ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ তুলে এলাকাবাসীর পিটুনিতে আহত আরও একজন নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় দুজন নিহত হলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন আশরাফুল খান (২১) ও আরশাদুল খান (১৮)। তাঁরা দুজন উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের চৌপেরঘাট গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে। তাঁদের একজন গতকাল রাতে ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
গতকাল রাতে হামলার ঘটনায় পাঁচজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালে দুজন এবং অপর তিনজন মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
রাত ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মোড়ে মোড়ে পুলিশ রয়েছে। কেউ যেতে চাইলে পরিচয় জানতে চাওয়া হচ্ছে। কালীমন্দির এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পঞ্চপল্লী কালীমন্দিরে একটি মূর্তি আগুনে পুড়ে গেছে। পাশেই একটি নছিমন গাড়িতে আগুন জ্বলছে। তার পাশেই রয়েছে পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির নির্মাণকাজ করা শ্রমিকেরা একটি কক্ষে থাকতেন। সেই কক্ষেই সাতজন শ্রমিককে মন্দিরে আগুন দেওয়ার সন্দেহে পিটুনি দেয় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। কক্ষের ভেতরে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখা গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মধুখালী থানার পুলিশ। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের ওপরও হামলার চেষ্টা চালানো হয়। এ সময় ফাঁকা গুলি ছুড়ে উত্তেজিত লোকজনকে সরিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন বলেন, পঞ্চপল্লীর একটি কালী মন্দিরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ কারণে ক্ষুব্ধ একদল মানুষ পাশে নির্মাণাধীন স্কুলের নির্মাণশ্রমিকদের পিটিয়ে আহত করে স্কুলে আটকে রাখে। স্কুল ভবনের দরজা, জানালা, গ্রিল ভেঙে ফেলে তারা। এ সময় বাইরে থেকে কেউ ওই গ্রামে যেতে পারেনি।
তপতি মণ্ডল নামের ওই গ্রামের এক নারী বলেন, ‘মায়ের ঘরে (কালীমন্দির) সন্ধ্যাবাতি দিচ্ছিলাম। তখন শ্রমিকেরা জানালা দিয়ে দেখছিল। তারপর আমি বাড়ি গিয়েছিলাম। তখন ওরা (শ্রমিকেরা) ওপরে রড ওঠাচ্ছিল আর নিজেরাই বকাবাজি করছিল। তারপর আমি চিৎকার শুনতে পাই। এগিয়ে গিয়ে দেখি, মা একদম পুড়ে গেছে। তারপর লোকজন জড়ো হয়ে গেল। তারপর কী হলো দেখিনি। এ ছাড়া কারা মন্দিরে আগুন দিয়েছে তাও জানি না।’
এদিকে গতকাল রাত ৩টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান নিহতের বাবা-মা, বৃদ্ধ দাদিসহ স্বজনেরা। এ সময় দুজনের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। হাসপাতালটির নতুন ভবনের সামনে বারবার মূর্ছা যেতে দেখা যায় তাঁদের বাবা শাহজাহান খানকে। কিছুক্ষণ পর পর বাজান বাজান বলে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। বৃদ্ধ দাদি গড়াগড়ি করতে থাকেন হাসপাতাল চত্বরে।
নিহতদের চাচাতো ভাই আলমাস খান বলেন, ‘ঈদের পরই তারা নির্মাণকাজে চলে যায়। আজ খবর পাই, ওদের মারধর করেছে হিন্দুরা। পরে হাসপাতালে এসে দেখি দুজনের লাশ।’
ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ তুলে এলাকাবাসীর পিটুনিতে আহত আরও একজন নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় দুজন নিহত হলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন আশরাফুল খান (২১) ও আরশাদুল খান (১৮)। তাঁরা দুজন উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের চৌপেরঘাট গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে। তাঁদের একজন গতকাল রাতে ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
গতকাল রাতে হামলার ঘটনায় পাঁচজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালে দুজন এবং অপর তিনজন মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
রাত ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মোড়ে মোড়ে পুলিশ রয়েছে। কেউ যেতে চাইলে পরিচয় জানতে চাওয়া হচ্ছে। কালীমন্দির এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পঞ্চপল্লী কালীমন্দিরে একটি মূর্তি আগুনে পুড়ে গেছে। পাশেই একটি নছিমন গাড়িতে আগুন জ্বলছে। তার পাশেই রয়েছে পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির নির্মাণকাজ করা শ্রমিকেরা একটি কক্ষে থাকতেন। সেই কক্ষেই সাতজন শ্রমিককে মন্দিরে আগুন দেওয়ার সন্দেহে পিটুনি দেয় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। কক্ষের ভেতরে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখা গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মধুখালী থানার পুলিশ। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের ওপরও হামলার চেষ্টা চালানো হয়। এ সময় ফাঁকা গুলি ছুড়ে উত্তেজিত লোকজনকে সরিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন বলেন, পঞ্চপল্লীর একটি কালী মন্দিরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ কারণে ক্ষুব্ধ একদল মানুষ পাশে নির্মাণাধীন স্কুলের নির্মাণশ্রমিকদের পিটিয়ে আহত করে স্কুলে আটকে রাখে। স্কুল ভবনের দরজা, জানালা, গ্রিল ভেঙে ফেলে তারা। এ সময় বাইরে থেকে কেউ ওই গ্রামে যেতে পারেনি।
তপতি মণ্ডল নামের ওই গ্রামের এক নারী বলেন, ‘মায়ের ঘরে (কালীমন্দির) সন্ধ্যাবাতি দিচ্ছিলাম। তখন শ্রমিকেরা জানালা দিয়ে দেখছিল। তারপর আমি বাড়ি গিয়েছিলাম। তখন ওরা (শ্রমিকেরা) ওপরে রড ওঠাচ্ছিল আর নিজেরাই বকাবাজি করছিল। তারপর আমি চিৎকার শুনতে পাই। এগিয়ে গিয়ে দেখি, মা একদম পুড়ে গেছে। তারপর লোকজন জড়ো হয়ে গেল। তারপর কী হলো দেখিনি। এ ছাড়া কারা মন্দিরে আগুন দিয়েছে তাও জানি না।’
এদিকে গতকাল রাত ৩টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান নিহতের বাবা-মা, বৃদ্ধ দাদিসহ স্বজনেরা। এ সময় দুজনের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। হাসপাতালটির নতুন ভবনের সামনে বারবার মূর্ছা যেতে দেখা যায় তাঁদের বাবা শাহজাহান খানকে। কিছুক্ষণ পর পর বাজান বাজান বলে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। বৃদ্ধ দাদি গড়াগড়ি করতে থাকেন হাসপাতাল চত্বরে।
নিহতদের চাচাতো ভাই আলমাস খান বলেন, ‘ঈদের পরই তারা নির্মাণকাজে চলে যায়। আজ খবর পাই, ওদের মারধর করেছে হিন্দুরা। পরে হাসপাতালে এসে দেখি দুজনের লাশ।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে