেরা বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
নিহত নাজমুলের চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার সময় পথে তাঁরা মারা যান। এ ঘটনায় আহত তাদের দুই সন্তানকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম আশরাফুল ইসলাম দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
শরিফুল ইসলাম আরও বলেন, নাজমুল ও তাঁর স্ত্রী গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সকালে নামজমুল তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে টাঙ্গাইলে আসার জন্য অটোরিকশায় করে রওনা হন। তাঁরা কোনাবাড়ী পৌঁছালে তাকওয়া পরিবহনের একটি বেপরোয়া গতির বাস অটোরিকশাটি চাপা দেয়ে। এতে নাজমুল ও তাঁর স্ত্রী মারা যান। এ ঘটনায় আহত তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। একটির বয়স ছয় বছর, অন্যটির এক বছর।
আহত অপর তিনজন হলেন মানিকগঞ্জ জেলার ধামরাইয়ের গঙ্গাচরণ (৮০), তাঁর ছেলে অজিত চরণ (৪৫) ও কোনাবাড়ী এলাকার এনামুল (৩০)।
স্থানীয়রা জানান, তাকওয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে গাজীপুর মহানগরীর জয়দেবপুর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে কালিয়াকৈরের চন্দ্রার দিকে আসছিল। পথে কোনাবাড়ী ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে বাসটি যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। অটোরিকশাটিতে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের চারজনসহ মোট আটজন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন নিহত, অপর পাঁচজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাসচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত সরকারের সময় গাজীপুরে আওয়ামী লীগপন্থী এক শ্রমিক নেতার ছত্রছায়ায় তাকওয়া পরিবহন চালু হয়। এরপর থেকেই দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে নগরবাসীর কাছে একটি দানব বাস সার্ভিসে পরিণত হয়। সরকার পরিবর্তনের পর তাকওয়া পরিবহন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মাত্র দেড় সপ্তাহ হলো খোলস বদলে বাসগুলো আবার চালু হয়।
স্থানীয় যাত্রীদের আরও অভিযোগ, ইতিপূর্বে বাসে যাত্রী ধর্ষণ, বাস থেকে যাত্রীকে ফেলে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে তাকওয়া পরিবহনটির শ্রমিকেরা জড়িত থাকার অভিযোগে থানায় মামলা রয়েছে। অধিকাংশ তাকওয়া পরিবহনের বাসের রুট পারমিট নেই। চালকদের বৈধ কাগজপত্রও নেই। যদিও এসব অভিযোগের বিষয়ে বাসের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২৫ মিনিট আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৩০ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
১ ঘণ্টা আগেইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
২ ঘণ্টা আগে