ফরিদপুর প্রতিনিধি
‘ওরে যে কষ্ট করে, ফইর্যাত (অন্যের জমিতে শ্রম) দিয়ে বড় করছি, জমিজমা বেইচ্যা, দেনা হয়ে বিদেশে পাঠাইছি। ও আমারে এহন চিনেই না। বউর কথা শুনে ওর শ্বশুরবাড়ির মানুষ আইন্যা আমারে হাতর দিয়্যা মাইরছে (মারধর)।’ প্রবাসী ছেলের নির্যাতনে হাসপাতালের বিছানায় বসে কেঁদে কেঁদে নিজ ছেলের বিরুদ্ধে এভাবে অনুযোগ করছিলেন ষাটোর্ধ্ব বাবা নূর ইসলাম বিশ্বাস। তিনি ফরিদপুর জেলা সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরজ্ঞানদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে নূর ইসলামের। বড় ছেলে পরিবার নিয়ে অন্যত্র থাকেন। অসুস্থ স্ত্রী রিজিয়া বেগমকে নিয়ে অন্যের জমিতে শ্রম বিক্রি করে চলে নূর ইসলামের সংসার। বয়সের ভারে অনেকটা নুয়ে পড়েছেন তিনি।
নূর ইসলামের অভিযোগ, ছোট ছেলে সিঙ্গাপুরপ্রবাসী সজিব বিশ্বাসের (২৮) বিরুদ্ধে। তিনি জানান, বসতবাড়ির জমি লিখে না দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে ছোট ছেলে ও ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে গুরুতর আহত হন তিনি। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নূর ইসলাম বলেন, ‘জমিজমা বিক্রি করে ২০১৬ সালের দিকে ছোট ছেলেকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দিই। এর মধ্যে বাড়িতে এসে পরিবারের নিষেধ অমান্য করে একই গ্রামের এক তালাকপ্রাপ্তা নারীকে বিয়ে করে সে। পরে প্রবাসে গিয়ে আমাদের (বাবা-মা) সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ছয় বছর পর গত ২৯ মে দেশে এসেই শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান নেয়। এর মধ্যে বাড়িতে এসে বসতভিটার জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।’
নূর ইসলাম বলেন, ‘আমার জমিই এইটুকু। আমি যদি এই জমি লিখে দেই, তাইলে আমারে কালকেই ঘেটি (ঘাড়) ধরে বাইর কইর্যা দিবে। আমি কোথায় যাব, আমারে তো পথে ফেলায় দিবে। জমি লেখা ছাড়াই তো বাড়ি থাকতে পারি না। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। পৃথিবীতে এ রকম যেন আর কারও সঙ্গে না হয়।’
নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে নূর ইসলাম বলেন, ‘ছেলের বউ এসে আমাকে গালিগালাজ করে। জমি লিখে না দিলে আমারে গলা টিপে মাইর্যা ফেলবে। তহন (তখন) ফোন দিয়ে লোকজন আনে। তারা আমার বুকের পাশে হাতড়ি দিয়ে বাড়ি দেয়, আমার ঘাড়ে কিলায় (কিল-ঘুষি)। আমার ছেলেই সবকিছু করাইছে। আমি হাসপাতালে আসার পরে ট্রাক এনে আমার গরুও নিতে গেছিল। তহন মাইনষে (প্রতিবেশীরা) ঠেকায় রাখে (বাধা দেন)।’
এ বিষয়ে তিনি ওই দিন বিকালে থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন নূর ইসলাম। এজাহারে ছেলে সজিব বিশ্বাস, স্ত্রী তানজিলা, শ্যালক জিহাদ শেখ, শ্বশুর হালিম শেখ, স্থানীয় মানিক মণ্ডলসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত সজীব বিশ্বাসের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। এ ছাড়া বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া না যাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যতটুকু জেনেছি, এটা পারিবারিক বিরোধ।’
‘ওরে যে কষ্ট করে, ফইর্যাত (অন্যের জমিতে শ্রম) দিয়ে বড় করছি, জমিজমা বেইচ্যা, দেনা হয়ে বিদেশে পাঠাইছি। ও আমারে এহন চিনেই না। বউর কথা শুনে ওর শ্বশুরবাড়ির মানুষ আইন্যা আমারে হাতর দিয়্যা মাইরছে (মারধর)।’ প্রবাসী ছেলের নির্যাতনে হাসপাতালের বিছানায় বসে কেঁদে কেঁদে নিজ ছেলের বিরুদ্ধে এভাবে অনুযোগ করছিলেন ষাটোর্ধ্ব বাবা নূর ইসলাম বিশ্বাস। তিনি ফরিদপুর জেলা সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরজ্ঞানদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে নূর ইসলামের। বড় ছেলে পরিবার নিয়ে অন্যত্র থাকেন। অসুস্থ স্ত্রী রিজিয়া বেগমকে নিয়ে অন্যের জমিতে শ্রম বিক্রি করে চলে নূর ইসলামের সংসার। বয়সের ভারে অনেকটা নুয়ে পড়েছেন তিনি।
নূর ইসলামের অভিযোগ, ছোট ছেলে সিঙ্গাপুরপ্রবাসী সজিব বিশ্বাসের (২৮) বিরুদ্ধে। তিনি জানান, বসতবাড়ির জমি লিখে না দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে ছোট ছেলে ও ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে গুরুতর আহত হন তিনি। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নূর ইসলাম বলেন, ‘জমিজমা বিক্রি করে ২০১৬ সালের দিকে ছোট ছেলেকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দিই। এর মধ্যে বাড়িতে এসে পরিবারের নিষেধ অমান্য করে একই গ্রামের এক তালাকপ্রাপ্তা নারীকে বিয়ে করে সে। পরে প্রবাসে গিয়ে আমাদের (বাবা-মা) সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ছয় বছর পর গত ২৯ মে দেশে এসেই শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান নেয়। এর মধ্যে বাড়িতে এসে বসতভিটার জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।’
নূর ইসলাম বলেন, ‘আমার জমিই এইটুকু। আমি যদি এই জমি লিখে দেই, তাইলে আমারে কালকেই ঘেটি (ঘাড়) ধরে বাইর কইর্যা দিবে। আমি কোথায় যাব, আমারে তো পথে ফেলায় দিবে। জমি লেখা ছাড়াই তো বাড়ি থাকতে পারি না। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। পৃথিবীতে এ রকম যেন আর কারও সঙ্গে না হয়।’
নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে নূর ইসলাম বলেন, ‘ছেলের বউ এসে আমাকে গালিগালাজ করে। জমি লিখে না দিলে আমারে গলা টিপে মাইর্যা ফেলবে। তহন (তখন) ফোন দিয়ে লোকজন আনে। তারা আমার বুকের পাশে হাতড়ি দিয়ে বাড়ি দেয়, আমার ঘাড়ে কিলায় (কিল-ঘুষি)। আমার ছেলেই সবকিছু করাইছে। আমি হাসপাতালে আসার পরে ট্রাক এনে আমার গরুও নিতে গেছিল। তহন মাইনষে (প্রতিবেশীরা) ঠেকায় রাখে (বাধা দেন)।’
এ বিষয়ে তিনি ওই দিন বিকালে থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন নূর ইসলাম। এজাহারে ছেলে সজিব বিশ্বাস, স্ত্রী তানজিলা, শ্যালক জিহাদ শেখ, শ্বশুর হালিম শেখ, স্থানীয় মানিক মণ্ডলসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত সজীব বিশ্বাসের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। এ ছাড়া বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া না যাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যতটুকু জেনেছি, এটা পারিবারিক বিরোধ।’
নীলফামারীতে বজ্রপাতে কাশী নাথ রায় (৬২) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নিজ নামে থাকা পূর্বাচল ও উত্তরার দুটি প্লট ক্রোক, তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ২৯টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫২০ টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২২ জুন) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক...
৯ মিনিট আগেগতকাল শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যশোর বোর্ডে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা স্থগিতের বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে।
১৬ মিনিট আগেবন্ধুর সার্টিফিকেটের (সনদ) কপি দিয়ে ১০ বছর ধরে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসছেন রাজিব আলম (৩৩)। চাকরির বায়োডাটায় নিজের নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, সার্টিফিকেট সবই ব্যবহার করেছেন বন্ধুর। এটি দিয়েই তিনি শিল্প গ্রুপ পলমলের কেন্দ্রীয় গুদামের এজিএম (কাগজ-কলমে টিপু সুলতান) পদে কর্মরত ছিলেন।
১৯ মিনিট আগে