টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মধুপুরে জমি নিয়ে বিরোধে একই পরিবারের মা, দুই ছেলে ও ছেলের বউকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করেছে। আজ মঙ্গলবার মধুপুর পৌরসভার পুন্ডুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠলেও মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আজকের ঘটনায় কেউ লিখিত দেয়নি বলে মামলা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুপক্ষকে ডেকে এনে ১৪৪ ধারা জারি ও তার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তি রক্ষায় জমিতে যেতে বারণ করা হয়েছে।’
ভুক্তভোগীরা হলেন-পুন্ডুরা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী শাফিয়া বেগম (৫৫), তার বড় ছেলে আলমগীর হোসেন, ছোট ছেলে জুব্বার আলী ও ছেলের বউ জ্যোৎস্না বেগম।
এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলমগীরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শাফিয়া বেগম ও জ্যোৎস্না বেগমকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, বহুদিন থেকে আলমগীর ও জুব্বার মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী কালু মিয়া সেখসহ তার ভাইদের জমি নিয়ে বিরোধ। দুপক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। ২৩ বছর বাঁটোয়ারা মামলা চলার পর গত ২৯ জানুয়ারি আলমগীর ও জুব্বার রায় পেয়ে জমির খাজনা খারিজ করেছেন। মাঠ ও প্রিন্ট পরচা তাদের নামেই এসেছে। প্রতিপক্ষ কালু মিয়া সেক, আজগর আলী, সামাদ মিয়ারা এ নিয়ে গত কয়েক মাস আগে জমির মালিক দাবি করে আদালতে ১৪৪ জারি চেয়ে আবেদন করলে আদালত সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
আলমগীর ও জুব্বার কাগজপত্রের ভিত্তিতে ১৪৪ ধারার বিপরীতে জজ কোর্টে আপিল করেন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে দুই পরিবারে উত্তেজনা চলছিল। আজ মঙ্গলবার সকালে কালু মিয়া গং বিবদমান জমিতে গিয়ে ঘর নির্মাণ শুরু করেন। আলমগীর, জুব্বার বাধা দিতে গেলে তাদের পিটিয়ে পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে তারা। মা শাফিয়া ফেরাতে গেলে তাকেও গাছে বেঁধে ফেলেন। শাশুড়িকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন ছেলের বউ জ্যোৎস্না বেগম। তাকেও প্রতিপক্ষের লোকেরা হাত–পা বেঁধে তাকে বসিয়ে রাখেন।
এ অবস্থায় পুলিশকে ফোন দিয়ে জানানো হলেও পুলিশ দ্রুত না আসায় ৯৯৯ এ কল করে সাহায্য চাওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে গাছের সঙ্গে বাধা অবস্থা থেকে তাদের উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় মাতব্বরেরা ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। মধুপুর থানাকে ফোন করে জানানো হয়। পুলিশ উদ্ধার শেষে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলমগীরকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। শাফিয়া, ছেলের বউ জ্যোৎস্নাকে মধুপুর উপজেলা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। জুব্বারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
১০০ শয্যা বিশিষ্ট মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাফিয়া বেগম ও জোৎস্না বেগমের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আলমগীর হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
টাঙ্গাইলের মধুপুরে জমি নিয়ে বিরোধে একই পরিবারের মা, দুই ছেলে ও ছেলের বউকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করেছে। আজ মঙ্গলবার মধুপুর পৌরসভার পুন্ডুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠলেও মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আজকের ঘটনায় কেউ লিখিত দেয়নি বলে মামলা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুপক্ষকে ডেকে এনে ১৪৪ ধারা জারি ও তার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তি রক্ষায় জমিতে যেতে বারণ করা হয়েছে।’
ভুক্তভোগীরা হলেন-পুন্ডুরা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী শাফিয়া বেগম (৫৫), তার বড় ছেলে আলমগীর হোসেন, ছোট ছেলে জুব্বার আলী ও ছেলের বউ জ্যোৎস্না বেগম।
এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলমগীরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শাফিয়া বেগম ও জ্যোৎস্না বেগমকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, বহুদিন থেকে আলমগীর ও জুব্বার মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী কালু মিয়া সেখসহ তার ভাইদের জমি নিয়ে বিরোধ। দুপক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। ২৩ বছর বাঁটোয়ারা মামলা চলার পর গত ২৯ জানুয়ারি আলমগীর ও জুব্বার রায় পেয়ে জমির খাজনা খারিজ করেছেন। মাঠ ও প্রিন্ট পরচা তাদের নামেই এসেছে। প্রতিপক্ষ কালু মিয়া সেক, আজগর আলী, সামাদ মিয়ারা এ নিয়ে গত কয়েক মাস আগে জমির মালিক দাবি করে আদালতে ১৪৪ জারি চেয়ে আবেদন করলে আদালত সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
আলমগীর ও জুব্বার কাগজপত্রের ভিত্তিতে ১৪৪ ধারার বিপরীতে জজ কোর্টে আপিল করেন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে দুই পরিবারে উত্তেজনা চলছিল। আজ মঙ্গলবার সকালে কালু মিয়া গং বিবদমান জমিতে গিয়ে ঘর নির্মাণ শুরু করেন। আলমগীর, জুব্বার বাধা দিতে গেলে তাদের পিটিয়ে পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে তারা। মা শাফিয়া ফেরাতে গেলে তাকেও গাছে বেঁধে ফেলেন। শাশুড়িকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন ছেলের বউ জ্যোৎস্না বেগম। তাকেও প্রতিপক্ষের লোকেরা হাত–পা বেঁধে তাকে বসিয়ে রাখেন।
এ অবস্থায় পুলিশকে ফোন দিয়ে জানানো হলেও পুলিশ দ্রুত না আসায় ৯৯৯ এ কল করে সাহায্য চাওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে গাছের সঙ্গে বাধা অবস্থা থেকে তাদের উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় মাতব্বরেরা ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। মধুপুর থানাকে ফোন করে জানানো হয়। পুলিশ উদ্ধার শেষে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলমগীরকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। শাফিয়া, ছেলের বউ জ্যোৎস্নাকে মধুপুর উপজেলা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। জুব্বারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
১০০ শয্যা বিশিষ্ট মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাফিয়া বেগম ও জোৎস্না বেগমের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আলমগীর হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে