Ajker Patrika

কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

দেড় লাখ মানুষের ভরসা মাত্র তিনজন চিকিৎসক

  • তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৮২ পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৪২।
  • ডাক্তার ঠিকমতো পাওয়া যায় না: এক ভুক্তভোগী
  • সংকটের কারণে বন্ধ সব ধরনের অস্ত্রোপচার।
  • বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে: প প কর্মকর্তা
কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৯ মে ২০২৫, ০২: ৫৩
কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: আজকের পত্রিকা
কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: আজকের পত্রিকা

জনবলের সংকটে ভুগছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দরিদ্র মানুষের চিকিৎসার ক্ষেত্রে শেষ আস্থা ও ভরসার স্থল এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাত্র ৩ চিকিৎসক দিয়েই চলছে। অথচ ১১ চিকিৎসকের পদ রয়েছে। সংকট রয়েছে অন্যান্য পদেও। হয় না কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার। সব মিলিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হাসপাতালটি। আর চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার প্রায় দেড় লাখ মানুষ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রসূতি, শিশু, সার্জারি, মেডিসিন, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগসহ মোট ১১টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৩ জন চিকিৎসক। জুন মাসে আরও ২ জন বদলি হয়ে যাবেন, ডিসেম্বরের দিকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির আরও কয়েকজন যাবেন অবসরে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদ রয়েছে ৮২টি, কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন ৪২ জন। বাকি ৪০ জনের পদও শূন্য।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে লম্বা লাইন। রোগীরা এসেছেন সর্দি-জ্বর, ডায়রিয়া, গর্ভাবস্থা বা শিশুর অসুস্থতা নিয়ে। অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ। যাদের একমাত্র ভরসা এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।

আছিয়া খাতুন নামে একজন বলেন, ‘আগে এখানে সিজার হতো। গরিবদের অনেক উপকার হতো। এখন তা বন্ধ। বাধ্য হয়ে আমি প্রাইভেট হাসপাতালে সিজার করিয়েছি। সরকার যেন দ্রুত এই সেবা চালু করে। যাতে আমাদের মতো গরিবদের উপকার হয়।’

আনোয়ার হোসেন নামে একজন বলেন, ‘ডাক্তার ঠিকমতো পাওয়া যায় না। যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও অপারেশন হয় না। দেখার কেউ নেই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাক্তার তো কম, তার ওপর নার্সদের ব্যবহার খুবই খারাপ। স্থানীয়দের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা হয়।

রোগী হিসেবে আমাদের সম্মান থাকা উচিত।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, তিনজন দিয়ে ইনডোর, আউটডোর ও ইমার্জেন্সি চালানো অত্যন্ত কষ্টকর। প্রায় দিনই ১২ ঘণ্টা টানা কাজ করতে হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মমিন উদ্দিন বলেন, ‘১১ জন ডাক্তারের বিপরীতে আছেন মাত্র ৩ জন। ৩ জন চিকিৎসকের পক্ষে এত রোগী দেখা কঠিন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’ তাঁর দাবি, এ সংকট শুধু কামারখন্দ নয়, সারা দেশেই আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

আদালতের বিচারকাজে বাধা দেওয়ায় আইনজীবীর দণ্ড, ক্ষমা চেয়ে পার

‘ফের ধর্ষণচেষ্টার ক্ষোভে’ বাবাকে খুন, ৯৯৯-এ কল দিয়ে আটকের অনুরোধ মেয়ের

আ. লীগের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের বিএনপির সদস্য হতে বাধা নেই: রিজভী

১৫ স্থাপনায় পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আকাশেই ধ্বংসের দাবি ভারতের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত