Ajker Patrika

আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত ইবি ক্যাম্পাস, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ

পল্লব আহমেদ সিয়াম, ইবি
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১১: ২৬
আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত ইবি ক্যাম্পাস, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) স্নিগ্ধ সবুজ অরণ্যের সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। পবিত্র রমজান মাসে ইফতার ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনার স্তূপে এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন স্থান। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিন থাকলেও সেগুলো ব্যবহার না করে বহিরাগত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যত্রতত্র আবর্জনা ফেলছেন। এতে পর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ বন্ধের পর রমজান মাসে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এতে খোলা থাকে আবাসিক হলগুলো। ফলে রমজান মাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিলের এক অনন্য দৃশ্যের দেখা মেলে। বিকেল হতেই ক্যাম্পাসের ক্রিকেট মাঠ, জিমনেশিয়াম ও পেয়ারাবাগানে খোলা আকাশের নিচে সবাই বসে পড়েন। তবে ইফতারের পর প্লাস্টিকের প্লেট, গ্লাস, নোংরা পানি, বেঁচে যাওয়া অতিরিক্ত খাবার ও বিভিন্ন ফলের অংশ যত্রতত্রভাবে ফেলে প্রায় সবাই চলে যান। এতে জমছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। আর আবর্জনার স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রানা আহমেদ অভি বলেন, ‘পবিত্র মাসে সবার মিলনমেলা এক অনন্য যোগসূত্র সৃষ্টি করেছে এই বাহারি ইফতারের আয়োজন। ইফতার আয়োজন শেষে ময়লা প্লেট, গ্লাস ও অনন্য খাবার ফেলার নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। ইতিপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউটের উদ্যোগে একবার পরিচ্ছন্ন অভিযান হয়েছিল। কিন্তু প্রতিদিন ইফতারের আয়োজন থাকায় এবং প্রশাসনের সঠিক পরিচ্ছন্ন অভিযান না থাকায় ক্রিকেট মাঠের বিভিন্ন অংশে ময়লা-আবর্জনা জমে ভাগাড় হয়ে উঠেছে।’ 

পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েস ইবি শাখার সভাপতি মখলেসুর রহমান সুইট বলেন, ‘আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে ক্রিকেট মাঠ। অল্প কিছু ডাস্টবিন ও বর্জ্য ফেলার জায়গা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য ধরে রাখা যাবে।’ 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টিপু সুলতান বলেন, ‘আবাসিক শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ইফতার করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন তো পরিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের এই নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা আছে। খুব শিগগির একটা অভিযান চালানো হবে। ক্যাম্পাসে যত ময়লা-আবর্জনা রয়েছে, সবকিছু পরিষ্কার করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্রিকেট মাঠের পুরোনো বৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনব। এ ছাড়া সামনে আমাদের আরও ডাস্টবিন ও ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা বাড়ানো পরিকল্পনা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেলে ঈদের পরে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর রাখতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বহিরাগত সবাইকে সচেতন হতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রশ্নে যে প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত