Ajker Patrika

রণক্ষেত্র শান্ত, বেচাকেনায় সরগরম নিউমার্কেট

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২২, ১৭: ৫১
রণক্ষেত্র শান্ত, বেচাকেনায় সরগরম নিউমার্কেট

রাজধানীর নিউমার্কেটে দুই দোকান কর্মচারীর মাঝে ঝগড়া! সেই ঝগড়া রূপ নিল ব্যবসায়ী-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। টানা দুই দিনের বেশি সময় থেমে সংঘর্ষ চলেছে। এরই মধ্যে প্রাণ গেছে দুই জনের। অবশেষে উত্তেজনা থেমেছে। আজ খুলেছে দোকানপাট। ক্রেতারা সমাগম বেশ ভালো। চলছে বেচাকেনা ঢাকা কলেজের পরিস্থিতিও শান্ত। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ফাঁকা ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। হলের সামনে নেই শিক্ষার্থীদের ভিড়। পুরো ক্যাম্পাসে ছোট ছোট আড্ডা দেখা যায়। 

আজ সকাল ১০টা থেকে খুলেছে নিউমার্কেটের দোকানপাট। সড়কে বিবদমান কোনো পক্ষের উপস্থিতি দেখা যায়নি। নীলক্ষেত-নিউমার্কেট এলাকার সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। 

দুপুরে নিউমার্কেটে এলাকায় দেখা যায়, প্রায় সব দোকান খুলেছে। নিউমার্কেটের রাস্তার ওপর থাকা কিছু দোকানও খোলা দেখা যায়। দোকানের সামনে ফুটপাতেও দোকান বসতে শুরু করেছে। তবে কলেজের পার্শ্ববর্তী চন্দ্রিমা মার্কেট, উল্টোপাশের নূরজাহান মার্কেট ও গ্লোব শপিং সেন্টার সকালবেলা বন্ধ ছিল বলে জানা যায়। তবে দুপুর গড়াতেই দোকান খুলেছে। গাউছিয়া, চাঁদনীচক মার্কেটের দোকানও খোলা হয়েছে। আর সংঘর্ষের সময় আগুনে দগ্ধ দোকানগুলোর সংস্কার করতে দেখা যায়।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে নির্দেশ অমান্য করে আহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ, রমনা ডিসি-এডিসি ও নিউমার্কেট থানার ওসিকে প্রত্যাহারসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। কলেজ প্রশাসন জানিয়েছে, আজ থেকে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ঈদ উপলক্ষে বন্ধ। সে কারণে শিক্ষার্থীদের অনেকেই এরই মধ্যে বাড়িতে চলে গেছেন। 

দুই দিন সংঘামময় পরিস্থিতির পর আবার সরগরম হয়ে উঠেছে নিউমার্কেট। ছবি: আজকের পত্রিকাঢাকা কলেজের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আব্দুল হাকিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করছেন। অনেকেই ঈদ উপলক্ষে বাড়ি চলে যাচ্ছে। কোনো ধরনের সংঘাত আশা করি হবে না। 

শিক্ষার্থীদের যে ১০ দফা দাবি ছিল সেই দাবিগুলোর ওপরে এখনো তাঁরা অটল। একই সঙ্গে পুলিশের দেওয়া মামলায় যেন কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হয় সেটি নিশ্চিত করতে কলেজ প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এটিএম মইনুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্তের কথা আমরা আমাদের পক্ষ ছাত্রদের জানিয়ে দিয়েছি। ছাত্ররা ছাত্রাবাস ছেড়ে চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি তাঁরা হামলাকারীদের বিচার দাবি করছেন। এসব বিষয় আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’ 

অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘আহত শিক্ষার্থীরা বিশেষ বিবেচনায় হলে অবস্থান করছে। আজ থেকে আমাদের কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। শিক্ষার্থীরা ঈদ উপলক্ষে আস্তে আস্তে হল ছেড়ে চলে যাচ্ছে।’ 

পুলিশের মামলায় যেন কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হয় সেটি নিশ্চিত করার দাবির ব্যাপারে অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন বলেন, ‘আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তবে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত