Ajker Patrika

জুলুম বন্ধ না হলে রেস্তোরাঁ বন্ধের হুঁশিয়ারি মালিক সমিতির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২২, ১৫: ৪০
জুলুম বন্ধ না হলে রেস্তোরাঁ বন্ধের হুঁশিয়ারি মালিক সমিতির

অযাচিতভাবে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জুলুম বন্ধ না হলে রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি দিয়েছে মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। একই সঙ্গে তাঁরা ১২টি অধিদপ্তর নয়, একটি অধিদপ্তরের অধীনে কাজ করতে চান। 
 
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন মালিক সমিতির নেতারা। 

সংগঠনের মহাসচিব ইমরান হাসান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আমাদের সেক্টরের সমস্যা থেকে কেউ উদ্ধার করতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে না।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে সব তথ্য হয়তো যাচ্ছে না। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআই, ভোক্তা অধিদপ্তর, র‍্যাবের আদালত, সিটি করপোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ এরকম ১২টি প্রতিষ্ঠান/সংস্থা আমাদের মনিটরিং করে যাচ্ছে। বছরের পর বছর আমরা বলে আসছি, যেকোনো একটি অধিদপ্তরের অধীনে আমাদের নেওয়া হোক।’

সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইমরান হাসান বলেন, ‘আপনারা মানবিকভাবে চিন্তা করুন। আপনারা বুদ্ধিদীপ্ত খেলা দিয়ে আমাদের আইনের মারপ্যাঁচে ফেলে বিপদের মুখে ঠেলে দেবেন না। করোনা-পরবর্তী সময়ে আমরা সরকারের কোনো প্রণোদনা পাইনি, সহায়তাও পাইনি। প্রণোদনা পেয়েছেন বড় ব্যবসায়ীরা।’

‘আমরা সরকারের কাছে প্রণোদনা চাই না, এসএমই খাত থেকে স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ চাই, যাতে আমরা টিকে থাকতে পারি।’ জোর আহ্বান জানিয়ে সংগঠনের নেতারা বলেন, ‘আমাদের একটি আহ্বান, অবিলম্বে একটি টাস্কফোর্স বা কমিশন গঠন করে একটি সংস্থার অধীনে আমাদের খাতকে নিয়ে আসা হোক।’ 

মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব বলেন, ‘আমাদের রেস্তোরাঁয় পোড়া তেল, ভেজাল মেশানো অপরাধ। যারা করছে তাদের শাস্তি নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদের যারা ভালোভাবে রেস্তোরাঁ চালায়, তাদের কাছ থেকে কখনো বোতলজাত তেলের বোতলের মুখ খুলে স্যাম্পল নিয়ে বলছে, এটিতে পাম ওয়েল আছে। এর জন্য জরিমানা দিতে হচ্ছে আমাকে। কেন? ইনটেক সয়াবিন তেলের বোতলে যদি আপনি অন্য কিছু পান, তাহলে ওই কোম্পানিকে ধরুন। আমি তো এটি তৈরি করি না, আমি বাজার থেকে কিনে এনে রেস্তোরাঁয় ব্যবহার করি।’

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি, যুগ্ম মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব, ঢাকা উত্তরের মহাসচিব বিপু চৌধুরী, ট্রেজারারসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত