আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
বর্ষা মৌসুম এখনো শুরু হয়নি। এর আগেই মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। উপজেলার নয়াকান্দীতে পদ্মার জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় আরুয়া ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, স্রোত ও পানির ঢেউয়ে নদীর পাড়ের বসতবাড়ি ও তিন ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। এ ছাড়া বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে পুরো এলাকা নদীগর্ভে চলে যাবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। ফলে ভাঙনের আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে এলাকাবাসী। ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতি নদীতে জোয়ার পানি বাড়লে পাটুরিয়া ঘাটের পূর্ব দিক থেকে বড়রিয়া, নয়াকান্দী, মান্দ্রাখোলা ও মালুচি এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। বিশেষ করে নয়াকান্দী এলাকায় বেশ কিছু ফসলের জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া নয়াকান্দীর মুন্সিবাড়ি, হালদারবাড়িসহ বহু গাছপালা চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে জিও ব্যাগ না ফেললে এগুলো নদীগর্ভে চলে যাবে।
নয়াকান্দী গ্রামের আসলাম প্রমাণিক বলেন, ‘দীর্ঘ ২ যুগের বেশি সময় ধরে আমাদের ফসলি জমি পদ্মা নদীতে চলে গেছে। আমার ফুফুর বাড়িসহ তাঁদের বহু জায়গা-জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফুফার ১০-১২টি বড় বড় মরিচের ভিটা, তিন ফসলি জমি ও ধানের জমি পদ্মা গিলে খেয়েছে। গত বছর এ জায়গায় কিছু অংশে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। এবার বর্ষা শুরুর আগেই নদীর পানি বাড়ায় বস্তাগুলো ভেঙে যাচ্ছে। আমি এখন যেখানে বসে আছি, এই জায়গাও আমার ফুফাদের। কখন যেন এই জায়গাও নদীতে চলে যায়!’ স্থানীয় বাসিন্দা রউফ মুন্সী বলেন, ‘নদীপারের শেষ বাড়িটি আমার। পদ্মায় একবার ভেঙেছে। আমাদের বহু জমি ছিল। প্রায় সবই নদীতে চলে গেছে। এখন শুধু বাড়িটি রয়েছে। সর্বনাশা পদ্মা আমাদের সর্বস্বান্ত করে দিছে। বাড়িটি কখন যেন পদ্মায় চলে যায়। সব সময় ভাঙনের ভয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সময় কাটাচ্ছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলাল হোসেন বলেন, ‘নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করছি। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’ মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, নয়াকান্দীর পাশেই কুষ্টিয়া স্কুলের পাশের এলাকায় কাজ শুরু হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে নয়াকান্দী এলাকায় কাজ শুরু করব।’
বর্ষা মৌসুম এখনো শুরু হয়নি। এর আগেই মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। উপজেলার নয়াকান্দীতে পদ্মার জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় আরুয়া ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, স্রোত ও পানির ঢেউয়ে নদীর পাড়ের বসতবাড়ি ও তিন ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। এ ছাড়া বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে পুরো এলাকা নদীগর্ভে চলে যাবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। ফলে ভাঙনের আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে এলাকাবাসী। ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতি নদীতে জোয়ার পানি বাড়লে পাটুরিয়া ঘাটের পূর্ব দিক থেকে বড়রিয়া, নয়াকান্দী, মান্দ্রাখোলা ও মালুচি এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। বিশেষ করে নয়াকান্দী এলাকায় বেশ কিছু ফসলের জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া নয়াকান্দীর মুন্সিবাড়ি, হালদারবাড়িসহ বহু গাছপালা চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে জিও ব্যাগ না ফেললে এগুলো নদীগর্ভে চলে যাবে।
নয়াকান্দী গ্রামের আসলাম প্রমাণিক বলেন, ‘দীর্ঘ ২ যুগের বেশি সময় ধরে আমাদের ফসলি জমি পদ্মা নদীতে চলে গেছে। আমার ফুফুর বাড়িসহ তাঁদের বহু জায়গা-জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফুফার ১০-১২টি বড় বড় মরিচের ভিটা, তিন ফসলি জমি ও ধানের জমি পদ্মা গিলে খেয়েছে। গত বছর এ জায়গায় কিছু অংশে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। এবার বর্ষা শুরুর আগেই নদীর পানি বাড়ায় বস্তাগুলো ভেঙে যাচ্ছে। আমি এখন যেখানে বসে আছি, এই জায়গাও আমার ফুফাদের। কখন যেন এই জায়গাও নদীতে চলে যায়!’ স্থানীয় বাসিন্দা রউফ মুন্সী বলেন, ‘নদীপারের শেষ বাড়িটি আমার। পদ্মায় একবার ভেঙেছে। আমাদের বহু জমি ছিল। প্রায় সবই নদীতে চলে গেছে। এখন শুধু বাড়িটি রয়েছে। সর্বনাশা পদ্মা আমাদের সর্বস্বান্ত করে দিছে। বাড়িটি কখন যেন পদ্মায় চলে যায়। সব সময় ভাঙনের ভয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সময় কাটাচ্ছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলাল হোসেন বলেন, ‘নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করছি। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’ মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, নয়াকান্দীর পাশেই কুষ্টিয়া স্কুলের পাশের এলাকায় কাজ শুরু হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে নয়াকান্দী এলাকায় কাজ শুরু করব।’
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই ১০ বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে সে দেশের তুরা জেলা পুলিশ তাদের আটক করে। পরে রোববার বিকেলে নাকুগাঁও আইসিপি দিয়ে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিজিবি তাদের নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
২৮ মিনিট আগে৯৬ ঘণ্টা পর আজ (১১ আগস্ট) সকাল ৭ টা থেকে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কীর্তি নিশান চাকমা।
৩৩ মিনিট আগেনিহত রুপলালের স্ত্রী ভারতী রানী বাদী হয়ে ৭০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে গতকাল রোববার দুপুরে তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেন।
৩৭ মিনিট আগেচাঁদা দাবির অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে ফের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে দলটি। সোমবার (১১ আগস্ট) এনসিপি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী (দপ্তর) আরিফ মঈনুদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি পত্রে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে