Ajker Patrika

সর্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা বড় চ্যালেঞ্জ: গোয়েন লুইস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০: ৫১
সর্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা বড় চ্যালেঞ্জ: গোয়েন লুইস

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানবাধিকার রক্ষা করা নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আর এই সর্বজনীন মানবাধিকার রক্ষা করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এর জন্য অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর পান্থপথে ৭৫তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দৃক গ্যালারি ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী আয়োজিত ‘ক্রোধ ও আশা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর শেষ দিন পরিদর্শনে এসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

প্রদর্শনীতে দেশের বিভিন্ন আলোকচিত্রীর তোলা বিভিন্ন সময়ে দেশে ঘটে যাওয়া ঘটনার ছবি প্রদর্শন করা হয়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী আইরিন খান, আলোকচিত্রী তাসলিমা আখতার, আব্দুল গণি, শুভ্র কান্তি দাস, দীপু মালাকার প্রমুখ।

গোয়েন লুইস বলেন, এখানে যে ছবিগুলো আছে সেগুলো প্রতিটি ব্যক্তির মর্যাদাকে তুলে ধরেছে, যা তাঁরা বিশ্বাস করেন।

মানবাধিকার সব সময় সহজ নয় উল্লেখ করে গোয়েন বলেন, ‘মাঝে মাঝে এটি ভয়ংকর হয়ে ওঠে। গত ৭০ দিনে গাজায় ৬০ জন সাংবাদিক ও কিছু আলোকচিত্রী তাঁদের জীবন হারিয়েছেন। এভাবে সত্যের ধারকদের চুপ করিয়ে কখনো বাস্তবতাকে পরিবর্তন করা যায় না। সাংবাদিক ও আলোকচিত্রীরা মূলত যা বাস্তবতা আছে তাই তুলে ধরেন।’

তিনি বলেন, ‘এই মানবাধিকার শুধু গাজা নয়, সমস্ত পৃথিবীর সত্যের ধারকদের কথা তুলে ধরে, যাঁরা তাঁদের জীবন হারিয়েছেন। এটা সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতনের বিরুদ্ধে এসব সত্যের ধারকেরা তাঁদের দর্শন ও বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।’

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসপ্রদর্শনীতে আলোকচিত্রী তাসলিমা আকতার তাঁর বিখ্যাত রানা প্লাজা ধসের পরে তোলা ধ্বংসস্তূপে থাকা একজন পুরুষ ও নারীর আলিঙ্গনের ছবির অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, এটি কখনোই সহজ ছিল না। তিনি শুধু সেই সময়ের এসব পোশাকশ্রমিকদের বাস্তবচিত্র তুলে এনেছেন। তারা যে মেশিন নয় মানুষ, এটা মালিক, সরকার ও বিদেশি ব্রান্ডগুলো বুঝতে চায় না।

আলোকচিত্রী আব্দুল গণি বলেন, তাঁর যে ছবিটি এখানে আছে, সেটি একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ওপর পুলিশি নির্যাতনের। শাহবাগে চেয়ারসহ পুলিশ লাথি মেরে তাঁকে ফেলে দিয়েছিল। এটা কখনোই কাম্য নয় পুলিশ থেকে।

আব্দুল গণি জানান, তাঁর একটা ছবিতে একজন নারীর নাম দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামে হওয়ায় সেই ছবি ছাপানো হয়নি। এ ছাড়া অনেক ছবি আছে যা কখনোই প্রকাশ্যে আসে না।

মানবাধিকার কর্মী আইরিন খান বলেন, সারা পৃথিবীতে বাক্‌স্বাধীনতা ও মানবাধিকার আক্রান্ত হচ্ছে। দেশ এখন একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এখনো যাঁরা আছেন, সবার দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে যাঁরা ভয়-ডরহীনভাবে কথা বলেন, ছবি তোলেন তাঁদের সমর্থন দেওয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত