আমানুর রহমান রনি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে ফিরে
পুরো নাম নাজমুর রহমান সজিব। তবে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় অনেকের কাছে তাঁর পরিচয় এস কে সজিব নামে। এস কে সজিব নামটি রয়েছে জেলা পুলিশের করা মাদক কারবারিদের তালিকায়। মাদকের কারবার ছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সোনারগাঁ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে যে সাতটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে, সেগুলোর তিনটিই মাদকের।
এস কে সজিবকে ‘নারায়ণগঞ্জের বদি’ আখ্যা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। তাঁর অভিযোগ, এস কে সজিবের কারণে তিনি চেষ্টা করেও এলাকা থেকে মাদক নির্মূল করতে পারেননি। এলাকার কেউ কেউ বলেন, ‘এস কে’ সাংকেতিক শব্দ লেখা থাকা ইয়াবা বিক্রির কারণেই সজিবের নামের সঙ্গে ‘এস কে’ জুড়ে গেছে।
তবে মাদকের কারবার এবং ‘এস কে’ লেখা ইয়াবা বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাজমুর রহমান সজিব। তাঁর দাবি, বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। সব মামলাই মীমাংসা করে ফেলেছেন।
নাজমুর রহমান সজিবের বাড়ি সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের গুহাট্টায়। তিনি মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বাবা মৃত চান মিয়া। তাঁদের আদি বাড়ি ছিল ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িচিনিস গ্রামে। তাঁদের বংশের পদবি ব্যাপারি।
মোগরাপাড়ার ওপর দিয়ে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। মিয়ানমার থেকে আসা নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবা বড়ির চালান এই মহাসড়ক দিয়েই সোনারগাঁসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ও রাজধানী ঢাকায় যায়। পরে ছড়িয়ে পড়ে দেশের অন্যান্য এলাকায়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, কক্সবাজারসহ সীমান্তবর্তী অন্যান্য জেলা থেকে বিভিন্ন মাদক সোনারগাঁয় ঢুকছে। সোনারগাঁর অন্যতম মাদক কারবারি এস কে সজিব। ইয়াবার গায়ে ‘ওয়াই ডব্লিউ’, ‘এক্স ওয়াই’, ‘এক্স এক্স’, ‘এম’, ‘টি’, ‘ওকে’ এবং ‘এস কে’ ইত্যাদি সাংকেতিক শব্দ লেখা থাকে। শুরুতে সোনারগাঁয় ‘এস কে’ লেখা ইয়াবা বিক্রি হতো।
গত সোমবার মোগরাপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় গিয়ে এস কে সজিবের বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগ পাওয়া যায়। এলাকার বেশ কয়েকজন এই অভিযোগ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সজিবের এক স্বজন বলেন, ‘সোনারগাঁয় শুরুতে অর্থাৎ ২০১০ সালের দিকে আসা ইয়াবার গায়ে ‘এস কে’ লেখা থাকত। সেগুলো সজিব বিক্রি করতেন। এ কারণে তখন থেকে তাঁর নামের সঙ্গে ‘এস কে’ জুড়ে গিয়ে ‘এস কে সজিব’ হয়ে গেছে।
পুলিশের সূত্র জানায়, গত বছরের শেষ দিকে নারায়ণগঞ্জের সাতটি থানার মাদক কারবারিদের তালিকা করা হয়। ওই তালিকায় সোনারগাঁ থানার ১৭ মাদক কারবারির মধ্যে অন্যতম এস কে সজিব। তাঁর বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাতটি মামলা রয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এবং র্যাব-১১-এর কর্মকর্তারাও এস কে সজিবের বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এলাকায় সবকিছুতেই সফল। কিন্তু এস কে সজিবের কারণে মাদক নির্মূল করতে পারিনি। আমি একবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে বলেছি। যারা মাদক ছড়ায়, তাদের বিষয়ে জানিয়েছি, কিন্তু কাজ হয়নি। আমি এস কে সজিবকে “নারায়ণগঞ্জের বদি” বলি। তারপরও তাঁকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না।’
জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, সজিবের বংশের সবাই বিএনপি করেন। সজিব ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে মাদক, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, এস কে সজিবের সহযোগীদের মধ্যে রয়েছেন মাহবুবুর রহমান রক্সি, রনি, হৃদয়, মোহাম্মদ আল সুজনসহ কয়েকজন। সোনারগাঁ থানার পুলিশ বলেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ইভ টিজিং, চৈতি গার্মেন্টসের কাভার্ড ভ্যানে ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক কারবার, জায়গা দখল এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এস কে সজিবের প্রকৃত নাম নাজমুর রহমান সজিব। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক কারবার, সহিংসতাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আমরা তাঁর বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। মাদক কারবারিদের নতুন তালিকা তৈরি করছি।’
সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে মোগরাপাড়ার আফিয়া ফিলিং স্টেশনে আরমান শরীফ হত্যা মামলায় বাদীপক্ষ যে ৯ জন আসামির নাম পুলিশকে দিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে এস কে সজিবের নামও ছিল। তবে অভিযোগপত্রে তাঁর নাম নেই। এ নিয়ে হতাশ আরমানের পরিবার। আরমানের মা রওশন আরা মিরু সোমবার মোগরাপাড়ার দমদমার বাড়িতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যার সঙ্গে সোহাগ রনি, কিলার কোরবান, মাদক ব্যবসায়ী এস কে সজিব জড়িত। কিন্তু সজিবকে মামলা থেকে বাদ দিয়েছে পুলিশ। এর পর থেকে আমরা আতঙ্কে আছি।’
আরমান হত্যা মামলার আইনজীবী মাছুদা বেগম শম্পা বলেন, এস কে সজিবকে বাদ দেওয়ায় তাঁরা অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন।
সোনারগাঁ থানা সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালের মার্চ, ২০১৩ সালের জুন এবং ১৪ নভেম্বর চারটি হত্যাচেষ্টার মামলা হয় সজিবের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মাদকের মামলা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি মামলা তদন্তাধীন। মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ফুটপাতের দোকানে, বালুর ট্রাক ও ঘাটে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোনারগাঁয়ের আওয়ামী লীগের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রভাবশালী স্থানীয় একজন নেতার আশীর্বাদপুষ্ট এস কে সজিব। এলাকায় তিনি ‘নারায়ণগঞ্জের বদি’ নামে বেশি পরিচিত।
অভিযোগ রয়েছে, এস কে সজিব তাঁর সৎভাই জাকিরের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে বাড়িছাড়া করেন। এর প্রতিকার পেতে জাকিরের স্ত্রী থানা ও র্যাবে অভিযোগ করেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে যুবলীগ নেতা সজিব বলেন, ‘অভিযোগ সত্য নয়। আমি রাজনীতি করি। আমার কিছু শত্রু রয়েছে। তাঁরা এসব অভিযোগ করেছেন। কয়েকটা মামলা ছিল। বাদীদের সঙ্গে বসে মীমাংসা করেছি। বর্তমানে একটি মামলাও নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমার ভাই জাকির মারা যাওয়ার পর অন্য ভাইদের সঙ্গে ভাবির ঝামেলা হয়েছিল, পরে আমি ভাবিকে ডেকে মীমাংসা করে দিয়েছি। তিনি যতটুকু জায়গা পেতেন, তা আমি বিক্রি করে দিয়েছি। এখন ভাবির সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক।’
এলাকার লোকজন আপনার নাম এস কে সজিব বলেন কেন, এ প্রশ্নে সজিব বলেন, ‘তাঁদের কাছেই এ বিষয়ে প্রশ্ন করুন। আমার নাম নাজমুর রহমান সজিব। এ নামেই আমি পরিচিত।’
পুরো নাম নাজমুর রহমান সজিব। তবে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় অনেকের কাছে তাঁর পরিচয় এস কে সজিব নামে। এস কে সজিব নামটি রয়েছে জেলা পুলিশের করা মাদক কারবারিদের তালিকায়। মাদকের কারবার ছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সোনারগাঁ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে যে সাতটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে, সেগুলোর তিনটিই মাদকের।
এস কে সজিবকে ‘নারায়ণগঞ্জের বদি’ আখ্যা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। তাঁর অভিযোগ, এস কে সজিবের কারণে তিনি চেষ্টা করেও এলাকা থেকে মাদক নির্মূল করতে পারেননি। এলাকার কেউ কেউ বলেন, ‘এস কে’ সাংকেতিক শব্দ লেখা থাকা ইয়াবা বিক্রির কারণেই সজিবের নামের সঙ্গে ‘এস কে’ জুড়ে গেছে।
তবে মাদকের কারবার এবং ‘এস কে’ লেখা ইয়াবা বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাজমুর রহমান সজিব। তাঁর দাবি, বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। সব মামলাই মীমাংসা করে ফেলেছেন।
নাজমুর রহমান সজিবের বাড়ি সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের গুহাট্টায়। তিনি মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বাবা মৃত চান মিয়া। তাঁদের আদি বাড়ি ছিল ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িচিনিস গ্রামে। তাঁদের বংশের পদবি ব্যাপারি।
মোগরাপাড়ার ওপর দিয়ে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। মিয়ানমার থেকে আসা নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবা বড়ির চালান এই মহাসড়ক দিয়েই সোনারগাঁসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ও রাজধানী ঢাকায় যায়। পরে ছড়িয়ে পড়ে দেশের অন্যান্য এলাকায়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, কক্সবাজারসহ সীমান্তবর্তী অন্যান্য জেলা থেকে বিভিন্ন মাদক সোনারগাঁয় ঢুকছে। সোনারগাঁর অন্যতম মাদক কারবারি এস কে সজিব। ইয়াবার গায়ে ‘ওয়াই ডব্লিউ’, ‘এক্স ওয়াই’, ‘এক্স এক্স’, ‘এম’, ‘টি’, ‘ওকে’ এবং ‘এস কে’ ইত্যাদি সাংকেতিক শব্দ লেখা থাকে। শুরুতে সোনারগাঁয় ‘এস কে’ লেখা ইয়াবা বিক্রি হতো।
গত সোমবার মোগরাপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় গিয়ে এস কে সজিবের বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগ পাওয়া যায়। এলাকার বেশ কয়েকজন এই অভিযোগ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সজিবের এক স্বজন বলেন, ‘সোনারগাঁয় শুরুতে অর্থাৎ ২০১০ সালের দিকে আসা ইয়াবার গায়ে ‘এস কে’ লেখা থাকত। সেগুলো সজিব বিক্রি করতেন। এ কারণে তখন থেকে তাঁর নামের সঙ্গে ‘এস কে’ জুড়ে গিয়ে ‘এস কে সজিব’ হয়ে গেছে।
পুলিশের সূত্র জানায়, গত বছরের শেষ দিকে নারায়ণগঞ্জের সাতটি থানার মাদক কারবারিদের তালিকা করা হয়। ওই তালিকায় সোনারগাঁ থানার ১৭ মাদক কারবারির মধ্যে অন্যতম এস কে সজিব। তাঁর বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাতটি মামলা রয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এবং র্যাব-১১-এর কর্মকর্তারাও এস কে সজিবের বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এলাকায় সবকিছুতেই সফল। কিন্তু এস কে সজিবের কারণে মাদক নির্মূল করতে পারিনি। আমি একবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে বলেছি। যারা মাদক ছড়ায়, তাদের বিষয়ে জানিয়েছি, কিন্তু কাজ হয়নি। আমি এস কে সজিবকে “নারায়ণগঞ্জের বদি” বলি। তারপরও তাঁকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না।’
জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, সজিবের বংশের সবাই বিএনপি করেন। সজিব ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে মাদক, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, এস কে সজিবের সহযোগীদের মধ্যে রয়েছেন মাহবুবুর রহমান রক্সি, রনি, হৃদয়, মোহাম্মদ আল সুজনসহ কয়েকজন। সোনারগাঁ থানার পুলিশ বলেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ইভ টিজিং, চৈতি গার্মেন্টসের কাভার্ড ভ্যানে ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক কারবার, জায়গা দখল এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এস কে সজিবের প্রকৃত নাম নাজমুর রহমান সজিব। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক কারবার, সহিংসতাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আমরা তাঁর বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। মাদক কারবারিদের নতুন তালিকা তৈরি করছি।’
সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে মোগরাপাড়ার আফিয়া ফিলিং স্টেশনে আরমান শরীফ হত্যা মামলায় বাদীপক্ষ যে ৯ জন আসামির নাম পুলিশকে দিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে এস কে সজিবের নামও ছিল। তবে অভিযোগপত্রে তাঁর নাম নেই। এ নিয়ে হতাশ আরমানের পরিবার। আরমানের মা রওশন আরা মিরু সোমবার মোগরাপাড়ার দমদমার বাড়িতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যার সঙ্গে সোহাগ রনি, কিলার কোরবান, মাদক ব্যবসায়ী এস কে সজিব জড়িত। কিন্তু সজিবকে মামলা থেকে বাদ দিয়েছে পুলিশ। এর পর থেকে আমরা আতঙ্কে আছি।’
আরমান হত্যা মামলার আইনজীবী মাছুদা বেগম শম্পা বলেন, এস কে সজিবকে বাদ দেওয়ায় তাঁরা অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন।
সোনারগাঁ থানা সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালের মার্চ, ২০১৩ সালের জুন এবং ১৪ নভেম্বর চারটি হত্যাচেষ্টার মামলা হয় সজিবের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মাদকের মামলা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি মামলা তদন্তাধীন। মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ফুটপাতের দোকানে, বালুর ট্রাক ও ঘাটে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোনারগাঁয়ের আওয়ামী লীগের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রভাবশালী স্থানীয় একজন নেতার আশীর্বাদপুষ্ট এস কে সজিব। এলাকায় তিনি ‘নারায়ণগঞ্জের বদি’ নামে বেশি পরিচিত।
অভিযোগ রয়েছে, এস কে সজিব তাঁর সৎভাই জাকিরের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে বাড়িছাড়া করেন। এর প্রতিকার পেতে জাকিরের স্ত্রী থানা ও র্যাবে অভিযোগ করেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে যুবলীগ নেতা সজিব বলেন, ‘অভিযোগ সত্য নয়। আমি রাজনীতি করি। আমার কিছু শত্রু রয়েছে। তাঁরা এসব অভিযোগ করেছেন। কয়েকটা মামলা ছিল। বাদীদের সঙ্গে বসে মীমাংসা করেছি। বর্তমানে একটি মামলাও নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমার ভাই জাকির মারা যাওয়ার পর অন্য ভাইদের সঙ্গে ভাবির ঝামেলা হয়েছিল, পরে আমি ভাবিকে ডেকে মীমাংসা করে দিয়েছি। তিনি যতটুকু জায়গা পেতেন, তা আমি বিক্রি করে দিয়েছি। এখন ভাবির সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক।’
এলাকার লোকজন আপনার নাম এস কে সজিব বলেন কেন, এ প্রশ্নে সজিব বলেন, ‘তাঁদের কাছেই এ বিষয়ে প্রশ্ন করুন। আমার নাম নাজমুর রহমান সজিব। এ নামেই আমি পরিচিত।’
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়সহ বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক এবং বগুড়া–ঢাকা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো আওয়ামী লীগের পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
৫ মিনিট আগেঈদের আগের রাতে সিলেটের রিকাবীবাজারে একটি কনসার্টে যাওয়ার আগে তাঁকে অচেতন করে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তরা সেই ঘটনা ভিডিও করে নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করছিলেন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তিনি
১০ মিনিট আগেহাবিবা কলাপাড়া উপজেলার মঙ্গলসুখ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বর্তমানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পটুয়াখালীতে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। উম্মে হাবিবা সুন্নাহর বাবা আহসান হাবিব চুন্নু বরিশালে ব্র্যাকের এলাকা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত এবং মা রাবেয়া সুলতানা রিপা একজন...
২০ মিনিট আগেভালো খবরের পাওয়ার প্রত্যাশায় সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে থাকা সচিবালয়ের কর্মচারীরা আগামীকাল মঙ্গলবার আন্দোলন কর্মসূচিতে বিরতি দিয়েছেন। আগামীকাল সচিবালয়ের বাইরের কর্মচারী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে জনসংযোগ করবেন সচিবালয়ের কর্মচারী নেতারা।
৩০ মিনিট আগে