Ajker Patrika

গুলশানে মানববন্ধনে বাধা, প্রেসক্লাবের সামনে ই-অরেঞ্জ গ্রাহকদের বিক্ষোভ  

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গুলশানে মানববন্ধনে বাধা, প্রেসক্লাবের সামনে ই-অরেঞ্জ গ্রাহকদের বিক্ষোভ  

রাজধানীর গুলশানে মানববন্ধন করতে না পেরে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ই-অরেঞ্জ ভুক্তভোগীরা। এ সময় তাঁরা পণ্য অথবা টাকা ফেরতের দাবি জানান। একই সঙ্গে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের ভাই বনানী থানার ওসি সোহেল রানার বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করেন। 

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ই-অরেঞ্জ অফিসের সামনে মানববন্ধন শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু পুলিশ এসে তাঁদের জানায়, কূটনৈতিক এলাকা হওয়ায় সেখানে মানববন্ধন করা যাবে না। এরপর ১০ মিনিট সেখানে অবস্থান শেষে এলাকা ছাড়েন তারা। 

এ বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কূটনৈতিক এলাকা হওয়ায় ওখানে বেশি সময় ধরে জনসমাগম, মানববন্ধন সম্ভব নয় ৷ এজন্য কিছুক্ষণ অবস্থান শেষে তাদের আমরা বুঝিয়ে বলেছি স্থান ত্যাগ করতে। তারাও বিষয়টি বুঝতে পেরে চলে গেছে ৷ 

এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। তাঁরা বলেন, স্বামীসহ সোনিয়া মেহজাবিন গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু বিথী আক্তার এখনো নিখোঁজ। তাঁকে গ্রেপ্তার করা না হলে টাকা ফিরে পাওয়া যাবে না। 

বিক্ষোভকারী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ই-অরেঞ্জের মালিক হিসেবে সোনিয়া মেহজাবিন আর বিথী আক্তারকে দেখানো হলেও এর নেপথ্য কারিগর হলেন ওসি সোহেল রানা। দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে বিদেশে হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন তিনি। এগুলো নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখিও হয়েছে। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। 

বিক্ষোভকারীরা জানান, এপ্রিলের পর ক্রিকেটার এবং সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ই-অরেঞ্জের ব্র‍্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে দেখে তারা প্রতিষ্ঠানটি থেকে লাখ লাখ টাকার পণ্য অর্ডার করেছিলেন। অথচ এখন মাশরাফি এর দায় এড়াতে চাইছেন। 

ই-অরেঞ্জে ২২ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করা গ্রাহক তৌফিক ইসলাম বলেন, ই-অরেঞ্জ একের পর এক মিথ্যাচার করছে। সোনিয়া মেহজাবিনের আইনজীবী বলছেন, জানুয়ারিতে কোম্পানির মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। অথচ মার্চ-এপ্রিলের কাগজপত্রেও মালিক হিসেবে সোনিয়া মেহজাবিনের স্বাক্ষর রয়েছে ৷ মাশরাফির চুক্তির সময়সীমা নিয়েও মিথ্যাচার করা হচ্ছে ৷ 

ভুক্তভোগীরা বলেন, আমাদের বিক্ষোভ কারো বিরুদ্ধে না। আমরা শুধু আমাদের টাকা ফেরত চাই। 

গত ১৭ আগস্ট ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-অরেঞ্জের মালিকদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। এ মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমান উল্যাহকে গত ২৩ আগস্ট পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার ১৩ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মৌচাকে গাড়িতে লাশ: ২৫ লাখ টাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলে জাকিরকে শ্রীলঙ্কায় নিয়েছিল দালাল

যেভাবে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছিল, স্বীকারোক্তিতে জানালেন মেজর সাদিকের স্ত্রী জাফরিন

পুলিশের এডিসিকে ছুরি মেরে পালিয়ে গেল ছিনতাইকারী

টেলিটক এখন গলার কাঁটা পর্যায়ে চলে এসেছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

সিন্ধু পানিবণ্টন নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় পাকিস্তানের বড় জয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত