ঢাবি প্রতিনিধি
ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা সাধারণ শিক্ষার্থীদের রুমে গিয়ে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও রুম থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার হুমকির একটি অডিও রেকর্ড আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে।
আজ শুক্রবার অডিও রেকর্ডটি পাওয়া যায়। অডিও রেকর্ডটিতে কথা বলা ব্যক্তিটি যে তিনি তা স্বীকার করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘এইটুকু সেন্স থাকা উচিত ছিল, রুমটা যেহেতু ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্ট নিয়ে নিছে, ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্টের ওপরে আর কেউ নাই ৷ উল্টাপাল্টা করবি এক পায়ে পাড়া দেব, আরেক পায়ে টেনে ছিঁড়ে ফেলব।’
অডিওতে রিভাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘তোরা লিগ্যাল তাতে আমার… গেছে। কোন হেডাম দেখাইতে আসিস তোরা। আমার পলিটিক্যাল রুমে তোরা লিগ্যাল থাকবি কি না, সেটা তোদের বিষয়। কে কে টাকা জমা দিছিস? আমারে দিছিস? আর কে লিগ্যাল?’
এ সময় পাশ থেকে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘ও তো অসুস্থ, বাসায় গেছে।’ এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘২০২ (রুম নং) এ আর লিগ্যাল কে? তোরা লিগ্যাল তাতে আমার কী… গেছে? বল? আমি কি …… তোদের। চ্যাটাং চ্যাটাং করতাছোস! এক পায়ে পাড়া দিমু, আরেক পা টাইনা ধইরা ছিঁড়া ফেলমু। চার মাস হয়ে গেছে, ফাইজলামি শুরু করছিস!’
এ সময় সুমনা মীর নামে এক মেয়েকে গালমন্দ করতে শোনা যায় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতিকে। তিনি বলেন, ‘বুঝিস না, পলিটিক্যাল রুমে থাকিস? তোদের লিগ্যাল করাইছে তাতে আমার …. কী? আমি যদি একটা সিট না দেই, ২০২ থেকে তোদের কোন বাপ সিট দেবে? ম্যাডামেরা দেবে, ক্ষমতা আছে ম্যাডামদের? ম্যাডামদের ক্ষমতা আছে আমাদের রুম থেকে একটা মেয়েকে বের করার? ইডেন কলেজের প্রিন্সিপালেরও ক্ষমতা নেই এই রুম থেকে একটাকে বের করার ৷ একদম গলায় পাড়া দিয়ে ধরতে ইচ্ছা করতেছে ৷ আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে যেই রুমে বলব সেই রুমে যাবি ৷ আমার সঙ্গে হ্যাডাম দেখাইতে আসে ৷’
এসময় ইডেন কলেজ প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে কথা বলতে শোনা যায় তামান্না জেসমিনকে। তিনি বলেন, ‘একটা সিঙ্গেল মেয়ে যদি ওই রুমে এসে কন্ট্রোল করতে চাস, সে হোক নেত্রী, ইডেন কলেজের প্রিন্সিপাল ম্যামও কোনো মেয়ে দিতে পারবে না৷ এইটুকু সেন্স থাকা উচিত ছিল— রুমটা যেহেতু ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্ট নিয়ে নিছে, ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্টের ওপরে আর কেউ নাই ৷’
সূত্র জানায়, ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের নেত্রীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খুবই বাজে ব্যবহার করে। অনেক সময় হল থেকে বের করে দেয়। তবে ভয় কেউ মুখ খোলে না।
একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা কথা বললে সমস্যা হবে তাই কথা বলতে পারি না। তবে এবারে আমরা সাহস দেখিয়েছি। বিষয়টি ম্যামদের নজরে এনেছি। তবে কাউকে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়নি বলেও উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা।
ফাঁস হওয়ার অডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে তামান্না জেসমিন রিভা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা তেমন বড় কোনো বিষয় না। আমার কিছু জুনিয়র রুমে গেলে তাদের গালাগাল করে তারা ৷ পরে এ বিষয়ে কথা বলতে যাই। পলিটিক্স রুমে থাকলে প্রোগ্রাম করতে হবে, এটা স্বাভাবিক বিষয়।’ তবে কয়েকটি ‘স্ল্যাং ল্যাঙ্গুয়েজ’ ব্যবহার করা হয়েছে বলে খেদ প্রকাশ করেন রিভা।
অডিও রেকর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ নারগিস রুমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার কাছে তো রেকর্ড নেই। আমি এখন কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। তবে ২০২ নং রুম থেকে কয়েকজন ফোন দিয়েছে। আমি তাদের সরাসরি লিখিত অভিযোগ জমা দিতে বলেছি।’
ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। হলের বিষয়টি হল কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে। আমি বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। এ রকম হওয়ার কথা না।’
ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা সাধারণ শিক্ষার্থীদের রুমে গিয়ে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও রুম থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার হুমকির একটি অডিও রেকর্ড আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে।
আজ শুক্রবার অডিও রেকর্ডটি পাওয়া যায়। অডিও রেকর্ডটিতে কথা বলা ব্যক্তিটি যে তিনি তা স্বীকার করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘এইটুকু সেন্স থাকা উচিত ছিল, রুমটা যেহেতু ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্ট নিয়ে নিছে, ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্টের ওপরে আর কেউ নাই ৷ উল্টাপাল্টা করবি এক পায়ে পাড়া দেব, আরেক পায়ে টেনে ছিঁড়ে ফেলব।’
অডিওতে রিভাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘তোরা লিগ্যাল তাতে আমার… গেছে। কোন হেডাম দেখাইতে আসিস তোরা। আমার পলিটিক্যাল রুমে তোরা লিগ্যাল থাকবি কি না, সেটা তোদের বিষয়। কে কে টাকা জমা দিছিস? আমারে দিছিস? আর কে লিগ্যাল?’
এ সময় পাশ থেকে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘ও তো অসুস্থ, বাসায় গেছে।’ এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘২০২ (রুম নং) এ আর লিগ্যাল কে? তোরা লিগ্যাল তাতে আমার কী… গেছে? বল? আমি কি …… তোদের। চ্যাটাং চ্যাটাং করতাছোস! এক পায়ে পাড়া দিমু, আরেক পা টাইনা ধইরা ছিঁড়া ফেলমু। চার মাস হয়ে গেছে, ফাইজলামি শুরু করছিস!’
এ সময় সুমনা মীর নামে এক মেয়েকে গালমন্দ করতে শোনা যায় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতিকে। তিনি বলেন, ‘বুঝিস না, পলিটিক্যাল রুমে থাকিস? তোদের লিগ্যাল করাইছে তাতে আমার …. কী? আমি যদি একটা সিট না দেই, ২০২ থেকে তোদের কোন বাপ সিট দেবে? ম্যাডামেরা দেবে, ক্ষমতা আছে ম্যাডামদের? ম্যাডামদের ক্ষমতা আছে আমাদের রুম থেকে একটা মেয়েকে বের করার? ইডেন কলেজের প্রিন্সিপালেরও ক্ষমতা নেই এই রুম থেকে একটাকে বের করার ৷ একদম গলায় পাড়া দিয়ে ধরতে ইচ্ছা করতেছে ৷ আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে যেই রুমে বলব সেই রুমে যাবি ৷ আমার সঙ্গে হ্যাডাম দেখাইতে আসে ৷’
এসময় ইডেন কলেজ প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে কথা বলতে শোনা যায় তামান্না জেসমিনকে। তিনি বলেন, ‘একটা সিঙ্গেল মেয়ে যদি ওই রুমে এসে কন্ট্রোল করতে চাস, সে হোক নেত্রী, ইডেন কলেজের প্রিন্সিপাল ম্যামও কোনো মেয়ে দিতে পারবে না৷ এইটুকু সেন্স থাকা উচিত ছিল— রুমটা যেহেতু ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্ট নিয়ে নিছে, ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্টের ওপরে আর কেউ নাই ৷’
সূত্র জানায়, ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের নেত্রীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খুবই বাজে ব্যবহার করে। অনেক সময় হল থেকে বের করে দেয়। তবে ভয় কেউ মুখ খোলে না।
একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা কথা বললে সমস্যা হবে তাই কথা বলতে পারি না। তবে এবারে আমরা সাহস দেখিয়েছি। বিষয়টি ম্যামদের নজরে এনেছি। তবে কাউকে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়নি বলেও উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা।
ফাঁস হওয়ার অডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে তামান্না জেসমিন রিভা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা তেমন বড় কোনো বিষয় না। আমার কিছু জুনিয়র রুমে গেলে তাদের গালাগাল করে তারা ৷ পরে এ বিষয়ে কথা বলতে যাই। পলিটিক্স রুমে থাকলে প্রোগ্রাম করতে হবে, এটা স্বাভাবিক বিষয়।’ তবে কয়েকটি ‘স্ল্যাং ল্যাঙ্গুয়েজ’ ব্যবহার করা হয়েছে বলে খেদ প্রকাশ করেন রিভা।
অডিও রেকর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ নারগিস রুমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার কাছে তো রেকর্ড নেই। আমি এখন কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। তবে ২০২ নং রুম থেকে কয়েকজন ফোন দিয়েছে। আমি তাদের সরাসরি লিখিত অভিযোগ জমা দিতে বলেছি।’
ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। হলের বিষয়টি হল কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে। আমি বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। এ রকম হওয়ার কথা না।’
মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উত্তরখান, দক্ষিণখান ও তুরাগ থানা এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি। আমরা প্রতিনিয়ত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ধরছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাই মিলে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। মাদকের ইস্যুতে কোনো ধরনের তদবির চলবে না।
১১ মিনিট আগেরংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে এক ব্যক্তির (৬৫) শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
২৭ মিনিট আগেখুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে কেএমপির পুলিশ কমিশনারসহ অন্য কর্মকর্তারা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা কেএমপি সদর দপ্তরে...
২৮ মিনিট আগেকুমিল্লার চান্দিনায় পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী জানায় যে সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। পরে বিশেষ ব্যবস্থায় ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
৩৫ মিনিট আগে